ছোটগল্প

পত্রকুহক

সে দিন সুচরিতা একটা গঙ্গাজল রঙের শাড়ি পরেছেন। কপালে একটা চন্দন রঙের টিপ। ঠোঁটের লিপস্টিকটা মিশে যাওয়া রঙের। আছে, অথচ যেন নেই।

Advertisement

বাণীব্রত গোস্বামী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৭
Share:

ছবি: বৈশালী সরকার

রোদটা উঠেছে একদম সর্ষের তেলের মতো। ঘুম ভেঙে লেপের তলা থেকে বেরোতে ইচ্ছে না করলেও, যেমন জোর করে উঠতে হয়, সূর্যটা আজ যেন ঠিক সে রকম। কুয়াশা ফাটিয়ে সামান্য একটু রোদের আলো এসে পড়েছে বিছানায়। ডোরবেল বেজে উঠল। মনে হয় মঞ্জু। ঠান্ডাটা জাঁকিয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে লেপটা সরিয়ে উঠে দরজা খুললেন সুশোভন। মঞ্জু ঢুকল।

Advertisement

“দাদাবাবু, একটু চা করে দিই।”

“আজ একটু কফি করে দাও।”

Advertisement

বলেই ব্রাশে পেস্ট নিয়ে চলে গেলেন বেসিনের কাছে। নন্দিনীর ছবিটার দিকে চোখ পড়ল। নন্দিনী বেঁচে থাকতে সকালে কফি চাইলে বলত, “বিকেলে খাবে। সকালে চা খাও। অম্বল হতে পারে...”

কী যেন একটা মনে হল সুশোভনের। বলে উঠলেন, “না মঞ্জু, চা-ই দাও...” বলেই ফের চোখ গেল নন্দিনীর ছবির দিকে। মনে হল নন্দিনী যেন হেসে বলছে, ‘গরিবের কথা বাসি হলে মিষ্টি লাগে!’ মনে হতে আপন মনে সুশোভনের ঠোঁটেও ফুটে উঠল হাসির রেখা।

মঞ্জু বলল, “আচ্ছা। চা-ই দিচ্ছি। আর ভাল কথা, নীচের লেটার বক্সে দেখলাম একটা চিঠি এসেছে।”

সুশোভন ভাবলেন, চিঠি! চিঠি এখন আবার কে দেবে? এ সব পাট তো বহু কাল আগেই উঠে গেছে। সবই তো এখন মুঠোফোনে। মেল আর হোয়াটসঅ্যাপেই তো দুনিয়া চলছে। কে আবার চিঠি দিল!

চা খেয়ে নীচে নামলেন সুশোভন। লেটার বক্স খুললেন। এ তো একটা ব্যাঙ্কের চিঠি। আরে! এ তো তাঁর চিঠি নয়! সুচরিতা মিত্র নাম লেখা। ঠিকানাটা দেখল। অদ্ভুত! সুশোভনের ফ্ল্যাট নম্বর ৯/৬ আর এটা ৬/৯।‌ দ্যাখো কাণ্ড! তার মানে পোস্টম্যান গুলিয়ে ফেলেছে। একেবারে নয়-ছয় কাণ্ড করেছে। খারাপ নয়! তবু তো একটা কাজ পাওয়া গেল। এখন তো আর কোনও কাজই নেই।

কাজ ছিল তখন। যদ্দিন নন্দিনী ছিল। টানা ত্রিশ বছর, সেই যবে থেকে বিয়ের জোড়ের উড়ুনির সঙ্গে বেনারসির খুঁট বাঁধা হয়ে গিয়েছিল। তার পর দু’বছর আগে হঠাৎ এক বৃষ্টিভেজা সকালে সেই মজবুত গিঁট আলগা করে চলে গেল নন্দিনী। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। থেমে গেল একটা সংসারী হৃদয়। মোটামুটি তার পর থেকে আর দোকান নেই, বাজার নেই, কাজ নেই, কাজের ভুল নেই, ঝগড়া নেই, মান-অভিমান কিচ্ছু নেই। গল্প নেই, বকবক নেই, হাসি নেই, কান্নাও নেই— শুধু পর্যাপ্ত সুখে অলস বেঁচে থাকা। কাজকর্ম যা করার সব মঞ্জুই করে। তৃণা, মানে মেয়ের কড়া হুকুম, “তুমি আর কোনও কাজ করবে না, যা দরকার হবে সব মঞ্জুমাসিকে বলবে।”

যাক এই ফাঁকে তবু একটা কাজ পেলেন সুশোভন। বেলায় গিয়ে চিঠিটা দিয়ে আসবেন। হাউজ়িংয়ের বাইরে তো আর যেতে হচ্ছে না। এই স্বপ্ননীড় আবাসনের মধ্যেই। ক’টা বাড়ি পরেই।

মঞ্জু রান্না করে চলে যাওয়ার পর, সুশোভন স্নান সেরে বাইরের জামাকাপড় পরে তৈরি হলেন যাওয়ার জন্য। পৌঁছে দেখলেন, এক জন বয়স্ক ভদ্রমহিলা দরজা খুললেন। চেহারায় বেশ আভিজাত্যের ছাপ। অল্প বয়সে মনে হয় বেশ সুন্দরীই ছিলেন। দরজা অল্প ফাঁক করে জিজ্ঞেস করলেন, “কাকে চাই?”

“নমস্কার, আমি সুশোভন দত্ত। কয়েকটা বাড়ি পরেই থাকি। আপনার একটা চিঠি ভুল করে আমার লেটার বক্সে দিয়ে গেছে।”‌

“কিসের চিঠি?”

“মনে হল, ব্যাঙ্কের।”

“অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি বাড়ি বয়ে চিঠিটা দিতে এসেছেন, এটা বিরাট ব্যাপার। আজকালকার দিনে কেউ আসে না। অন্যের চিঠিপত্র ভুল করে হাতে এসে গেলে, ফেলে দেয়।”

“আমি তো আজকালকার নই। বরিষ্ঠ নাগরিক। সাধারণ পাড়ায় বড় হয়েছি। আবাসনে নয়। তাই এখনও ঠিক এখনকার মতো নই। ব্যাকডেটেডও বলতে পারেন।”

“কিছু কিছু জিনিস পুরনো থাকাই ভাল। ছিঃ ছিঃ, আপনাকে ভেতরেই ডাকা হয়নি। কখন থেকে দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখেই কথা বলে যাচ্ছি! ভেতরে আসুন।”

“না না, ঠিক আছে।”

মুখে ‘না’ বললেও সুশোভন চটি খুলতে শুরু করে দিলেন। বাইরের লোকের সঙ্গে কত কাল কথা হয় না। চার দেওয়ালে বন্দি থেকে থেকে হাঁপ ধরে যায়। ‘ওয়েলকাম’ পাপোশে পা মুছে সোফায় গিয়ে বসলেন। সামনেই এক জন মোটা গোঁফওয়ালা চশমা-পরা রাগী লোকের ছবি। কটমট করে যেন তাকিয়ে আছেন সুশোভনের দিকে। মনে হয় ভদ্রমহিলার স্বামী। হঠাৎ সংবিৎ ফিরল মহিলার গলায়, “একটু চা করি।”

“না… মানে আবার চা!”

ভদ্রমহিলা আলতো হেসে চা করতে গেলেন। সুশোভন চার দিকে ফ্যালফ্যাল করে দেখছেন। শো-কেসের ওপর একটা বছর তিরিশেক ছেলের ছবি। মনে হয় ওঁর ছেলে। চার দিকে শিক্ষা, রুচি আর আর্থিক স্বচ্ছলতার ছাপ সুস্পষ্ট। চা নিয়ে ঢুকলেন মহিলা।

সুশোভন বললেন, “একটা কথা বলব, চিঠিটা একটু দেখবেন, কী লেখা আছে।”

ভদ্রমহিলা চা রেখে খাম ছিঁড়ে চিঠিটা বার করে চোখ বোলালেন।

“আরে এটা তো একটা সাধারণ চিঠি।‌ কেওয়াইসি দেওয়ার। আমার তো দেওয়া আছে।”

“ওরা সবাইকেই পাঠায়। আমি ভাবছিলাম কোনও প্রবলেম হল কি না, হলে আমি একটু হেল্প করতে পারতাম। ওই ব্যাঙ্কে আমার চেনা এক জন আছেন...”

“ধন্যবাদ। আসলে একা থাকি তো। ভয় করে।”

“কেন? ছেলেমেয়ে?”

“একটাই ছেলে। আমেরিকায়।”

“আমেরিকার কোথায়?”

“ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে। অঙ্কের লেকচারার।”

“আরে! কী কাণ্ড দেখুন! আমার মেয়েও তো ইয়েলে আছে। সাইকোলজি নিয়ে রিসার্চ করছে।”

“তা হলে এখানে আপনি আর…”

“আর কেউ নেই। স্ত্রী মারা গেছেন বছর দুই। এখানে একাই থাকি। ভাল লাগে না।”

“আগে আমরা আদি বালিগঞ্জে থাকতাম। তার পর এই এক বছর হল কিংশুকের, মানে আমার ছেলের ইচ্ছেয় এইখানে আসা। এ সব সাজানো যান্ত্রিক পরিবেশ আমার একদম ভাল লাগে না।”

“ঠিক বলেছেন। আমারও ওই মেয়ের বায়নাতেই এখানে আসা। আগে বাগবাজারে থাকতাম। ওই সব পাড়ায় একটা অন্তরের টান আছে। কী মিষ্টি সেই লোকজনের ডাক! কেউ সুশোভনদা, কেউ দত্তকাকু। এখানে সবার কাছেই মিস্টার দত্ত। ডাক আছে, তার নেই। সেই তারে একটা পরম আত্মীয়তার সুর ছিল। সেটা আজও বুকে বাজে। এখানে সব কেমন ছাড়া ছাড়া। মেকি।”

“হ্যাঁ, আমিও তো আগে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আশপাশের মহিলাদের সঙ্গে খুব গল্প করতাম। এখানে শুধু গুড মর্নিং আর গুড নাইট। অথচ ভেতরে ঢুকলে দেখবেন কিছুই ‘গুড’ নেই।”

চায়ে শেষ চুমুকটা দিয়ে সুশোভন বলে উঠলেন, “আজ উঠি।”

“আবার আসবেন। আমার ফোন নাম্বারটা রেখে দিন। আমি মিস্ড কল দিয়ে দিচ্ছি।”

বাড়িতে এসে আয়নার সামনে দাঁড়ালেন সুশোভন। খুব বুড়ো কিন্তু লাগছে না। দু’-এক দিন গুনগুন করে ভালই কাটল। চুলে আবার কালি করতে ইচ্ছে করল। অনেক বার ভাবছে, এক বার ফোন করা যায় সুচরিতা দেবীকে। আবার পিছিয়ে যাচ্ছে। আসলে সেই আশির দশকের ভয় কেটে সাহস আসা খুব মুশকিল। এ জীবনে আর বেপরোয়া হতে পারবেন না। তবু এক দিন সাহস করে ফোনটা করেই ফেললেন।

“আজকে ফ্রি আছেন না কি?”

“আমি তো সব সময়েই ফ্রি। আমার আর কাজ কী? একা মানুষ।”

“সন্ধেবেলা ভাবছি এক বার আসব। একটু গল্প করা যাবে।”

“আসুন না। এলে আমারও ভাল লাগবে। একটু কথাবার্তা বলে সময়টা কাটবে। কত ক্ষণ আর টিভি দেখে সময় কাটানো যায়।”

একটু পরিপাটি হলেন অনেক দিন পর সুশোভন। গিয়ে হাজির হলেন সুচরিতার ফ্ল্যাটে। সে দিন সুচরিতা একটা গঙ্গাজল রঙের শাড়ি পরেছেন। কপালে একটা চন্দন রঙের টিপ। ঠোঁটের লিপস্টিকটা মিশে যাওয়া রঙের। আছে অথচ যেন নেই। গল্পের মেজাজে সন্ধেটা খুশিতে মাখামাখি। কথার ফাঁকে সুচরিতা বলে উঠলেন, “মেয়ের কাছে চলে যাচ্ছেন না কেন?”

“কী যাব? একা থাকে। সংসার তো পাতল না। যখনই বলি,‌ বলে একটু দাঁড়িয়ে নিই। ও দাঁড়াতে দাঁড়াতে, আমি না শুয়ে পড়ি!”

“ঠিক বলেছেন। আমার ছেলেটাও তাই। যত বারই বলি, বলে আর দু’বছর দাঁড়াও। এই করে বত্রিশ হয়ে গেল। আর অপেক্ষা করা যায়! এই হয়েছেw আমার এক অশান্তি।”

“আজকাল ওরা বাবা-মা’র দুশ্চিন্তাটা বোঝে না।”

“কিছু যদি মনে না করেন, আপনার মেয়ের একটা ছবি দেখাবেন? যদি হাতের কাছে থাকে...”

“হ্যাঁ, দেখুন না। এই মোবাইলেই তো আছে।”

“বাঃ, খুব সুন্দর তো।”

“হ্যাঁ, আসলে নন্দিনী, মানে আমার স্ত্রী খুব সুন্দরী ছিলেন। তৃণা একদম মায়ের মতো হয়েছে।”

“এই রকম একটা মেয়ে পেলে, ছেলেরবৌ করতাম।”

“আপনার ছেলে তো খুবই মেধাবী। আমার সৌভাগ্য।”

“আপনি বা আপনার মেয়ে তো আমার ছেলেকেই দেখেননি। এক বার নিজের চোখে দেখুন,” মোবাইল থেকে ছবি দেখান সুচরিতা।

“ওই তো শো কেসের উপর আছে... বাঃ, এ তো রাজপুত্তুর। এ রকম একটা জামাই পেলে, চার হাত এক করে নিশ্চিন্তে মরতে পারতাম।”

“এখন তো ওখানে সকাল। এক বার ফোন করবেন না কি?”

“করা যায়, তবে কোনও লাভ হবে বলে তো মনেহয় না।”

“আপনি আগে করুন।”

“ঠিক আছে। করছি।”

নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও ফোন করলেন সুশোভন, “হ্যালোতৃণা-মা...”

“বলো বাবা, ওখানে সব ঠিকঠাক তো?”

“হ্যাঁ মা, এ দিকে তো সব ঠিকঠাক। আমি তোর একটা বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছি।”

“মানে? হঠাৎ এখন...”

“না, শোন আগে। ছেলেটি ভাল। তোর ইউনিভার্সিটিতেই অঙ্কের ডিপার্টমেন্টে আছে। দেখতে শুনতেই ভাল। তোকে ছবি আরনাম পাঠাব?”

“আর পাঠিয়ে কী হবে? তুমি যখন আমাকে না জিজ্ঞেস করে পছন্দ করেই ফেলেছ, আমি আর ‘না’ বলে খারাপ হব কেন? যা ভাল বোঝো করো।”

সুশোভন একটু হতভম্ব। সুচরিতার কথায় ঘোর কাটল, “এই যুগে যা-ই বলুন, এ রকম মেয়ে কিন্তু পাওয়া দুষ্কর! কী বাধ্য! রাগ করুক আর যা-ই করুক বাবার কথা ফেলতে তো পারল না। আমার ছেলেটা যদি এ রকম হত! পড়ত আমাদের বাবা-মায়েদের মতো বাবা-মায়ের পাল্লায়, ঠিক হত। আমার বাবার কড়াহুকুম ছিল, শুভদৃষ্টির আগে আবার বরের মুখ দেখবে কী। আমরাতো দেখেই দিচ্ছি। আমরা কী জলে ফেলে দেব?”

এ বার সুশোভন আস্তে করে বললেন, “ও সব বাদ দিন, এখন এক বার ছেলেকে ফোন করে দেখুন না।”

ফোন করলেন সুচরিতা, “হ্যালো বাবা, ঘুম থেকে উঠেছিস?”

“হ্যাঁ, তুমি ঠিক আছ তো?”

“হ্যাঁ বাবা, আমি ঠিক আছি। তবে মন ভাল নেই।”

“কেন মা? আবার কী হল?”

“না, বয়স তো হচ্ছে, তোর বাবা নেই। চিন্তা হয়। তোর সংসারটা দেখে যেতে পারলে ভাল লাগত।”

“আবার সকাল সকাল এই সব শুরু করলে…”

“আমাদের আবাসনেই একটা মেয়ে দেখেছি। সে আবার কোইনসিডেন্টালি তোর ওখানেই সাইকোলজি নিয়ে রিসার্চ করছে, ভারী সুন্দর দেখতে। ছবিটা পাঠাব? এক বার দেখবি?”

“আমার খুব কাজের চাপ, এখন আর ছবিটবি দেখার সময় পাব না। তুমি যেমন ভাল বোঝো করো।”

“না ঠিক করে বল, কথা কি এগোব?” সাবধানী সুচরিতা।

“বললাম তো, তোমার যা ইচ্ছে।”

ফোন রেখে সুশোভনের দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকালেন সুচরিতা। মনে মনে ভাবতে লাগলেন সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে। সুশোভনের তা-ও একটু ভয় করছে। আর এক বার ফোন করল তৃণাকে।

“আবার কী হল?”

“না, মানে, আমি কিন্তু সব ফাইনাল করছি। কী হল? কী রকম একটা আওয়াজ হল...”

“বললাম তো ঠিক আছে।”

“না, তোর ওখানে একটা কী রকম আওয়াজ হচ্ছে!”

“আরে কিচ্ছু না। লজেন্স খাচ্ছি। এখন রাখো।”

সুশোভন কিছুই টের পেলেন না। কিংশুক আর তৃণা তখন গভীর চুম্বনে মগ্ন। তার পর ঠোঁট ছেড়ে কিংশুক বলে উঠল, “এটাকে কী বলে জানো, থিয়োরি অব প্রোবাবিলিটি। তবে আমার একার দ্বারা সম্ভব হত না। যদি না বাল্যবন্ধু জয়ন্ত প্রিন্টআউট বার করে চিঠিটা তোমার বাবার ফ্ল্যাটে ফেলে দিয়ে আসত। ম্যাক্সিমাম ক্রেডিট গোজ় টু হিম।”

তৃণা কিংশুকের বুকে মুখ লুকিয়ে বলল, “শুধু অঙ্ক নয় মশাই, আমার মনস্তত্ত্বের জ্ঞানও কিছুটাহেল্প করেছ।”

“লেট আস সেলিব্রেট।”

এ দিকে স্বপ্ননীড় আবাসনে তখন জ্যোৎস্না গড়িয়ে পড়েছে। চার দিক খুশিতে ডগমগ। নিশ্চিন্ত আনন্দে তৃপ্ত দুই পিতা-মাতা। ও দিকে পশ্চিম গোলার্ধে তখন ঢেউ খেলছে ভোরের সূর্যের আলো। কিংশুক-তৃণা যে ফ্ল্যাটে লিভ-টুগেদার করে, সেই ফ্ল্যাটের জানালার কাচের সার্সি দিয়ে সোনালি রোদ এসে পড়েছে ওদের বিছানায়। যেন সম্পর্কের নতুন মোড়ের দিকচিহ্ন ফুটে উঠেছে নতুন দিনের আলোয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement