ছ
াইরঙা পিচরাস্তা। চওড়ায় আন্দাজ কুড়ি ফুট। বেশ মসৃণ। তার বুক চিরে একটা আঠারো চাকার লরি ছুটে গেল। হাওয়ায় কিছুটা ধুলো উড়ে এসে অনীকের ধপধপে সাদা প্যান্টটার রং একটু কালচে করে দিল।
নাকে রুমাল চেপে রেখেই ঘাড় নামাল অনীক। বাঁ হাতে ধুলোটা ঝেড়ে বিরক্তি আর কাশি মেশানো গলায় রজতকে বলল, “তুই শিয়োর যে, ঠিক এখানেই আসার কথা ছিল?”
রজত সন্ধানী চোখে চার পাশ তল্লাশি করছিল। অন্যমনস্ক ভাবে বলল, “হুঁ।”
ন্যাশনাল হাইওয়ে। অসম রোড। ভারী লরি, দামি চারচাকারা ঝোড়ো গতিতে বেরিয়ে যায়। রজতের এসইউভি অবশ্য এখন রাস্তা ছেড়ে অশ্বত্থগাছের নীচে দাঁড়িয়ে। উন্নতির রাস্তায় দ্রুতবেগে চলতে চলতে রজত হঠাৎ আজ দাঁড়িয়ে পড়েছে।
“গাছটা যে পুরনো, সেটা বুঝতে নিশ্চয়ই অসুবিধে হচ্ছে না। আমি আর সুকান্ত ঠিক এখানটায় দাঁড়িয়েছিলাম। স্পষ্ট ছবির মতো মনে আছে দিনটা। তিরিশে অগস্ট উনিশশো পঁচানব্বই।”
অনীক তিন নম্বর সিগারেটটা ধরাল। তার পর বলল, “পঁচিশ বছর তো নেহাত কম সময় নয়। এর মধ্যে সুকান্তর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি?”
“হয়েছিল, একেবারে প্রথম দিকে। তার পর আর সময় পেলাম কই! ক্লাস এইট পাশ করে এখান থেকে গিয়েছিলাম। কলকাতায় তো মোটে চার বছর, তার পরই দিল্লি। ওখানে পাঁচ বছর। তার
পর তো বিদেশেই বেশির ভাগ
সময়। কত বছর মায়ের সঙ্গেই দেখা হয়নি! সেখানে...”
অনীক আর এক মুখ ধোঁয়া ছাড়ে, বলে, “সেটাই তো ভাবছি। তোর এই টাইট শিডিউলের মধ্যে খামারগাছির বাল্যবন্ধু কী ভাবে ফের এন্ট্রি নিল?”
“সব কিছুর জন্য দায়ী এই মেঘলা আকাশটা!” রাগ আর হতাশা মিশিয়ে উত্তর দিল রজত।
মুখ থেকে সিগারেট নামিয়ে জিজ্ঞাসু চোখে অনীক তাকায়।
“সেই দিনটাও এমন মেঘলা ছিল। বাড়িতে গোছগাছ চলছে। জেঠু-জেঠিমা মায়ের চলে আসাটা মেনে নিতে পারেনি। বাড়িতে অদ্ভুত ঠান্ডা আবহাওয়া। বাবার বড় ছবিটার সামনে ঝাপসা চোখে তাকিয়ে আমি কী সব ভাবছিলাম। সেবারও সেকেন্ড টার্মে আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম। তপন স্যর বলতেন মাধ্যমিকে আমাদের স্কুল এ বার জেলায় প্রথম হবে। কিন্তু মামা আগেই বালিগঞ্জ গভর্নমেন্টে ব্যবস্থা করে ফেলল...”
আকাশ এত ক্ষণ মেঘলা ছিল। শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছিল। এ বার বেশ বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা এসে বিঁধতে লাগল। বাঁ দিকে চায়ের দোকান দেখে অনেক ক্ষণ অনীক উসখুস করছিল, রজতকে “আয়” বলে দৌড়ে ঢুকে পড়ল।
ঠিক গুমটি নয়। বেশ বড় দোকান। চা তো আছেই, কফিরও ব্যবস্থা। নানা রকম স্টেশনারি জিনিসপত্রও শো-কেসে সাজানো। সামনের দেওয়ালে টিউবলাইটের তলায় বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণ। বাঁ দিকের দেওয়ালে আর একটা মলিন ছবি। সাদা জামা পরা মানুষটির গোঁফ বোঝা যাচ্ছে। বাকিটুকু ঝাপসা।
“দুটো কফি হবে?”
“বসুন স্যর!” তড়িঘড়ি এগিয়ে আসে দোকানদার। সম্ভবত মাল নামিয়ে রাখছিল, হাতে কিছু ছেঁড়া পেটো দড়ি, বলল, “আর কিছু লাগবে না স্যর, টোস্ট? ওমলেট? সেদ্ধ, মানে বয়েলড এগ?”
অনীক ঘাড় ঘোরায়। রজত টানা বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। এখন বৃষ্টিটা বেশ জোরে। রজতের মন যে চা বা খাবারের দিকে নেই, সেটা অনীক বোঝে। দোকানদারকে নিচু গলায় বলে “শুধু চা।” উঁচু গলায় হাঁক দেয়, “ভিজিস না, এখানে এসে বোস।”
রজত আসে। দোকানদার তাকে দেখে হাসার চেষ্টা করে, সে দেখেও দেখে না। অনীক তার মেজাজ ঠিক করতে পাখিপড়া বোঝানো শুরু করে, “আচ্ছা আড়াইটে দশকে কী কী হয়ে গিয়েছে ভাব তো। তোর আমার চেনাজানা পৃথিবীর কতটুকু বেঁচে আছে। একটা জিনিস ভাব, আজ না হয় বিকেলে তুই এখানে পুরনো বন্ধুকে খুঁজতে এসেছিস। কিন্তু অন্য দিন? অফিস থেকে বেরোতে তোর আটটা বাজে, তার পর রোজ কোনও না কোনও ক্লায়েন্টকে নিয়ে ক্লাবে...”
চা এসেছে। অনীক থামে। খোঁচা খোঁচা দাড়ি, গেঞ্জি-পাজামা পরা দোকানদার আর এক বার তাদের চেহারার দিকে সসম্ভ্রমে তাকিয়ে যায়।
“তুই কী বলতে চাইছিস?”
“খুব সোজা ব্যাপার। তোর বাবা বা জ্যাঠারা কি এ রকম জীবন কাটাতেন? না। তাঁদের অনেক সময় ছিল। তাই তখন ওই সব হত। গানের আসর, কবিতাপাঠ, গলিতে প্রেম, দশ-বিশ বছর পর বন্ধুদের দেখা। দুনিয়ার সবটাই এখন ইঁদুরদৌড়ে সামিল। তোমার সে বন্ধুটিও নিশ্চিত সেই দলেই পড়ে, অতএব তোমার সঙ্গে দেখা করার কথা কোন কালে সে ভুলে মেরে দিয়েছে।”
বেশ জোরে একটা বাজ পড়ল। রজত উৎকণ্ঠিত হয়ে গাড়িটার দিকে তাকাল। দোকানদার তার উদ্বেগ বুঝে বলল, “পাশের জমিটায় এনে রাখবেন স্যর? ওটা আমারই জমি।”
ইতস্তত করছিল রজত, অনীক বলে, “চাবিটা আমায় দে।”
গাড়ি প্রথমে স্টার্ট নেয় না। দোকানদারকে কিছু বলার আগেই সে গাড়িটা ঠেলতে থাকে। স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে অনীক কোনও মতে এক ফালি জমিতে ঢুকিয়ে ফেলে গাড়িটা। দোকানদার একটা বড় ত্রিপল এনে বেশ ভাল করে ঢাকা দিয়ে দেয়। সব কাজ যখন শেষ হল, তখন সে একেবারে ভিজে কাক!
“থ্যাঙ্ক ইউ ভাই। যাও, এ বার চেঞ্জ করে নাও।”
“হে হে... আমাদের অভ্যেস আছে স্যর।”
“তবু... থাকা হয় কোথায়?”
উত্তর শোনার আগেই রজতের গলা কানে আসে। অনীক ফিরে তাকায়। পাশে এসে বসে।
“তোর কথাটা হয়তো ভুল নয়। কিন্তু সুকান্ত আমার ঠিক কী রকম বন্ধু ছিল তুই জানিস না। সারা দিন যে ওর সঙ্গে কাটাতাম তা নয়। ওর বাবা ছিলেন স্কুলমাস্টার, খুব কড়া শাসন ছিল বাড়িতে। কিন্তু কত মজা কত অ্যাডভেঞ্চার যে এক সঙ্গে করেছি তার ঠিক নেই। সারা রাত জেগে খেলা দেখা, গরমের ছুটিতে আম পাড়া, এমনকি মারপিট পর্যন্ত...”
রজত থামে। দোকানদার কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অনীক গলা খাঁকরায়, “আরও দু’কাপ হবে ভাই?”
অল্প হেসে জল চাপায় সে।
“এক বছর দুর্গাপুজোয় ভাসানে মারপিট হল। আমাদের ক্লাবের একটু দূরেই ছিল মিলনী সংঘ। বাঁশ লাঠি নিয়ে মারপিট। জনচারেকের মাথা ফাটল। মনে নেই আমিও দূর থেকে ইট ছুড়েছিলাম কি না। কিন্তু ও পাড়ার লোকেরা থানায় আমার নামটাও বলে এল। সে দিন পুলিশ এল পাড়ায়।”
দোকানটা বড় হলেও গাঁথনির ওপর প্লাস্টার নেই। জানলার একটা কাচ ফাটা। সেখান দিয়ে দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি ধরে আসছে। আর চার দিকটা ঝাপসা, অন্ধকার।
“সেই রাতেই সুকান্ত ওর বাবাকে নিয়ে চলে এল আমাদের বাড়ি। পুলিশ সবে তখন জ্যাঠার সঙ্গে কথা বলছে। ওর বাবাকে বার বার করে কী বলতে লাগল, ওর বাবা পুলিশকে বোঝালেন আমি নাকি মারপিটের সময় ওদের বাড়িতেই ছিলাম। তার পর পুলিশ চলে গেল। কিন্তু...”
“কী?” আশ্চর্য গলায় জানতে চাইল অনীক।
“আমি তো জানি ওই ঘটনার আশপাশের ক’দিনেও আমি ওদের বাড়ি যাইনি।”
“সত্যিই তা হলে তোর খুব কাছের বন্ধু ছিল। ও-ই ওর বাবাকে মিথ্যে বলতে কনভিন্স করেছিল। আচ্ছা, যখন তুই খামারগাছি ছেড়ে চলে গেলি, ও কাঁদেনি?”
“জানি না অনীক। আমার সামনে কাঁদেনি। শুধু বলেছিল, ঠিক পঁচিশ বছর পর এই গাছটার তলাতেই আমরা দেখা করব। আমাদের বয়স তখন হবে ঠিক উনচল্লিশ। পরিবার-সহ নয়, একদম একা।”
অনীক আবার সিগারেট ধরাল, “কিন্তু এখানে যে একটা গোল থেকে গেল ভাই!”
অবাক হয়ে তাকাল রজত।
“তোমাদের বয়স আর চেহারা কি একই থেকে যাবে ভায়া? যদি সে বন্ধু আসতও, তাকে রেকগনাইজ় করতিস কী করে? সে রোগা না মোটা, লম্বা না বেঁটে, দাড়িওলা না মাকুন্দ... কিছুই তো জানিস না!”
“উপায় ছিল বন্ধু। সেই বন্ধুই সে উপায় করে রেখেছিল,” এত ক্ষণে সিগারেট ধরায় রজত।
“সুকান্ত ওর একটা পোস্টকার্ড ছবি আমায় দিয়ে রেখেছিল। আর আমার থেকে নিয়েছিল একটা গ্রুপ ছবি। আমি বাবা মা। পুরীতে তোলা। নাঃ! আজ মনে হচ্ছে ওই স্মৃতিভরা ছবিটা ওকে না দিলেই ভাল হত। স্পষ্ট বুঝছি, ও কিছুই মনে রাখেনি।”
কফি এল। স্পেশালি বানিয়েছে দোকানদার। বড় সাদা কাপ। ফেনা-ভরা তরলের ওপর এক চিমটে গুঁড়ো কফি। সিগারেটে লম্বা টান দিল রজত। বলতে শুরু করল, “সময় ছিল বিকেল তিনটে। এখন পাঁচটা বাজল। আমি ওকে ফেসবুক, ইনস্টায় অনেক খুঁজেছি। পাইনি। এই এলাকাতেও খোঁজ নেব ভেবেছিলাম, হয়ে ওঠেনি।”
“এমনও তো হতে পারে যে, সেই বন্ধুটি আজ প্রবাসী। সব মনে থাকলেও সে আসতে পারেনি। পরে হয়তো যোগাযোগ করবে।”
“জানি না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ওর সঙ্গে আমার আর কোনও দিনই দেখা হবে না। সত্যিই আড়াইটে দশক কী কম কথা! সেও হয়তো পরিবারে জড়িয়ে গেছে, দায়িত্ব বেড়েছে। ছোটবেলার এক বন্ধুকে মনে রাখার দায় হয়তো তার নেই। হয়তো বা সে এমনই প্রতিষ্ঠিত যে অতীত নিয়ে ভাবার সুযোগই নেই।”
সিগারেট ফেলে অনীক। হাতমুখ রুমালে মোছে। বসে বলে, “বিচিত্র নয়। গোড়াতেই তো বললাম এখন লোক অনেক প্র্যাকটিকাল। খুচরো আবেগ মনে রাখার সময় কোথায়?”
“ঠিক। আমিই তা হলে ভুল করেছিলাম!” উঠে দাঁড়ায় রজত। পকেট থেকে একটা পুরনো খাম বের করে দলা পাকিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে।
“আরে আরে কী ফেললি...”
“কিছু নয়, কত হয়েছে ভাই...” বলে কাউন্টারের দিকে যায় রজত। লোকটি সেখানে নেই। একশো টাকার একটা নোট রেখে সোজা এগিয়ে যায় গাড়ির দিকে। অনীক তার পিছু নেয়।
দোকানদারের জন্য কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতেই হয়। কারণ সে এসে না ঠেললে গাড়িটা বের করা যাবে না।
গাড়ি বেরোয়। দু’-তিন বার চেষ্টার পর স্টার্ট নেয়। দোকানদার কিছুতেই বেশি টাকা নিতে রাজি হয় না। অনীকের সঙ্গে তার তর্ক যতই এগোয় রজত ততই বিরক্ত হয়।
পরিস্থিতি সামলাতে অনীক তাকে দোকানে নিয়ে গিয়ে তার হাতে একশোর বদলে পঞ্চাশটা টাকা গুঁজে দেয়। তাকে জিজ্ঞেস করে, “তোমার বাড়ি কোথায় ভাই? বেশি দেরি কোরো না, আবার বোধহয় বৃষ্টি নামবে।”
“আমার বাড়ি বেশি দূর নয় স্যর, সামনেই। আপনারা কলকাতায় থাকেন বুঝি?”
“হ্যাঁ। সাউথ সিটিতে। তুমি চেনো ও দিকটা?”
সে চেনে না। তবে টিভি আর কাগজে ছবি দেখেছে।
“ওই স্যরও?”
“হ্যাঁ। ও একটা মাল্টি... মানে বিরাট বড় কোম্পানিতে চাকরি করে। আমি অবশ্য অত বড় কিছু নয়, রেলের সামান্য অফিসার।”
“এ দিকে কোনও কাজে এসেছিলেন বুঝি?”
“হুঁ? না ঠিক কাজে নয়। বরং... অকাজে বলতে পারো। আসি ভাই।”
গাড়িটা স্পিড নেওয়ার পর অনীক ভাবে, লোকটার নামটা জানতে চাওয়া হল না। তাতে অবশ্য ক্ষতি কিছু হয়নি, তবু...
না, ক্ষতি হয়নি। বরং ভালই হয়েছে। স্মৃতি ভাল কিন্তু অতীতের আলমারিতে রাখলেই তার সুগন্ধ ছড়ায়, ভাবছিল দোকানদার। নাম জিজ্ঞেস করলে সুকান্ত মণ্ডলকে ভেবেচিন্তে নাম বানাতে হত। তার ছোটবেলার বন্ধু রিন্টুর কাছে যে কথা সে দিয়েছিল, সেটা রাখার জন্য এই গাছের তলাতেই তার দোকানটা বানিয়েছিল সে! কিন্তু সেটা ওই দামি শার্টপ্যান্টের সাহেবকে বোঝানোর সুযোগ হল কোথায়? ছোট্ট রিন্টু এত বড় হয়ে গেছে যে সুকান্তর চোখের মণির পাশের ছোট্ট দাগটাও তার চোখে পড়ে না!
উনিশশো পঁচানব্বইয়ের সেই দিনের পর দু’জনের জীবন দু’দিকে বেঁকে গেছে। জীবনের ঢেউয়ে লুটোপুটি খেতে খেতে সুকান্ত এসে ঠেকেছে এই চায়ের দোকানে। এখান থেকে সাউথ সিটির ফ্ল্যাটবাড়ি টিভিতেই দেখতে ভাল লাগে। কাছে যাওয়ার সাহস হয় না।
ঝোড়ো হাওয়ায় দোকানে ধুলো ঢুকেছে। সে ধুলো তাড়াতে ঝাঁট দেয় সুকান্ত। কুড়িয়ে পায় একটা মোচড়ানো খাম। তার মধ্যে ছোট্ট সুকান্তর একটা পাসপোর্ট ছবি। একটা ছোট্ট হাতে এক দিন সে এটা তুলে দিয়েছিল। রিন্টু ওরফে রজতের সেই হাত এখন এত উঁচু আর এত বড় হয়ে গেছে যে, সুকান্ত আর সে দিকে হাত বাড়ানোর সাহস পায়নি।
ছবিটা পুরনো, ঝাপসা হয়ে এসেছে। ঠিক দেওয়ালে সাদা জামা পরা গোঁফওলা কপিলদেবের মতো। রিন্টু ঠিক ওই ভাবে বল করত! দোকানে বৃষ্টির ছাঁট ঢোকেনি, কিন্তু কী করে যেন সুকান্তর চোখদুটোও ঝাপসা হয়ে গেল...