দুর্গাপুর সেতুর উপর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত।
তপসিয়ার পর এ বার নিউ আলিপুর। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর সেতুর নীচের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে গিয়েছে ওই বস্তির একের পর এক ঝুপড়ি। প্রথমে স্থানীয়েরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ আচমকাই আগুন লাগে ওই বস্তিতে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ওই বস্তির একাধিক ঝুপড়ি। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় আকাশ। যে জায়গায় আগুন লেগেছিল, তার পাশে বেশ কয়েকটি বহুতলও রয়েছে। বস্তি এলাকায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে দমকলের আশঙ্কা। বহু ঝুপড়ি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার শব্দ বলেই মনে করেন দমকল কর্মীরা।
দুর্গাপুর সেতুর উপর থেকে জল ছড়িয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। নিউ আলিপুরের সেনাছাউনি থেকে জওয়ানেরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সেনাছাউনি থেকে জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে যান তাঁরা। দমকলকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।
কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ঘটনার জেরে বন্ধ দুর্গাপুর সেতুর উপর যান চলাচল। ফলে ব্যস্ত সময়ে নিউ আলিপুর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
শুক্রবার সকালে তপসিয়ার এক বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। শতাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের দুই বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ। তিনি জানান, কেন বার বার ঝুপড়িতে আগুন লাগছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।