Novel

বৃশ্চিকবৃত্ত

প্রায় মিনিটদশেক পর দূরে দিকচক্রবালে একটা কালো রঙের ফুটকি। সঙ্গে সঙ্গে সোজা হয়ে দাঁড়াল উসমান। শরীরী ভাষা মুহূর্তে টানটান। ও জানে ওটা কী।

Advertisement

সুপ্রিয় চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২১ ০৭:০৭
Share:

ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক।

বড় বড় ঢেউ বার বার এসে সশব্দে আছড়ে পড়ছে পাথরগুলোর গায়ে। মাছের সন্ধানে আকাশে চক্কর কাটতে থাকা সিগালের ঝাঁক। থেকে থেকেই তাদের টানা ট্রি-ই-ই-ই ডাক নির্জন দুপুরের নিঃস্তব্ধতাকে চিরে রেখে দিচ্ছে।

Advertisement

বিশাল গোলাকৃতি একটা পাথরের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল উসমান কালিয়া। পাশে জনাচারেক সহচর। উসমানের চোখে লাগানো একটা বহুমূল্য অত্যাধুনিক বায়নোকুলার। তার দৃষ্টি নিবদ্ধ দূরসমুদ্রে।

প্রায় মিনিটদশেক পর দূরে দিকচক্রবালে একটা কালো রঙের ফুটকি। সঙ্গে সঙ্গে সোজা হয়ে দাঁড়াল উসমান। শরীরী ভাষা মুহূর্তে টানটান। ও জানে ওটা কী। সাধারণত এ সব কাজে নিজে আসে না ও। কিন্তু এই প্রথম বার ডিল করতে যাচ্ছে দুবাইয়ের নতুন পার্টিটার সঙ্গে। ফলে নিজে না এলে চলত না।

Advertisement

একটু একটু করে বড় হচ্ছে ফুটকিটা। একটা মাঝারি আকারের মোটরলঞ্চ। এগিয়ে আসছে ঢেউ কেটে। পাড়ের সঙ্গে যখন লঞ্চটার দূরত্ব আর মাত্র আধ কিলোমিটার, ঠিক তখনই একদম পাড় ঘেঁষা পাথরগুলোর আড়াল থেকে উঠে দাঁড়াল পাঁচ-ছ’জন লোক। গায়ের রং রোদে পুড়ে মিশকালো। সবার পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি আর দক্ষিণী কায়দায় ভাঁজ বাঁধা লুঙ্গি। মাথায় জেলে টুপি। ওদেরই মধ্যে এক জন, পাথরে ঘেরা সরু খাঁড়ির আড়াল থেকে দড়ি টেনে বার করে আনল একটা ছোট মাছধরা নৌকা। আর পরমুহূর্তেই বিদ্যুৎগতিতে লাফ দিয়ে সেটায় চড়ে বসল সবাই। দাঁড়ের ঠেলায় এগিয়ে গেল নৌকোটা।

গোল পাথরটা ছেড়ে এগিয়ে এসে গোটা ঘটনার দিকে চোখ রাখছিল কালিয়া উসমান। মিনিট কুড়ি পর উথালপাথাল ঢেউ সামলে লঞ্চের গায়ে গিয়ে ভিড়ল মাছধরা নৌকোটা। লঞ্চের লোকেরা ধরাধরি করে মাঝারি আকারের চারটে কাঠের পেটি নামিয়ে দিল নৌকোয়। মিনিটখানেক পর লঞ্চের কেবিন থেকে বেরিয়ে এল এক জন দীর্ঘদেহী আরববাসী। পরনে ধবধবে পাটভাঙা সাদা আরবি জোব্বা। লঞ্চের গায়ে ঝোলানো দড়ির মই বেয়ে নেমে এসে নৌকোয় বসল লোকটা। দেখতে দেখতে পাড়ে এসে দাঁড়াল নৌকো। গোড়ালি-জল ছপছপিয়ে পাড়ে উঠে এল সেই দীর্ঘকায় আরববাসী। পালিশ করা হাতির দাঁতের মতো গায়ের রং। সুবিন্যস্ত ভাবে ছাঁটা দাড়ি। জোব্বার এক হাত গভীর পাশপকেট থেকে মাঝ বরাবর ছেঁড়া একটা আরবি রিয়ালের নোট বার করে আনল লোকটা। তার পর সোজা তাকাল উসমানের দিকে। পকেটে হাত ঢুকিয়ে একই রকম আধকাটা একটা নোট টেনে বার করল উসমান। দুটো টুকরোকে জোড়া লাগাল লোকটা। একই নোটের দুটো টুকরো, সন্দেহ নেই। মুচকি হাসি ফুটে উঠল দু’জনের মুখে। ভাঙা ভাঙা আরবি আর মুম্বাইয়া টপোরি বুলিতে মিনিটকয়েকের সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা, করমর্দন। একটা মজবুত ব্রিফকেস লোকটার দিকে এগিয়ে দিল উসমানের পাশে দাঁড়ানো শাগরেদদের এক জন। ফিরে গিয়ে নৌকোয় বসে পড়ল আরববাসীটি। মাঝিদের মধ্যে দু’জন ফের নৌকো বেয়ে এগিয়ে গেল লঞ্চের দিকে। পাড়ে থেকে যাওয়া বাকিরা তত ক্ষণে পেটিগুলো ভরে ফেলেছে গাড়ির ডিকিতে। ওদের সর্দারের হাতে মোটা একটা নোটের বান্ডিল গুঁজে দিল উসমান, “আপস মে বাঁট লেনা সব...” বলে দ্রুত গিয়ে বসে পড়ল গাড়িতে।

সমুদ্রের পাড় ধরে ছুটছিল কালো জাগুয়ার। জানলার ধারে বসা উসমান। এমন সময় পাঠান-স্যুটের বুকপকেটে ফোনটা বেজে উঠল। তুলে কানে লাগাতেই ও দিকে বাবুরাওয়ের গলা।

“ক্যা খবর উসমান?”

“সব মস্ত চল রহা বাবুভাই। আয়া থা ম্যাঙ্গালোর, থোড়া বিস্কিট উঠানে,” বেজায় খুশিয়াল গলায় জবাব দিল
কালিয়া উসমান।

শোনামাত্র লাইনের ও প্রান্তে বিরক্তিতে ঝাঁঝিয়ে উঠল বাবুরাও, “উসমান! কিতনা বার বোলা তেরেকো, আভি ইয়ে সব কাম মে খুদ মত যানা। এ দিকে ওই কাজটা করে দেওয়ার জন্য বহোত খুশ হয়েছেন মনুভাই। তুই তো জানিস রুলিং পার্টিতে ওর কত সোর্স, কিতনা পাওয়ার। আগে হফতায় তোর ব্যাপারে পার্টি সুপ্রিমোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন উনি। সামনে মিউনিসিপ্যাল ইলেকশন। সেখানে কর্পোরেটর হিসাবে তোর এলাকা থেকে তোকে দাঁড় করানোর কথা ভাবছে পার্টি। আর তুই কি না সেই পুরনো মাওয়ালি গুন্ডার মতো দরিয়া থেকে গোল্ড বিস্কিট খালাস করতে যাচ্ছিস!” বিরক্তির ঝাঁঝটা বাড়ছিল বাবুরাওয়ের গলায়, “ছোটামোটা পকেটমারি দিয়ে জিন্দেগি শুরু করেছিলি। আভি তক তেরা নজর উঁচা নহি হুয়া সালা।”

লাইনের ও পারে কিছু ক্ষণ চুপচাপ বাবুরাও। ফের যখন বলা শুরু করল, গলার আওয়াজ অনেকটাই ঠান্ডা, “শোন কালিয়া, নিজে হাতে এখন থেকে এ সব কামকাজ আর একদম করবি না তুই। তোর গ্যাঙের ছেলেছোকরারা করবে। তু সির্ফ পিছে সে উংলি নাচায়গা। অব তু পয়সাওয়ালা বন গিয়া। খোকা খোকা রোকড়া (কোটি কোটি টাকা) হ্যায় তেরে পাস। আভি উঁচা সোসাইটিওয়ালা বননা হ্যায় তেরেকো, ইজ্জত কামানা হ্যায় ওহ হোয়াইট কলার শেঠলোগোঁকে তরহা, সমঝা?”

“সমঝা ভাই,” নিচু গলায় জবাব দিল উসমান।

“বহোত জলদি এক দিন মিলুঙ্গা তেরে সে। বহোত কুছ ডিসকাস করনা হ্যায় তেরে সাথ, জয় মহারাষ্ট্র,” লাইন কেটে দিল বাবুরাও।

ফোনটা পকেটে রেখে চুপ করে বসে রইল উসমান। মনের মধ্যে একটা চোরা খুশির ঘোরাফেরা। ঠিকই বলেছে বাবুভাই। নিজে হাতে এ সব কাজ এখন আর মানায় না একদম। পলিটিক্সে ঢুকতে হবে ওকে। হোয়াইট কলার জেন্টলম্যান বনতে হবে। পাবলিকের নজরে ও এখন কালিয়া উসমান। খতরনাক গ্যাংস্টার! ও শালারাই ক’দিন বাদে ওকে ‘কর্পোরেটর উসমান ভাই’, ‘লিডার উসমান শেখ’ বলে ডাকবে। হারামি যশবন্ত তাওড়ে! ওকে এনকাউন্টারের ভয় দেখাচ্ছে হারামি! এক দিন ওই শালাই কুত্তার মতো পা চাটবে উসমানের। উঠতে বসতে সেলাম ঠুকবে দিনে হাজার বার। লেকিন সবসে পহলে পলিটিক্সকে জ়মিন মে ঠিক সে আপনা পাও জমানা চাহিয়ে। তার পর কর্পোরেটর, বিধায়ক, উসকে বাদ মিনিস্টার, শর কা উপ্পর বাবুরাও, মন্নুভাই, অওর সব সে উপর পার্টি কা হাত হ্যায় তো সব কুছ পসিবল হ্যায় সালা! চোখ বন্ধ করে গাড়ির নরম গদিতে শরীরটাকে ছেড়ে দিল কালিয়া উসমান।

হাসপাতালের বেডে শোয়া মেয়েটা। বুক অবধি টানা মোটা কম্বল। নাকে অক্সিজেনের নল। হাতে বেঁধানো রক্তের সুচ। চেতন আর অবচেতনের মাঝামাঝি একটা ঘোর লাগা ভাব। মেয়েটার প্রায় মুখের কাছে উপুড় হয়ে থাকা সন্তোষী। মাঝে মাঝে অতি ক্ষীণ গলায় নেপালিতে কিছু বলার চেষ্টা করছে মেয়েটা। কান পেতে একমনে সেটা শোনার চেষ্টা করছে সন্তোষী। মাঝে মাঝে টুকটাক প্রশ্ন করছে। পাশে দাঁড়ানো মজিদসাহেব বা রুদ্র, কারও পক্ষেই কিছু বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। মিনিটদশেক বাদে পুরোপুরি জ্ঞান হারাল মেয়েটা। শীর্ণকায় মুখটা হেলে পড়ল এক পাশে।

“ওকে আর ডিস্টার্ব করবেন না ম্যাডাম। কন্ডিশন খুব ক্রিটিক্যাল। একটু রেস্টে থাকতে দিন মেয়েটাকে,” বলে উঠলেন বেডের পাশে দাঁড়ানো অ্যাটেন্ড্যান্ট নার্স।

“সরি সিস্টার,” বলে উঠে দাঁড়াল সন্তোষী। তার পর সবাই মিলে বেরিয়ে এল কেবিনের বাইরে।

“কিছু বলল মেয়েটা?” রুদ্রর গলায় উদ্বেগ।

চিন্তিত চোখে রুদ্রর দিকে তাকাল সন্তোষী, “আনসার ইজ় রাদার কনফিউজ়িং স্যর। অস্পষ্ট, অসংলগ্ন, তা ছাড়া কথা জড়িয়ে যাওয়ার প্রবলেমও হচ্ছে বার বার। তার মধ্যেও খুব আবছা ভাবে যে ক’টা কথা মোটামুটি উদ্ধার করা গেছে, তাতে জানা যাচ্ছে, মেয়েটার নাম আশা। বাড়ি নেপালের হিলি রিজিয়নের কোনও রিমোট ভিলেজে। হার সেকেন্ড আনসার ইজ় হাইলি ইন্টারেস্টিং অ্যান্ড সাসপিশাস টু। মুম্বইয়ে ওর গায়ের চামড়া নাকি খুলে নিয়েছে কারা! ডোন্ট মাইন্ড স্যর,” রুদ্রর দিকে সামান্য দ্বিধাগ্রস্ত চোখে তাকাল সন্তোষী, “আমার কাছে তো খানিকটা আজগুবিই মনে হয়েছে ব্যাপারটা। তবু বার বার প্রশ্ন করেছি লোকগুলো কারা? ও তাদের চেনে কি না? উত্তরে ও বলেছে, সবার মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। তবে ওর একটা কথা খুব ইন্টারেস্টিং। ও বলছে, একটা লোক ওকে নেপাল থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল। পরে ওকে মুম্বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ও নাকি লোকটাকে দেখলে চিনতে পারবে। লোকটা হিন্দিতে কথা বলে। তবে নেপালের পাহাড়ি আদিবাসীদের ভাষাও খুব ভাল জানে। তবে বার বার কথা জড়িয়ে বুঝতে খুব প্রবলেম হচ্ছে।”

“হুমম!” লম্বা একটা শ্বাস ফেলে কিছু ক্ষণ চুপ করে রইল রুদ্র। তার পর ঘুরে তাকাল মজিদের দিকে, “মজিদসাহেব, অন্বেষা মিত্র মার্ডার কেসে যে ছেলেটা পসিবল সাসপেক্টের ছবি এঁকেছিল, তার নামটা যেন কী?”

“কৌস্তুভ, স্যর,” তড়িঘড়ি জবাব দিলেন মজিদ।

“কাল অ্যাট শার্প টেন এ এম ওকে চলে আসতে বলবেন। তার মধ্যে সন্তোষী আরও যতটা পারবে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাবে, অবশ্যই যদি মেয়েটা উত্তর দেবার অবস্থায় থাকে,” বলতে বলতে অ্যাটেন্ড্যান্ট নার্সের দিকে ঘুরে তাকালো রুদ্র, “ডাক্তারবাবুকে এখন কোথায় পাওয়া যাবে ?”

“ওয়ার্ড ভিজ়িট সেরে, পেশেন্ট পার্টিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে উনি চেম্বারে ফিরবেন মিনিট পনেরোর মধ্যে। আপনারা তত ক্ষণ ওঁর চেম্বারে গিয়ে অপেক্ষা করুন। উনি আমাদের সে রকমই ইনস্ট্রাকশন দিয়ে গেছেন,” জবাব দিলেন নার্স।

“ওকে,” বলে টিমের সবাইকে নিয়ে ডক্টর্স চেম্বারের দিকে রওনা দিল রুদ্র। যেতে যেতেই মোবাইল ফোনে একটা নম্বর ডায়াল করে কানে লাগালেন মজিদসাহেব।

বারের এক কোণে একটা টেবিলে বসেছিল কৌস্তুভ। এক মাথা ঝাঁকড়া উস্কোখুস্কো চুল। কোঁচকানো ইস্ত্রিবিহীন শার্ট আর ময়লা হাঁটু-ছেঁড়া জিন্স। কোলের ওপর ঝোলা ব্যাগ। সামনে একটা বিয়ারের বোতল। আধখালি। তার পাশে একটা সস্তা রামের পাটিয়ালা পেগ। একটু একটু করে বিয়ারের গ্লাসে রাম মিশিয়ে ছোট ছোট চুমুক দিচ্ছিল কৌস্তুভ। পাশে শালপাতার বাটিতে বিটনুন মাখানো পেয়ারার টুকরো। শেষ বিকেলের বার। বেজায় ভিড়ভাট্টা। কাঁউমাউ চেল্লামিল্লি। ট্রে-তে মালের গ্লাস আর ছোট ছোট বাটিতে মেটে চচ্চড়ি, চিলি চিকেনের টুকরো, ব্রেন মশলা, কাটা ফল, ফিশ ফিঙ্গার ইত্যাদি নানাবিধ চাটের সম্ভার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেয়ারারা। সব মিলিয়ে বারের আবহাওয়া যখন বেজায় সরগরম, ঠিক তখনই বেজে উঠল পকেটের মোবাইল। টেবিল থেকে উঠে টয়লেটের ফাঁকা দিকটায় সরে গেল কৌস্তুভ। লাইনের ও পারে মজিদসাহেব।

“কালকে ঠিক সকাল দশটার মধ্যে যে এক বার হেডকোয়ার্টারে আসতে হবে ব্রাদার। তোমাকে নিয়ে এক জায়গায় যাব। এক জনের বয়ান শুনে ছবি আঁকতে হবে একটা।”

“কিন্তু স্যর, আমার শরীরটা যে খারাপ ক’দিন ধরে। জ্বর জ্বর ভাব কী রকম একটা…”

“সে তো চার পাশের নরক গুলজার শুনেই বুঝতে পারছি।” কৌস্তুভের কথা শেষ হওয়ার আগেই বলে উঠলেন মজিদসায়েব, “চিন্তা নেই, দোরগোড়ায় গাড়ি পাঠিয়ে দেব। কাল শার্প দশটা, মনে থাকে যেন!” কেটে গেল লাইনটা।

পর্দা সরিয়ে চেম্বারে ঢুকলেন ডক্টর চিন্ময় পত্রনবীশ। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল রুদ্র, “প্লিজ় বি সিটেড,” বলে এগিয়ে এসে নিজের চেয়ারে বসে পড়লেন ডক্টর পত্রনবীশ।

“পেশেন্টের কন্ডিশন কেমন বুঝছেন স্যর?” উদ্বিগ্ন চোখে ডাক্তারবাবুর দিকে তাকাল রুদ্র।

“সত্যি কথা বলতে কি মিস্টার ব্যানার্জি, কন্ডিশন অব দ্য পেশেন্ট ইজ় ভেরি সিরিয়াস,” গম্ভীর মুখে বললেন ডক্টর পত্রনবীশ, “মেয়েটা এইচআইভি ইনফেক্টেড। তবে সেটা এখন ফুল ব্লোন স্টেজে চলে গেছে।”

“ফুল ব্লোন মানে?” প্রশ্ন করল রুদ্র।

“মানে এখন ব্যাপারটা আর এইচআইভি স্টেজে আটকে নেই। এডস হয়ে গেছে মেয়েটার।”

শুনেই চোখ বন্ধ করে ফেলল রুদ্র। ভুরুজোড়া কুঁচকে গেছে ধনুকের মতো। তীব্র রাগে আর যন্ত্রণায় চোয়াল পাথরের মতো শক্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement