ধারাবাহিক উপন্যাস-পর্ব ৯
Bengali Serial Novel

খরস্রোত

রাস্তায় বেরিয়ে হাঁটতে থাকেন রমানাথ। তাঁর চামড়ার বুটজুতো থেকে মসমস আওয়াজ হয়। কলকাতার জনাকীর্ণ রাস্তায় সেই শব্দ মিলিয়ে যায়।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৪
Share:

ছবি রৌদ্র মিত্র।

পূর্বানুবৃত্তি: পাপড়িবাইয়ের আসরে নেশা, সঙ্গীত ইত্যাদি সব কিছুরই বাসনা পুরোপুরি চরিতার্থ হয় উমানাথের। নিবারণই নেশাগ্রস্ত উমানাথের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়। অন্য দিকে মায়ের খোঁজে প্রায়ই শ্মশানে গিয়ে বসে থাকে ঈশান। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় উমাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি ঈশানকে বলেন শৃঙ্খলবদ্ধ, পরাধীনা ভারতমাতার কথা। ক্ষুদিরামের কথা। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তাঁর দেশমাতৃকাকে বন্দনা করার কথা। এ সব কথা অনুপ্রাণিত করে ঈশানকে। উমাশঙ্কর ঈশানকে তাঁর বাড়ির ঠিকানা দিয়ে যান। বেলঘরিয়া মোষপুকুরের ধারে তাঁর বাড়ি। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায় ঈশান। সে উমাশঙ্করকে জিজ্ঞেস করে, তিনি ওকে বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষা দেবেন কি না। উমাশঙ্কর বলেন, তিনি ঈশানকে দীক্ষার জন্য নিয়ে যাবেন অনুশীলন সমিতিতে। তবে তার আগে ঈশানকে একটা ছোট পরীক্ষা দিতে হবে।

Advertisement

কী  ব্যাপার নিবারণ?” রমানাথ বলেন, “মনে হচ্ছে একটু যেন অবাক হলে আমাকে দেখে?”

“না না, একটু বেরিয়েছিলাম। আসলে, ছেলেটার খুব জ্বর,” নিবারণ কোনও রকমে যুক্তি দাঁড় করায়।

Advertisement

রমানাথের গলার স্বর উচ্চগ্রামে ওঠে। বলেন, “রোজই ছেলের জ্বর থাকে? ঘনশ্যামজি বলছিলেন, কোনও দিনই তুমি সময়মতো আসো না। তোমাকে আমি আজই বিদেয় করতে পারতাম। করলাম না, নেহাত তুমি আমার শ্যালক উষাপতির পরিচিত।”

হঠাৎ নিবারণ রমানাথের পায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বলে, “চাকরিটা খাবেন না, হুজুর। আমি কথা দিচ্ছি, আর এ রকম হবে না কখনও।”

পাশেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল উমানাথ। এ বার মনে হল তারও কিছু বলা দরকার। বলল, “নিবারণ কিন্তু কাজটা ঠিকঠাক করছে।”

ধুতির কোঁচাটা ঠিকঠাক করতে করতে রমানাথ বলেন, “কোন কাজটা? তোমাকে কলকাতা দেখানোর কাজটা?”

উমানাথ স্তম্ভিত হয়ে যায়। কোনও উত্তর দিতে পারে না। নতমস্তকে দাঁড়িয়ে থাকে।

রাস্তায় বেরিয়ে হাঁটতে থাকেন রমানাথ। তাঁর চামড়ার বুটজুতো থেকে মসমস আওয়াজ হয়। কলকাতার জনাকীর্ণ রাস্তায় সেই শব্দ মিলিয়ে যায়। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে ভিড় দেখে দাঁড়িয়ে যান রমানাথ। ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, এক বয়স্ক ভদ্রলোক ইংরেজিতে বক্তৃতা দিচ্ছেন, আর উপস্থিত শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তা শুনছে ও ঘাড় নেড়ে চলেছে। খানিক ক্ষণ দাঁড়িয়ে রমানাথের মনে হল, ভদ্রলোক ইংরেজদের জন্য সৈন্য সংগ্রহে নেমেছেন। ইচ্ছুক ছেলেদের ট্রেনিং দিয়ে ব্রিটিশ সরকার জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ করতে পাঠাবে।

সাধারণত কোনও রাজনৈতিক ব্যাপারে থাকেন না রমানাথ। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের ঢেউ তাঁকে খুব একটা স্পর্শ করেনি। তিনি সরকারের পক্ষেও নন, আবার বিরুদ্ধেও নন। তিনি তাঁর ব্যবসা বোঝেন, আর বোঝেন যে সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করলে, তাঁর ব্যবসাও লাটে উঠবে। তবে, সরকারকে তেল দিয়ে ব্যবসায় উন্নতি করাও তাঁর লক্ষ্য নয়। একটা জিনিস তাঁর মাঝেমধ্যে মনে হয় যে, যারা দেশের জন্য লড়াই করছে, তারা খুব সৎ ভাবে, নিঃস্বার্থ ভাবেই তা করছে এবং এক দিন হয়তো এই দেশ স্বাধীনও হবে। কিন্তু এ দেশের মানুষের নৈতিক চরিত্র যা, তা কি সেই স্বাধীনতাকে মর্যাদা দিতে পারবে? যাঁরা বিপ্লবী, তাঁদের কথা ভাবেন রমানাথ। এই যে ছেলেগুলো বিপ্লব করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে, তারা কি খানিকটা ভুল পথে চালিত হচ্ছে না? ক্ষুদিরাম বলে যে ছেলেটি ফাঁসিকাঠে মারা গেল, কী বয়স তার? কী বুঝেছিল সে? এই সব হাবিজাবি প্রশ্ন তাঁর মনের মধ্যে মাঝেমাঝে জেগে ওঠে। বাড়িতে এক দিন বড়দার সামনেও এই প্রশ্ন করেছিলেন। বড়দা নীলমণি সে দিন খুশির মেজাজে ছিলেন। হয়তো কোথাও ব্রিটিশ নিধনের কাজে তার ছেলেরা সফল হয়েছে। বড়দা তার প্রশ্ন শুনে হেসে বলেছিলেন, “তোমার কাজ তুমি করো রমানাথ। ব্যবসাটা মন দিয়ে করো। বিপ্লবীদের আবেগ তুমি বুঝতে পারবে না।”

রমানাথ চুপ করে যান। মনে মনে ভাবেন, সত্যি বিপ্লবীদের আবেগ তাঁর ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই হৃদয়ের গভীর থেকে তিনি বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু এটা কী দেখছেন তিনি? যে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে এরা লড়াই করছে, তাঁদের সাহায্য করতে কংগ্রেস মাঠে নেমে পড়েছে! ব্যাপারটাকে মোটেই মন থেকে মেনে নিতে পারলেন না রমানাথ। ধীরে ধীরে ভিড় থেকে সরে এলেন তিনি। বেরোতে বেরোতেই এক জনকে প্রশ্ন করলেন রমানাথ, “যে ভদ্রলোক বক্তৃতা দিচ্ছেন, তার নাম কী, ভাই?”

লোকটি রমানাথের দিকে তাকিয়ে থাকল খানিক ক্ষণ। যেন এই রকম আহাম্মক আর দ্বিতীয়টি দেখেনি। তার পর বলল, “কংগ্রেসের সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চেনেন না!”

সন্ধের মধ্যে বাড়ি ফিরে এলেন রমানাথ। বাড়ি ঢোকার মুখেই টের পেলেন, বৈঠকখানায় সুরের আসর বসেছে। রাখাল গান ধরেছে। ভারী সুন্দর গলা ছেলেটির। এড়েদা থেকে আসে। সঙ্গে এক জন তবলচিও আসে। তার হাতটিও বেশ মিষ্টি। রমানাথ উঁকি দেন বৈঠকখানার ঘরে।

উপস্থিত সবাই হইচই করে ওঠে রমানাথকে দেখে। রাখালের গান থেমে যায়। রমানাথের বাল্যবন্ধু ব্রজমোহনের দৃষ্টি পড়ে রমানাথের হাতে ধরে থাকা মিষ্টির হাঁড়ির দিকে। কলকাতা থেকে ফেরার পথে প্রায়ই রমানাথ মিষ্টি নিয়ে ফেরেন। কখনও রসগোল্লা, কখনও সন্দেশ। ভীম নাগের সন্দেশের স্বাদ যেন জিভে লেগে থাকে। নিজে মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন রমানাথ। শরীর-মন ভাল থাকলে, গোটা বিশেক সন্দেশ বা রসগোল্লা অনায়াসেই উদরস্থ করতে পারেন তিনি। কিছু দিন আগেও নেমন্তন্নবাড়িতে খাইয়ে বলে রমানাথের বেশ নাম ছিল। এখন অবশ্য খাওয়া কমিয়েছেন। হজমের সমস্যাটাও দিন দিন বেড়ে চলেছে তাঁর।

ব্রজমোহন বলেন, “রসগোল্লার হাঁড়ি কি উপরের জন্য?”

রমানাথ রসগোল্লার হাঁড়ির দিকে তাকান। বলেন, “না না, তা কেন? অন্য দিন তো উপরেই যায়। আজ নয় নীচেই থাকল।”

রমানাথ হাঁড়িটি ব্রজমোহনের হাতে ধরিয়ে দেন, “তোমরা শুরু করো, আমি হাতমুখ ধুয়ে আসছি।” বলে রমানাথ বৈঠকখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। রাখাল গান ধরে, ‘সে বিনে যাতনা-দুঃখ জানাইব কারে/ অন্তরের যত দুঃখ রইল মম অন্তরে...’

রমানাথ সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়েও দাঁড়িয়ে যান। গানটির সুর ও কথা যেন মনকে আচ্ছন্ন করে। আরও কয়েক মুহূর্ত সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে রমানাথ বাকি সিঁড়িগুলো অতিক্রম করে দোতলার দালানে প্রবেশ করেন।

লম্বা দালানের এক প্রান্তে একটি তক্তপোশে বড়দাকে দেখে একটু অবাক হলেন রমানাথ। বাড়িতে থাকলে, বড়দা তাঁর ঘরেই থাকেন। দালানের তক্তপোশে এই ভাবে বসে থাকেন না। বড়দার চালচলন, বেশভূষা, কথাবার্তা এ বাড়ির সকলের থেকে আলাদা। তিনি কখনও থাকেন, কখনও বা থাকেন না। যখন থাকেন না, তখন অনেক দিন থাকেন না। বাড়িতে ফিরে এসে কোথায় ছিলেন তাও কাউকে বলেন না। কেউ জিজ্ঞেসও করে না বড়দাকে কিছু, কারণ এর উত্তর বড়দার কাছে পাওয়া যাবে না। তা ছাড়া বড়দা চান না কেউ তাঁকে প্রশ্ন করুক। বাড়ির সকলে তাঁকে শ্রদ্ধা করে। তাঁকে ঘিরে সকলের মধ্যে একটা আতঙ্কও থাকে— এই বোধহয় পুলিশ সারা বাড়ি ঘিরে ফেলল।

বছর পাঁচেক আগে ঠিক এ রকম হয়েছিল। খুব ভোরবেলায় সারা বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। কিন্তু বড়দাকে ধরতে পারেনি। বড়দা সে দিন বাড়ি ছিলেন না। বড়দাকে ওরা ধরেছিল কলকাতার গ্রে স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে। যদিও বড়দার বিরুদ্ধে জুতসই প্রমাণ না থাকায় ওঁকে ওরা ছেড়ে দেয়।

রমানাথ জুতো ছেড়ে নীলমণির কাছে এসে বসেন। বলেন, “বড়দা, তুমি এখানে বসে আছ?”

নীলমণি হাসেন। বলেন, “কেন, এই তক্তপোশে বসা কি আমার বারণ?”

রমানাথও হেসে বলেন, “এই বাড়িতে তোমাকে বারণ করবে! কার ঘাড়ে ক’টা মাথা আছে?”

নীলমণি এ বার গম্ভীর হন। বলেন, “তোমার সঙ্গে উমানাথের বিয়ের ব্যাপারে একটু আলোচনা ছিল। এত ক্ষণ নিভার সঙ্গে কথা বলছিলাম।”

“উমার বিয়ে আর কিছু দিন পরে দিলে হয় না?”

“কেন এ কথা বলছ?”

“উমা ব্যবসায় নতুন। আর কিছু দিন যাক, ব্যবসায় মন বসুক। তার পর না-হয় ভাবা যাবে।”

“এই তো সে দিন তুমি বললে ব্যবসায় উমার খুব মন বসেছে।”

“বলেছিলাম ঠিকই। তবে পোক্ত হতে আরও সময় লাগবে।”

নীলমণি চুপ করে যান। তার পর বলেন, “আসলে কী জানো রমা, আমি ওর মনটা ঘরে আনতে চাইছি। আমার কাছে সব খবরই আসে।”

রমানাথ চুপ করে যান। তাঁর ধারণা ছিল, কাজের মধ্যে থাকলে উমানাথের চরিত্রের বদল ঘটবে। অন্য কিছুতে মন দেওয়ার সময় পাবে না। এখন দেখছেন, ভুলই ভেবেছিলেন তিনি। সুরা তো ছিল, এখন বাইজিবাড়িও যাচ্ছে। উষাপতির অনুরোধে নিবারণকে কাজে বহাল না করলেই ভাল হত। তিনি খবর পেয়েছেন, উমানাথকে এই সব বাইজিবাড়ি চেনাচ্ছে নিবারণ।

“কী ভাবছ?” নীলমণি বলেন।

রমানাথ উত্তর দেন, “ভাবছি, বিবাহের পরও যদি উমানাথের এই দোষ বজায় থাকে!”

“আমিও যে এটা ভাবিনি, তা নয়। তবে, আমার ধারণা, বিবাহের পর উমানাথের কুস্থানে যাওয়াটা কমবে,” নীলমণি যুক্তি দেন।

রমানাথ মাথা নাড়েন। তিনি ভাল করেই জানেন, মদের থেকেও বাইজিবাড়ি যাওয়ার নেশা অনেক বেশি শক্তিশালী। সুরার নেশা ত্যাগ করা যায়। বাইজির নেশা ত্যাগ করা শক্ত। বড়দাকে এ সব বললেন না। বলাও যায় না। শুধু বললেন, “বেশ তো, বাবাকে এক বার জিজ্ঞেস করো। তার পর না-হয় পাত্রী দেখা যাবে।”

নীলমণি তক্তপোশ থেকে উঠতে উঠতে বললেন, “পাত্রী আমার ঠিক করা আছে। বাবার সঙ্গে কাল সকালে কথা বলা যাবে।”

নীলমণির সঙ্গে রমানাথও উঠে পড়েন। মুখ হাত পায়ে একটু জল দিয়ে নিভাননীর উদ্দেশ্যে বলেন, “নিভা, খুব খিদে পেয়েছে। কিছু আছে ঘরে?”

নিভাননী শিকে থেকে একটা কৌটো পাড়তে পাড়তে বলে, “ঘরে একটা বৌ আনো, আমার দ্বারা আর সম্ভব হচ্ছে না।”

রমানাথ হাসতে হাসতে বলেন, “সে ব্যবস্থা বড়দা করছেন।”

রমানাথের হাতে কয়েকটা নাড়ু দিয়ে নিভাননী বলে, “সে তো উমানাথের ব্যবস্থা। তাতে সংসারের কী উবগার হবে? উমানাথের যা হালচাল, তাতে বৌকে হয়তো সংসারের কুটোটি নাড়তে দেবে না।”

রমানাথ হাসেন। কোনও উত্তর দেন না। নাড়ুগুলো উদরস্থ করে এক গ্লাস জল খেয়ে, নীচের বৈঠকখানার দিকে পা বাড়ান।

বৈঠকখানায় যখন পা দিলেন রমানাথ, তখন রাখাল গান ধরেছে, ‘বিধি দিল যদি বিচ্ছেদ যাতনা/ প্রেম গেল, তবু কেন প্রাণ গেল না।...’

১১

আদিত্যনাথের বাগানবাড়িতে এক সন্ন্যাসীর আগমন ঘটেছে। দীর্ঘকায় চেহারা। সারা মুখে গোঁফ-দাড়ি। মাথায় দীর্ঘ জটা। নীলমণির কড়া হুকুম, তাঁকে বিরক্ত করা চলবে না। সব সময় নাকি তিনি ধুনি জ্বালিয়ে বসে থাকেন। তাঁর ঘরে প্রবেশ করার অধিকার একমাত্র নিভাননীর। শশিকান্তর খুব ইচ্ছে হয়, সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করার। কিন্তু জেঠামশাইয়ের নিষেধ অমান্য করতে পারে না। তাই মনে মনে কল্পনা করে সন্ন্যাসীর অবয়ব।

নানা রকম খবর বাতাসে ভাসে— সন্ন্যাসী নাকি ত্রিকালদর্শী। তিনি নাকি যা বলেন, তা-ই সত্যি হয়। শশিকান্ত জানে না, এই সব খবর সত্যি কি না। তবে সন্ন্যাসীর দর্শন লাভের ইচ্ছে যে তার প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে উঠছে, এটা সত্যি।

বিকেলে খেলার ছলে সে সন্ন্যাসীর ঘরের কাছে ঘুরঘুর করে, যদি তাঁর দর্শন পাওয়া যায়। এক দিন ধরা পড়ে গেল জেঠামশাইয়ের কাছে। জেঠামশাই গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করলেন, “এখানে কী করছ?”

ভয়ে শশিকান্ত তত ক্ষণে কুঁকড়ে গেছে। কোনও ক্রমে বলল, “খেলছি।”

“খেলছ?” জেঠামশাই বিস্ময় প্রকাশ করলেন। বললেন, “একা একা খেলা যায়? তা ছাড়া, তুমি তো এখানে খেলতে আসো না। আসো?”

“না।”

“তবে?”

শশিকান্ত চুপ করে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে থাকে।

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement