ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৪

অচেনা স্রোত

নীহার সরখেলের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন প্রিয়তোষ। আপাতত একটু ‘ভেবে দেখার’ অবকাশ চেয়েছেন। কিন্তু ওদের নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বেশ বুঝছেন, ব্যাপারটা সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।

Advertisement

কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০
Share:

ছবি: পিয়ালী বালা

পূর্বানুবৃত্তি: রৌনকের দুই ছাত্রছাত্রী গিটার বাজিয়ে গান ধরে। হৃষিতা বিভোর হয়ে শুনতে থাকে। সোমনাথ বিশ্বাস প্রিয়তোষকে নিয়ে যান নীহার সরখেলের ফ্ল্যাটে। হাউজিং সোসাইটির কমিটি গড়া হবে, প্রিয়তোষকে তাঁর টাওয়ারের রিপ্রেজেন্টেটিভ করতে চান ওঁরা সবাই। পরের রোববার একটা মিটিং ডাকার কথা স্থির হয়। প্রিয়তোষের ফোন বেজে ওঠে, সেই মহিলা ফ্যানটি ফোন করেছেন। নাম কস্তুরী গুপ্ত।

Advertisement

সোমনাথ বিশ্বাস হঠাৎ করে এই রবিবার সকালে একটা সোসাইটির কমিটির মেম্বার হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন না, প্রিয়তোষ বুঝতে পারলেন। আগেই পরিকল্পনা করা ছিল। কিন্তু প্রিয়তোষ কিছুতেই ভেবে পেলেন না, এত লোক থাকতে এরা বেছে বেছে ওঁকেই টাওয়ারের রিপ্রেজেন্টেটিভ করতে চাইছে কেন?

নীহার সরখেলের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন প্রিয়তোষ। আপাতত একটু ‘ভেবে দেখার’ অবকাশ চেয়েছেন। কিন্তু ওদের নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বেশ বুঝছেন, ব্যাপারটা সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।

Advertisement

প্রিয়তোষ ঘড়ি দেখলেন। এগারোটা চল্লিশ। নীহার সরখেলের বাড়িতে সেন্টার টেবিলের নীচে রাখা পূজাবার্ষিকীটা মনে গেঁথে রয়েছে। খবরের কাগজের হকারটার কথা মনে পড়ল। এখান থেকে হেঁটে শপিং মল যেতে মিনিট পনেরো লাগবে। এত ক্ষণ কি বসে থাকবে কাগজওয়ালা? তা হলে পূজাবার্ষিকীটা কিনে নেওয়া যায়। দুপুর থেকে পড়তে শুরু করে দেওয়া যাবে। কিন্তু টাওয়ার-বি থেকে বেরনোর মুখে হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি শুরু হল। এখন বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। প্রত্যেক টাওয়ারের তলায় একটা করে লবি আছে। লবিতে সোফাগুলো ফাঁকা। তার একটাতে এসে বসলেন প্রিয়তোষ। আর উদাস মনে বাইরে বৃষ্টি দেখতে দেখতে মনে পড়ে গেল কস্তুরীর কথা।

ফোনটা উনিই করবেন না কি কস্তুরীর ফোনের জন্য অপেক্ষা করবেন, ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত ফোনটা করেই ফেললেন প্রিয়তোষ। ফোন ধরে কস্তুরী বলল, ‘‘আমিই আপনাকে ফোন করতাম বিকেলের দিকে। স্যরি, অসময়ে আপনাকে ফোন করে ফেলেছিলাম।’’

‘‘না, ঠিক আছে,’’ প্রিয়তোষ বুঝে পেলেন না কী ভাবে কথা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

‘‘আপনার গল্পটা আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। কী বলুন তো, ছুটির দিনে সক্কালবেলায় একটা ভালো গল্প পড়লে সেই রেশটা সারা দিন থাকে। আমারও সেদিন তা-ই হয়েছিল। সে দিনই বা বলছি কেন, গল্পের রেশটা এখনও আছে। এমনিতে আমার রবিবারগুলো খুব মনখারাপ দিয়ে শুরু হয়।’’

‘‘কেন?’’ একটা অচেনা মেয়েকে চট করে এই প্রশ্নটা করা উচিত নয়। কিন্তু মুখ থেকে বেরিয়ে গেল প্রিয়তোষের।

একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কস্তুরী বলল, ‘‘আমিও একটু-আধটু লিখি, জানেন! সব কাগজে পাঠাই। সব বাংলা কাগজই তো রবিবার রবিবার গল্প বার করে। আশায় আশায় থাকি, যদি আমার গল্প একটা রবিবারে কোনও সম্পাদক ছাপেন। কিন্তু কেউ ছাপেন না। মাঝেমাঝে ভাবি, রবিবার যে গল্পগুলো ছেপে বেরল, আমার গল্প কি সেগুলোর চেয়ে খুব খারাপ? তবে সে দিন আপনার গল্প পড়ে আমার নিজের জন্য মনখারাপ হয়নি। বরং মনে হয়েছে, আমার মনের মধ্যেই জমে থাকা একটা গল্প অসম্ভব মুনশিয়ানায় আপনি লিখে দিয়েছেন। আর কী চমৎকার নাম দিয়েছেন গল্পটার, ‘অপেক্ষা’। তার সঙ্গে শিল্পী কী দারুণ একটা রঙিন ছবি এঁকেছেন!

প্রিয়তোষের মনে ছবিটা আর এক বার ভেসে উঠল। একটা ছাতার তলায় একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। ছেলেটার একটা হাত মেয়েটার কাঁধের ওপর। ছাইরঙা বাদলা আকাশে উজ্জ্বল নীল রঙের লতানো হরফে ভেসে রয়েছে গল্পের শীর্ষনাম, অপেক্ষা।

গল্পটার নাম প্রিয়তোষ দিয়েছিলেন, ‘প্রতীক্ষা’। ‘অপেক্ষা’ নামটা সম্পাদকের দেওয়া। সেটা অবশ্য ভাঙলেন না প্রিয়তোষ। মেয়েটার সম্পর্কে কিচ্ছু জানেন না। তবে ও একটু বেশিই যেন প্রশংসা করছে। কাগজে গল্প বেরোলে সদ্য লেখকদের এ রকম অভিজ্ঞতা হয় কি না, প্রিয়তোষের তা জানা নেই।

একটু থেমে কস্তুরী বলল, ‘‘ঈপ্সিতাকে মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ও বলল আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। থাকলে আপনাকে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতাম। আচ্ছা, এই নম্বরে আপনার হোয়াট্‌সঅ্যাপ আছে?’’

‘‘না।’’ কুণ্ঠিত গলায় বললেন প্রিয়তোষ।

‘‘ও আচ্ছা,’’ একটু থেমে কস্তুরী বলল, ‘‘থাকলে আমার একটা গল্প আপনাকে হোয়াট্‌সঅ্যাপে পাঠাতাম। একটু পড়ে যদি বলতে পারতেন, কেন আমার গল্প কোনও সম্পাদকদের পছন্দ হয় না। বিশ্বাস করুন, গল্প পড়িয়ে এটা জিজ্ঞেস করার জন্য আমার জানাশোনা আর কেউ নেই।’’

• ৪ •

‘‘সজনেডাঁটা নেই, কুমড়োফুল নেই, কাঁকরোল নেই।’’ বাজারের থলেটা উলটে সেবন্তী বেজায় বিরক্ত হয়ে বলল।

‘‘কুমড়োফুলটা লিটন কী যেন বলল। বাকি দু’টো জাস্ট মিস হয়ে গিয়েছে। এক্ষুনি নিয়ে আসছি।’’ মলয় সেবন্তীর কাছ ঘেঁষে এসে বলল।

‘‘অ্যাই সরো তো, ঘেমো গা’টা সরাও। তুমি এই একটা একটা করে জিনিস ভুলবে আর চোদ্দো বার বাজার যাবে আর আসবে। তার জন্য কি আমার রান্নাটা পড়ে থাকবে? সংসারে কাজের মধ্যে কাজ এই একটাই তো করো। রোববারের বাজারটা। ধরে ধরে পুরো লিস্ট আমি করে দিই। তাও ভুলে যাও। আমার লিস্টটাকে কি এতই ফ্যালনা মনে করো?’’

মলয় মাথা চুলকে বলল, ‘‘আরে, ভুলতাম না। মাইরি বলছি, আমিও লিস্ট ধরে ধরে লিটনকে বলছিলাম। লিটনও শুনে শুনে একটা একটা করে ওজন করছিল আর ব্যাগে ভরছিল, ওজন করছিল আর ব্যাগে ভরছিল। এমন সময় ওই ব্যাটা সোমনাথ বিশ্বাস এসে দিল সব গুলিয়ে।’’

‘‘গুলিয়ে দিল মানে?’’

‘‘বলছি। চায়ের জলটা বসিয়েছ না কি?’’

তেতে উঠল সেবন্তী, ‘‘কেন? বাজারে চা’টা খেয়ে আসোনি? তোমার পেয়ারের মাছওয়ালা আজ চা খাওয়ায়নি?’’

‘‘আরে, মাছওয়ালা বলতে মনে পড়ল, আজ রঘুবাবুকে দেখলাম। ওরাও নিউটাউনে একটা ফ্ল্যাট কিনেছে। লোকটা সেই একই রকম আছে বুঝেছ! হম্বিতম্বি করে মাছের পেট টিপল, কানকো তুলে দেখাতে বলল। তার পর হুমহুম করে একটা বোঝনদারি গলা ছেড়ে সেই সাত দিনের পুরনো চালানি মাছটাই কিনল। লোকটা একটুও বদলাল না।’’

‘‘তুমি কী করে বুঝলে? তুমিও তো পচা মাছ কিনতে ওস্তাদ।’’

‘‘আরে না না। নতুন মাছওয়ালাটার সঙ্গে আমার একটা সেটিং হয়ে গিয়েছে। রঘুবাবুর মাছটা কাটার সময় আমাকে ইশারায় চোখ মারল।’’ মলয় চোখ মটকে মাছওয়ালাকে অনুকরণ করে দেখাল।

‘‘ইস... ছি ছি ছি। কী অধঃপতন তোমার! তোমাকে মাছওয়ালা চোখ মারছে! সেটা আবার তুমি আমাকে দেখাচ্ছ? বেরোও তুমি। এক্ষুনি দূর হও।’’

শোভাবাজার থেকে নিউটাউনে বাসস্থান বদলালেও রবিবারের সকালের দাম্পত্য জীবনযাপনটা একটুও বদলায়নি মলয় আর সেবন্তীর। শোভাবাজারের মত জমজমাট জায়গা ছেড়ে নিউটাউনের আকাশচুম্বী আখাম্বা বাড়ির ঘুপচি ফ্ল্যাটে আসার বাসনা কস্মিনকালেও ছিল না মলয়ের। ঝোঁকটা ছিল সেবন্তীর। সেটায় ধুনো দিয়েছিল সেবন্তীর দিদি শ্রাবন্তী। নীহার সরখেল–শ্রাবন্তীদের এই কমপ্লেক্সে ফ্ল্যাটটা অবশ্য অনেক বেশ বড়, সাজানো গোছানো। তবে অন্য টাওয়ারে। দু’টাওয়ারে দু’বোনের সম্পর্কটা অনেক মাথা ঘামিয়েও বার করতে পারেনি মলয়। সহোদরাপ্রীতি এবং রেষারেষির এমন মিশেল আর দেখেনি।

আর এক বার বাজার দৌড়নোর আগে এক কাপ চা পেতে এই জটিল সম্পর্কটাকেই হাতিয়ার করল মলয়। গলাটা কেশে পরিষ্কার করে নিয়ে বলল, ‘‘আরে, তোমাকে তো বলাই হয়নি। আর একটা খবর শুনলাম। দিদিভাই কিছু বলেছে তোমাকে?’’

‘‘কী খবর?’’ রান্নাঘরের কাজ করতে করতে সেবন্তী জিজ্ঞেস করল।

‘‘গত রোববার দিদিভাইয়ের বাড়িতে নাকি একটা মিটিং হয়েছে। নীহারদা বেছে বেছে লোক ডেকেছিল।’’

‘‘আরে জিজুবাবু আর কাকে ডাকবে! ওই তো সৌমিত্র দত্ত, হিমাংশু ঘোষ, আর একটা কে যেন। ওদের তো রোববার একটাই কাজ। তাস খেলবে আর বিয়ার খাবে। আর আমার দিদিটা খেটে মরবে। কোনও দিন মৌরলা ভাজো তো কোনও দিন ইলিশ। করবেও, আবার সেই আমার কাছেই ফোনে গজগজ করবে।’’

‘‘গত রোববার দিদিভাই তোমাকে বলেছে কি কিছু? অনেক কিছু ডেভেলপমেন্ট হয়েছে।’’

‘‘কী?’’

‘‘বলছি। চায়ের জলটা চাপিয়ে এসো।’’

সেবন্তী এ বার খুব একটা বিরক্ত হল না। চা বসিয়ে বলল, ‘‘তুমি ওই অ্যাঁ-উঁ করে ভূমিকাটা একটু কম করে মোদ্দা কথাটা বলো তো।’’

মলয় রান্নাঘরের কাছে একটা মো়ড়া নিয়ে এসে বসে বলল, ‘‘একটা কমিটি করেছে। বিজয়া সম্মিলনী হবে।’’

‘‘ও মা তাই!’’ সেবন্তী খুশি হয়ে বলে উঠল, ‘‘আমিই তো এক দিন জিজুবাবুকে বলছিলাম, এখানে এ বার পুজো শুরু হচ্ছে না কেন?’’

মলয় সেবন্তীকে একটু খুঁচিয়ে তুলতে বলল, ‘‘তা হলে বুদ্ধিটা তুমিই নীহারদাকে দিয়েছিলে! পুজো হচ্ছে না, কিন্তু বিজয়া সম্মিলনী হবে। আর নীহারদা মিটিং করছে তোমাকে ছাড়াই। কোর কমিটি করেছে। ডাক্তার বিকাশ বাগচী চেয়ারম্যান, নিজে সেক্রেটারি, সৌমিত্র দত্ত ট্রেজারার, হিমাংশু ঘোষ, সুব্রত পাইন আর প্রিয়তোষ চাটুজ্জে টাওয়ারের রিপ্রেজেন্টেটিভ।’’

‘‘উফ! সিনেমার টাইট্‌ল কার্ড বলাটা ছাড়বে? নামগুলো শুনে কী করব? মাথায় দেব না গায়ে মাখব? তোমার তো নাম নেই। প্রিয়তোষ চাটুজ্জেটা আবার কে?’’

‘‘আছে একটা ম্যাদামারা লোক। টাওয়ার-এ’তে থাকে।’’

‘‘তুমি এত জানলে কোথা থেকে?’’

‘‘আরে ওই তো, পনেরোই অগস্ট, যখন তীর্থময় গাঙ্গুলি পতাকা তুলে হেঁড়ে গলায় জনগণমন গাইছিল, নীহারদা’রা জ্বলেপুড়ে লুচির মত ফুলছিল আর গুজগুজ ফুসফুস, গুজগুজ ফুসফুস করছিল। আজ কেসটা সোমনাথ বিশ্বাসের কাছে ক্লিয়ার হল।’’

‘‘কী কেস আবার?’’

‘‘চা-টা নিয়ে এসো, বলছি। লেডিজ ক্লাব হচ্ছে। কিটি পার্টি হবে।’’

সেবন্তীর কাছে ক্রমশ হেঁয়ালির মত লাগছে মলয়ের কথা। অবশ্য মলয় বরাবরই এ রকম ভাবে কথা বলে। তবে এত সব নিয়ে দিদিভাইয়ের বাড়িতে মিটিং হচ্ছে আর সেটা নিয়ে দিদিভাই একটাও কথা বলেনি, এটা নিয়ে বুকের মধ্যে অভিমানের বাষ্পটা ক্রমশ বাড়ছে। সেবন্তী চুপ করে চায়ের কাপটা মলয়ের হাতে এগিয়ে দিল।

মলয় সব সময় ডিশে ঢেলে লম্বা লম্বা ফুঁ দিয়ে দ্রুত চা খায়। চটপট সেটা সেরে নিয়ে বলল, ‘‘আমি আসছি।’’

‘‘কোথায় চললে আবার?’’

‘‘এই তো বাজারে। সজনেডাঁটা, কুমড়োফুল আর কাঁচকলাটা নিয়ে আসি। আর একটা ছোট্ট কাজ আছে, মাইরি বলছি।’’

সেবন্তী রেগে গিয়ে বলে উঠল, ‘‘উফ, কাঁচকলা লিস্টে লিখেছিলাম কি? দুনিয়ার লোকের নাম মনে রাখতে পারো, শুধু বেছে বেছে আমার জিনিসগুলোর নামই ভুলে যাও। আর কোত্থাও যাওয়ার দরকার নেই। মেয়েটার পরশু স্কুলে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার আছে। যাও গিয়ে ওটা করো।’’

‘‘কিসের প্রজেক্ট?’’

‘‘কাঁচকলার নয় নিশ্চয়ই।’’

‘‘আচ্ছা, হ্যাঁ হ্যাঁ, মনে পড়েছে। সুলতানি আমলের গয়নাগাঁটি আর পোশাক-পরিচ্ছদ কী সব ছাতার মাথা। কিন্তু তোমাকে তো বলেছিলাম, আমি এ সব কিছু জানি না।’’

সেবন্তী রেগে উঠল, ‘‘ছাতার মাথা, তুমি কোন জিনিসটা জানো? যাও গিয়ে গুগল করো। ইনফো আর ছবি বার করো। মেয়েটাকে দিয়ে লেখাও আর ছবি সাঁটাও। আমি কিন্তু ওই গত রোববারের মতো রাত্রি একটা পর্যন্ত জেগে থাকতে পারব না। বেলা একটার মধ্যে আমি কাজ শেষ দেখতে চাই।’’

মলয় আমতা আমতা করে এক বার বলার চেষ্টা করল, ‘‘আরে দেবো তো সকালের মধ্যেই করিয়ে। এক বার শুধু একটা কাজ করে আসি। মাইরি বলছি, জাস্ট দশ মিনিট।’’

‘‘এক মিনিটও নয়। তুমি এক্ষুনি মিমির ঘরে যাও। আর পাঁচ সপ্তাহ পর পুজো। এ বার শপিংটা শুরু করতে হবে তো, না কি?’’

‘‘মাসটা পড়লে হয় না?’’

‘‘না হয় না। এ বার সেপ্টেম্বরেই পুজো শুরু, সেপ্টেম্বরেই শেষ। লিস্ট হয়ে গিয়েছে, ও বেলা হাতিবাগান যাব। আর কোনও বাহানা শুনব না।’’

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement