বাংলা থেকে অম্বেডকরকে জিতিয়েছিলেন যোগেন্দ্রনাথ

হিন্দুস্তান-পাকিস্তান বিভাজনকে প্রথাগত দৃষ্টিতে দেখেননি যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। ১৯৩৭-এ বাংলার প্রথম প্রাদেশিক আইনসভায় অসংরক্ষিত আসনে জয়, পরে পাকিস্তানে গিয়ে মন্ত্রী হওয়া। সেখানেও লিয়াকত আলি খানের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে কলকাতায় চলে আসা, নমশূদ্র সমাজকে বারংবার সংগঠিত করার চেষ্টা। আজ বিস্মৃতির অন্ধকারে। মৈনাক বিশ্বাস। মানুষটা কে, আজ অনেকেই তা মনে করতে পারবে না। এই কথাগুলো যখন লিখছেন, তখন থেকেই যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিস্মৃতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন। ১৯৫২ সাল থেকে পর পর সব সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, ’৬৪-তে একটা উপনির্বাচনও লড়েছেন। সব ক’টাতেই হেরেছেন। ’৬৭-তেও যে হারবেন প্রায় জানা ছিল সে কথা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৮ ০০:৪৬
Share:

নেতা: যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

আমি বাংলা ভাগের তীব্র বিরোধিতা করিয়াছি।... আমি তখন ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রী ছিলাম। বঙ্গভঙ্গের আন্দোলনকে বাধা দিবার উদ্দেশ্য লইয়া ২২শে এপ্রিল তারিখে আমার নূতন দিল্লীস্থ অস্থায়ী বাসভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করি... সেই বিবৃতিতে আমি বলিয়াছিলাম যে— ‘যদি বাংলাভাগ একান্তই হয় তাহা হইলে পূর্ব্ববঙ্গের হিন্দুদের ভিটামাটি ও বিষয় সম্পত্তি ত্যাগ করিয়া ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় গ্রহণ ভিন্ন অন্য কোনও উপায় থাকিবে না।’” ১৯৬৭-র সাধারণ নির্বাচনে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী একটি ছোট পুস্তিকা ছাপিয়ে মানুষকে আপ্রাণ বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি দেশভাগ চাননি, হিন্দু উৎপীড়ন তাঁর কাম্য ছিল না। নিজের যে বিবৃতি তিনি উদ্ধৃত করছেন সেটি ১৯৪৭ সালে সংবাদপত্রে প্রকাশিত। ‘আমার দু-চারটি কথা’ নামক ওই পুস্তিকায় আরও লিখছেন, “গান্ধিজী তখন ভারতের একচ্ছত্র নেতা। সর্দার প্যাটেল, চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, গোবিন্দ বল্লভ পন্থ প্রভৃতি কংগ্রেসের সর্ব্বভারতীয় নেতাগণ সকলেই তখন জীবিত ছিলেন। তাঁহারা কেহই কিছু করিলেন না, আমিই ভারতবর্ষ ভাগ করিয়া দিলাম! যেন ভারতবর্ষটার উপরে সর্ব্বময় কর্তৃত্ব আমারই ছিল! খুলনা জিলা পাকিস্তানভূক্ত হওয়ার জন্যও একদল লোক আমাকে দায়ী করেন। এ যেন খুলনা আমার পৈতৃক জমিদারী। আমি ইচ্ছা করিয়া আমার পৈতৃক জমিদারীটা পাকিস্তানকে উপহার দিলাম।”

Advertisement

মানুষটা কে, আজ অনেকেই তা মনে করতে পারবে না। এই কথাগুলো যখন লিখছেন, তখন থেকেই যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিস্মৃতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন। ১৯৫২ সাল থেকে পর পর সব সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, ’৬৪-তে একটা উপনির্বাচনও লড়েছেন। সব ক’টাতেই হেরেছেন। ’৬৭-তেও যে হারবেন প্রায় জানা ছিল সে কথা। বামপন্থীদের সমর্থন থাকায় একটা ক্ষীণ আশা ছিল; কিন্তু দেখা গেল ফলাফলে যোগেন্দ্রনাথ তিন নম্বরে আছেন। ওঁর এবং ওঁর সহকর্মীদের মনে হয়েছিল, বিশ্বাসঘাতকতার এ আর এক অধ্যায়। উচ্চবর্ণের লোকেরা ওঁকে ভোট দেয়নি, দিয়েছে শুধু নমশূদ্র জনতা। অথচ ওঁর প্রচারের ফলে বাম প্রার্থীরা নমশূদ্রের ভোট পেয়েছেন। কিন্তু নমশূদ্ররাও সবাই যে ওঁকে সমর্থন করে এসেছে এমন নয়, সাম্প্রতিক ইতিহাসবিদরা অন্তত সেটাই বলছেন। ওঁকেই যখন বারবার বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তখন এমনটাই যে হবে তাতে আর আশ্চর্য কী। পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে কী করে ফজলুল হকের আইনসভায় রইলেন; ১৯৪৩-এ খাজা নাজিমুদ্দিনের সরকারে কেন মন্ত্রী হয়ে যোগ দিলেন, ’৪৬-এর দাঙ্গা হয়ে যাওয়ার পর কোন উদ্দেশ্যে সুরাবর্দির সরকারে থেকে গেলেন— ইত্যাকার প্রশ্নে তাঁকে স্বাধীনতার আগে থেকেই বিদ্ধ হতে হয়েছে। বাংলার বিপুল সংখ্যক গরীব, নিপীড়িত কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ ছিল তফসিলি ও মুসলমান। মূলত উচ্চবর্ণের হিন্দু জমিদার শ্রেণির সঙ্গে লড়াইয়ে সেই শ্রেণিরই প্রতিভূ কংগ্রেস সহায়তা করবে না, এটা তিরিশের দশক থেকে যোগেন্দ্রনাথের উপলব্ধি। ১৯৩৭-এ বাংলার প্রথম আইনসভায় অসংরক্ষিত আসনে জিতে এমএলএ হন বরিশালের এই নমশূদ্র কৃষক-সন্তান। এবং তখনই তফসিলি সদস্যদের সংগঠিত করে তাদের স্বতন্ত্র সংসদীয় অস্তিত্ব নির্মাণ করতে শুরু করেন, যাতে কংগ্রেস, মুসলিম লিগ বা ইংরেজদের সঙ্গে তারা দর কষাকষি করে এগোতে পারে। গরিব নিম্নবর্ণের অস্তিত্ব হিন্দু বা মুসলমান পরিচিতিতে আটকে পড়বার নয়— এই উপলব্ধির যে-রাজনীতি তার অন্যতম নেতা ছিলেন যোগেন মণ্ডল। আমরা এ বিষয়ে অম্বেডকরকে মনে রেখেছি, যোগেন্দ্রনাথকে একেবারে ভুলে গিয়েছি। ভুলে গিয়েছি এই দুই নেতার সম্পর্কের কথাও। ইতিহাস-অনুসন্ধানীরা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ’৪৬-এর কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে অম্বেডকর বোম্বাই থেকে হেরে যাওয়ার পরে যোগেন্দ্রনাথই তাঁকে বাংলা থেকে জিতিয়ে এনেছিলেন।

নাজিমুদ্দিন তফসিলি দাবিগুলি মেনে নেওয়াতে যোগেনবাবুর মনে হয়েছিল, হয়তো এঁরা দলিত ও গরীবের কল্যাণ সাধনে সাহায্য করবেন। তফসিলি এমএলএ-রা সবাই নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্ব মেনে নেন। ওই পুস্তিকায় উনি লিখছেন, নাজিমুদ্দিন মন্ত্রিসভায় আরও পাঁচ জন হিন্দু মন্ত্রী ছিলেন, ছ’জন হিন্দু পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন; “কিন্তু দুঃখের বিষয় একমাত্র আমিই ‘যোগেন আলী মোল্লা’ নামে অভিহিত হইলাম।” শোনা যায়, ওঁর এক কালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এই নামটি চালু করেছিলেন। কুড়ির দশকের শেষ থেকে বাংলায় যে উচ্চবর্ণ জমিদার মহাজন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় তা ক্রমশ পরিচিতি বা আইডেন্টিটি নির্মাণের ঘূর্ণিপাকে পড়ে সাম্প্রদায়িক আকার ধারণ করে। যত ক্ষণে যোগেন্দ্রনাথ রাজনীতির আসরে প্রবেশ করেছেন, সেই প্রক্রিয়া ক্রমশ জটিল ও মারাত্মক আকার নিতে আরম্ভ করেছে; নিম্নবর্গের দাবি আত্মসাৎ করছে হিন্দু-মুসলমান বিভাজন, যার রক্তক্ষয়ী পরিণতি ঘটবে ১৯৪৬-৪৭-এ। রাষ্ট্র কোন সমাজের স্বার্থ রক্ষা করবে তা মাথায় রাখলে হিন্দুস্তান-পাকিস্তান বিভাজন যে অর্থহীন সে কথা যোগেন্দ্রনাথ জানতেন। পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি ওঠার মুহূর্তেই অম্বেডকর জানিয়েছিলেন, স্বাধীন দেশ উচ্চবর্ণের হাতে থাকবে জেনেই নির্যাতিত ‘অস্পৃশ্য’রা স্বাধীনতা চাইবে, তার পরে জারি থাকবে তাদের লড়াই।

Advertisement

আইডেন্টিটির হাতবদলের খেলা যোগেন্দ্রনাথ প্রত্যক্ষ করেছেন। জাত, শ্রেণি, ধর্ম, রাষ্ট্র— এক-এক সময় এক-এক সুতোর টানে কী ভাবে পরিচিতি জিনিসটা দুলতে থাকে, তা বহু মূল্য দিয়ে ওঁকে বুঝতে হয়েছে। নমশূদ্রদের মধ্যে যে-বিভাজন ঘটতে থাকল সেও ছিল এই খেলার অংশ। দেশভাগের আগেই কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভা আর মুসলিম লিগের প্রতি সমর্থনের টানে অন্তত তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছিল তারা। ব্যাপারটা যে শেষ অবধি পরিহাসের, যোগেন্দ্রনাথের জীবন তার সাক্ষাৎ প্রমাণ। ১৯৫০-এর পরে যখন উদ্বাস্তু আন্দোলনে যোগ দিলেন, তখন তাঁকে কখনও কংগ্রেস, কখনও হিন্দু মহাসভা, কখনও কমিউনিস্টদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে হয়েছে; কুপার্স ক্যাম্প, বাগজোলা, ঘুষুড়ি, কইজোলার নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের অমানুষিক দুর্দশা লাঘবে লড়াই করতে গিয়ে জাত-পরিচয় আড়ালে রেখে স্লোগান দিতে হয়েছে ‘আমরা কারা? বাস্তুহারা।’

ছবিতে ফজলুর রহমান ও খাজা নাজিমুদ্দিনের পাশে বসে।

বাংলা ভাগের বিপক্ষে যাঁরা লাগাতার সওয়াল করে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। শরৎ বসু গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার পরেও এই বিষয়ে তাঁর অনুগামী যোগেন্দ্রনাথ যে সেই প্রচার করে গিয়েছেন তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু সে সব ভুলে গিয়েছিল তাঁর স্বদেশবাসী। স্বাধীনতার মুহূর্তে এমন একটা কাজ তিনি করলেন, যাতে তাঁকে একেবারে একা হয়ে যেতে হল। নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস আঁকড়ে থেকে পাকিস্তানে চলে গেলেন সে দেশের প্রথম আইন ও শ্রমমন্ত্রী হয়ে। বছর দুয়েকের মধ্যে বড়সড় সঙ্কট উপস্থিত হল। ১৯৪৯-এ খুলনার এক গ্রামে পুলিশ কমিউনিস্ট কর্মীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে নমশূদ্র গ্রামবাসীদের আক্রমণ করে; এর পরেই বরিশাল-সহ অন্যান্য জেলায় হিংস্র আক্রমণ নেমে আসে গ্রামবাসীদের উপর, ব্যাপারটা হিন্দু-মুসলিম বিরোধিতায় পর্যবসিত হয়। সমাজের উঁচু তলার হিন্দুরা আগে থেকেই আসতে শুরু করেছিল; ১৯৫০ সাল থেকে দলে দলে দরিদ্র নিম্নবর্ণের মানুষ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে থাকে। ও পার বাংলার ঘটনার অভিঘাতে এ দিকে পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান-বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। ’৫০-এর অক্টোবরে লিয়াকত আলি খানকে এক দীর্ঘ পত্র লিখে পদত্যাগ করলেন যোগেন্দ্রনাথ; জানালেন, “পাকিস্তান হিন্দুদের পক্ষে বাসোপযোগী স্থান নহে”।

এর পরে এই কলকাতা শহরেই ছিলেন, চেষ্টা করেছিলেন উদ্বাস্তু ও দলিত আন্দোলনে শামিল হয়ে রাজনৈতিকঅস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে। কিন্তু তত দিনে হিন্দু মুসলমান দুইয়ের কাছেই তিনি অস্পৃশ্য হয়ে উঠেছেন। আপন অনুগামী ও বন্ধুবান্ধবদের তাগিদে তিনি বারংবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন, কখনও তাঁকে ঘিরে সঙঘ গড়ে উঠেছে, কিন্তু কোনওটাই স্থায়ী হয়নি। সঙ্ঘ তৈরি হওয়া কঠিন ছিল, কারণ, দেশভাগের ফলেই বাংলার নিম্নবর্ণের আন্দোলন, নমশূদ্রদের বিশাল সাংগঠনিক শক্তি বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিল, সাম্প্রদায়িক পরিচিতির টানে হিন্দু সত্তার মধ্যেও মিশে গিয়েছিল অনেকটা। যোগেন্দ্রনাথও আগের মতো ‘আমরা হিন্দু মুসলমান কোনওটাই নই’— এ কথা আর জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। এ দিকে উদ্বাস্তু আন্দোলনের নেতারা অনেকে তাঁকে বিভেদ সৃষ্টিকারী বিপজ্জনক লোক হিসেবে দেখেছেন। উদ্বাস্তুদের সবার অবস্থা এক রকম ছিল না। কলকাতা-সংলগ্ন কলোনি আর কুপার্স ক্যাম্পের মতো অজস্র অস্থায়ী শিবিরের তফাত ছিল এই যে, দ্বিতীয় অংশের মানুষেরা ছিলেন দলিত, মূলত নমশূদ্র। তাদের অবস্থা ছিল অনেক বেশি দুঃসহ। যোগেন্দ্রনাথ একটা নতুন রিফিউজি সংগঠন গড়লেন এই ভেবে যে হিন্দু ভদ্রলোকের উদ্বাস্তু আন্দোলন এদের স্বার্থ দেখবে না। দলিত উদ্বাস্তুদের জোর করে দণ্ডকারণ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা জোর লড়াই করেছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয় বছর তিনেকের মধ্যে।

প্রকাশ্যে দলিতের লড়াইয়ের কথা ওঁর পক্ষে সর্বত্র বলা সম্ভব হচ্ছিল না, ভোটের প্রচারে তো নয়ই। আসলে পরিচিতির ব্যাপারটাই এমন। ‘যোগেন মণ্ডল কে’ আর ‘যোগেন মণ্ডল কী’— এই দুই প্রশ্ন যে একে অন্যকে ঠেলে এ দিক-ও দিক সরিয়ে দেবে সেটা উনি নিশ্চয়ই জানতেন। অম্বেডকরের ‘শিডিউল্ড কাস্টস ফেডারেশন’-এর বাংলা প্রদেশের নেতা ছিলেন, শেষে ১৯৬৩ সালে অম্বেডকরের রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দিলেন। কিন্তু জাত ধর্ম দেশ দূরে থাক, দলীয় আইডেন্টিটি— সেও যোগেন্দ্রনাথের স্থির ছিল না। আইডেন্টিটির ব্যাপারটাই এমন; মানুষ জন্মে তাকে ধারণ করে, বা দেখেশুনে নির্বাচন করে— এই দুটোই বোধহয় সঙ্কীর্ণ ধারণা। আইডেন্টিটি মানুষকে খোঁজে, এমন বললে বরং আরও ঠিক বলা হয়। এই খেলায় কখনও এক, কখনও আর এক পরিচিতি যোগেন মণ্ডলকে খুঁজে বের করেছে,তাঁকে ভর করেছে। যোগেন্দ্রনাথ কী— এ প্রশ্নের উত্তর নেই।

১৯৬৭-র যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরে আবার ভোট এল। আবারও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন, কাগজে এমন খবর বেরোল ১৯৬৮ সালের ৫ অক্টোবর। সেই দিনই রিপাবলিকান পার্টির শাখা খোলার জন্যে তিনি এক সঙ্গীকে নিয়ে হেলেঞ্চায় যান। বাসে, রিকশায়, নৌকায়, হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়েন, শেষ পর্যন্ত ওখানেই মারা যান। ওই শেষ দিনটির বর্ণনা শুনলে মনে হয় এই যাত্রার কথাকার হতে পারতেন একমাত্র দেবেশ রায়। কিন্তু তাঁর মহাকাব্যিক উপন্যাস ‘বরিশালের যোগেন মণ্ডল’ শেষ হয়ে গিয়েছে ১৯৪৭ সালে!

কৃতজ্ঞতা: জগদীশ মণ্ডল, শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, অনসূয়া বসু রায়চৌধুরী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বই ও প্রবন্ধ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement