বিজ্ঞাপিত: আয়ুর্বেদিক ওষুধ কিংবা মাথার গন্ধতেল, আজও আশ্চর্য সব পণ্যের সন্ধান দেয় পঞ্জিকা
বঙ্গের স্মরণাতীত কালের ইতিহাস বলছে, পয়লা বৈশাখ বাঙালির নতুন বঙ্গাব্দকে বরণ করার দিন। এক কালে রাজা, জমিদার এবং বনেদি পরিবারে ‘পহেলা বৈশাখ’ ছিল এলাহি ব্যাপার। দুর্গোৎসবের মতো না হলেও, সাধ্যমতো নববর্ষের কেনাকাটা বাঙালির বর্ষবরণের ঐতিহ্য। যদিও কেনাকাটা এখন প্রধানত অনলাইন ‘অফার’-নির্ভর, তবু চৈত্র সেলের সুরভিতে আজও আমোদিত হাতিবাগান, গড়িয়াহাট।
পরিবারের সকলের জন্য খুব সাধারণ হলেও একটি পোশাক আবশ্যক। ঠাকুরঘরের গোপালেরও নতুন জামা, রান্নার ঠাকুর বা জলের ভারীরও নতুন ধুতি-গামছা বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে সামান্য উপহার-সহ মিষ্টান্ন প্রেরণ নববর্ষের অন্যতম আচার ছিল। ঠিক তেমনই, সামাজিক অবস্থান-নির্বিশেষে সমস্ত বাঙালি পরিবারে যে নতুন জিনিসটির আগমন পয়লা বৈশাখে অপরিহার্য ছিল, সেটি হল পঞ্জিকা। বাঙালির বর্ষবরণের অঙ্গাঙ্গি সে। বেশির ভাগ পরিবারেই, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবচেয়ে বয়স্ক সদস্যটির জন্য কেনা পঞ্জিকাটি তার নিজস্ব যাপনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে বার বার। যারা আশি বা নব্বইয়ের দশকে ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেছি, তাদের অনেকেরই স্মৃতিপটে আছে, ছাদের চিলেকোঠার ঘরের তাকে কিংবা দাদু-ঠাকুমার ঘরের পালঙ্কের নীচে গোলাপ আঁকা সবুজ ট্রাঙ্কে, থরে থরে জমানো বছরের পর বছরের পঞ্জিকা।
সাধারণ বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনে এবং গৃহস্থালিতে রোজকার আচার-বিচার, পূজা-পার্বণ, জন্ম থেকে মৃত্যু এবং আরও ঊনকোটি চৌষট্টি কাজেকর্মে পঞ্জিকা অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। ‘পঞ্জি’ শব্দের অর্থ তালিকা। কিন্তু সৃষ্টিকাল থেকেই পঞ্জিকা বাঙালির আটপৌরে জীবনে ধর্ম সম্বলিত কর্মপ্রণালীর এক জরুরি ‘গাইডবুক’। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম ‘চণ্ডীমঙ্গল’-এ লিখেছিলেন, “সুধর্ম সভায় বসিলা ইন্দ্ররায় বিচিত্র হেমি সিংহাসনে/ লইয়া পাঁজিপুঁথি সমুখে বৃহস্পতি বসিলা রাজসন্নিধানে।” বাঙালি ঘর ছেড়ে দূরযাত্রার লগ্ন নির্বাচনে আজও যখন পঞ্জিকার দ্বারস্থ হয়, তখন মনে পড়ে, ধনপতির সিংহল যাত্রাকালে পঞ্জিকার বিধান গুরুত্ব পেয়েছিল, “দৈবজ্ঞ পড়েন পাঁজি রাশি চক্রপতি/ যাত্রা গনিতে সাধু দিলা অনুমতি।” অতএব পঞ্জিকা, যার ডাকনাম ‘পাঁজি’, সে হুবহু বইয়ের মতো দেখতে হলেও, পাঁজি কেউ পড়ে না, পাঁজি দেখে, এবং মোটামুটি দুই শতকেরও বেশি সময় ধরে অদ্ভুত গোলাপি মলাটের, বাংলার এই বেস্টসেলার বাঙালির একান্ত নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
সাহিত্যভাবাপন্ন, অনুসন্ধিৎসু, বিশ্বের বুদ্ধ্যঙ্কের মানচিত্রে নিজস্ব ছাপ রাখা বাঙালি তিথি, নক্ষত্র, পুজো, পার্বণ, যাত্রা, অযাত্রা, শুভকর্ম, বারবেলা, কালবেলা, অমৃতযোগ, বিবাহ, সাধভক্ষণ, অন্নপ্রাশন পর্যন্ত সব কিছুর বিধানদাতা একটি ‘গাইড বুক’কে এতখানি প্রাধান্য দিল যে, রেভারেন্ড লং সাহেব অবধি মন্তব্য করলেন, “পান তামাকের মতোই বাঙালির জীবনে পঞ্জিকা অপরিহার্য”— এবং সেই সত্য আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
এ বার প্রশ্ন, পঞ্জিকা কী? কবে থেকে চালু হল? সে বঙ্গজীবনের নানা ওঠাপড়ায় এতখানি ভরসা হয়ে উঠল কী করে? এই নিয়ে গবেষণা যেমন অন্তহীন, তেমনই মতান্তরও কিছু কম নয়। প্রাচীন ঋষিগণ যে ঋতুভিত্তিক বছর গণনা করতেন, তাতে একটি বছরকে উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়ন হিসেবে ভাগ করেছিলেন। যজুর্বেদের সময়ে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অয়নবিভাগ ছিল সূর্যের উত্তর ও দক্ষিণ গতি লক্ষ করে। তিনটি তিথি গুরুত্ব পেত, পূর্ণিমা, অমাবস্যা ও অষ্টকা। বৈদিক সাহিত্যে চান্দ্রমাসের উল্লেখ থাকলেও, সেটা ছিল পূর্ণিমান্ত মাস। কিন্তু ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বেদাঙ্গ-জ্যোতিষ পঞ্জিকা গণনায় উত্তরায়ণের দিন থেকে বছর শুরু হলেও, ১২টি অমান্ত চান্দ্রমাস, ২৭টি নক্ষত্র এবং ৩০টি তিথি সম্বলিত কালগণনা প্রথাটি ১৫০০ বছর ধরে চলেছে। মহাভারতে বর্ণিত পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল বেদাঙ্গ-জ্যোতিষ পদ্ধতিতে। পরবর্তী সময়ে আর্যভট্ট, বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্তের মতো জ্যোতির্বিদগণ সূক্ষ্ম কালগণনার মাধ্যমে ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’ নামে একটি কালনির্ণায়ক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ রচনা করেন। শকাব্দ থেকে বাংলা সন গণনার প্রচলন হয়েছে ষোড়শ শতকের শেষ দিকে মোগল সম্রাট আকবরের আমলে। আবুল ফজ়ল ‘আইন-ই-আকবরি’-গ্রন্থে বাংলা সনকে ‘তারিখ-ই-ইলাহি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এর আগে, চান্দ্রমাসের নিরিখে হিজরি সন হিসেবে রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম হলেও, পরে সৌরমাসকেই অধিক যুক্তিযুক্ত ভেবে হিজরি সনকে রূপান্তর করে কার্যকরী করা হয় ১১ মার্চ, ১৫৮৬ থেকে। মেষ রাশিতে প্রবিষ্ট সূর্য অনুসারে বাংলা সন শুরু হয় পয়লা বৈশাখ থেকে। কিন্তু, অন্য মতানুসারে, আকবরের আগেই শশাঙ্কর শাসন শুরুর দিন থেকে বঙ্গাব্দের হিসাব শুরু হয়ে, ৯৬৩ হিজরি ৯৬৩ বঙ্গাব্দ হয়ে গেছে।
প্রাচীন কালপ্রবাহ থেকে জানা গিয়েছে, নদিয়া অঞ্চলে স্মার্ত রঘুনন্দনের প্রেরণায় বাংলা পঞ্জিকা প্রচলিত হয়েছিল। বাংলা পঞ্জিকার পৃষ্ঠপোষক রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুরোধে সৃষ্ট, রামচন্দ্র বিদ্যানিধি-সহ আরও পণ্ডিতবর্গ সঙ্কলিত পঞ্জিকা স্থানীয় নবাব এবং বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিতরিত হত। সেই কারণে প্রথম দিকে মুদ্রিত পঞ্জিকার নামপত্রে উল্লেখ থাকত ‘মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুমত্যানুসারে সঙ্কলিত’। জেমস লং এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড-এর লেখায় পঞ্জিকা সম্বন্ধীয় কিছু তথ্য জানা যায়। প্রথম মুদ্রিত পঞ্জিকার খোঁজ মেলে উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। ১৮১৮ সালে শ্রীরামপুরে রামহরি সঙ্কলিত ১৫৩ পৃষ্ঠার পঞ্জিকার কথা জানা যায়। জোড়াসাঁকোর দুর্গাপ্রসাদ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় একটি পঞ্জিকা, গাঙ্গুলি প্রেসের পঞ্জিকা এবং ১৮২৫ সালে বিশ্বনাথ তর্কভূষণের এক টাকা দামের কলেজ পঞ্জিকা বিখ্যাত হয়েছিল। ১৮৫৬ সালে স্যান্ডারস কোম্পানির হলধর বিদ্যানিধির সঙ্কলিত, ৩০৪ পৃষ্ঠার চিত্রশোভিত পঞ্জিকা, যার ছবি ও বর্ডার বিলেত থেকে আনা হয়েছিল। বইটি সাত আনা দামে কুড়ি হাজার কপি বিক্রি হয়েছিল। ১২৭৬ বঙ্গাব্দে দুর্গাচরণ গুপ্ত প্রতিষ্ঠিত গুপ্ত প্রেস ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা শতায়ু পেরিয়েও বর্তমান। ১৮৮৮ সালে কিশোরীমোহন বাকচির তত্ত্বাবধানে, শরচ্চন্দ্র মৌলিক, অমূল্যচরণ মিত্র, মণিভূষণ বসুর সংগৃহীত তথ্য সম্বলিত, পি এম বাকচির ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা প্রকাশিত হয়। ১৮৮৩ সালে, দোয়াতের কালি, চুলের তেল, সেন্ট, রবার স্ট্যাম্প প্রস্তুতকারী প্যারীমোহন বাকচির বড় ছেলে কিশোরীমোহন নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন সুলভে গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যে ভাবনা শুরু করেছিলেন, সেই বিজ্ঞাপন মাধ্যম হিসেবেই ১৮৮৮-তে পি এম বাকচির ডাইরেক্টরি-সহ পঞ্জিকা প্রকাশ হয়। জানা যায়, অবিভক্ত বাংলায় যার সার্কুলেশন ছিল প্রায় আড়াই লাখ। ১৩২০ বঙ্গাব্দের বাংলার বাজারে ছেয়ে গিয়েছিল মোহম্মদ রেজাউদ্দীন আহমেদ সঙ্কলিত বৃহৎ মহম্মদীয় পঞ্জিকা। এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন বছরে যে সব পঞ্জিকা প্রামাণ্য ভাবে পাওয়া গেছে, সেগুলি হল, পূর্ণচন্দ্র (১৩২৫), মদন গুপ্ত (১৩৯০), বেণীমাধব শীল প্রমুখের পঞ্জিকা। সঙ্কলক মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা ১২৯৭ সনে পাওয়া গিয়েছিল। প্রকারভেদে পঞ্জিকা ডাইরেক্টরি, ফুল, হাফ বা পকেট। বাঙালির বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার, তারই আনুপূর্বিক হদিস দেয় পঞ্জিকা।
যে-হেতু ১৮৮৮ সালের আগে কোনও ছাপা পঞ্জিকার সন্ধান এখনও মেলেনি, তাই বলা চলে, পি এম বাকচির সচিত্র পঞ্জিকাই গত দুশো চার বছর ধরে প্রামাণ্য নথি। এই পঞ্জিকায় তখন পাওয়া যেত বাংলা মুলুকের প্রতিটি জেলার সম্পূর্ণ বিবরণ, ডাক বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, প্রধান সওদাগরি অফিস এবং কলকাতার রাস্তার বিশদ তথ্য আর ডাকমাশুল, কৃষিবিদ্যা, রেলভাড়া, আইন-আদালত সম্পর্কিত তথ্যাদি ছাড়াও নানা বিষয়ের আশ্চর্য সব বিজ্ঞাপন, যা আদিরসের আশ্চর্য গবেষণাগার। ১৩০২ সনের ‘দে এন্ড ব্রাদার্স কর্তৃক প্রকাশিত’ ‘নূতন পঞ্জিকা’ বা ১৩৫০ সনের ‘নূতন তাঁরাচাদ ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা’ থেকে ১৪৩০ সনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং যুগেও পঞ্জিকার বিজ্ঞাপনে আদিরসের প্রাবল্য আধুনিকতাকে ছুঁয়েছে। ‘প্রত্যক্ষ ফলপ্রদ কামেশ্বর বটিকা’ (পঞ্জিকা ১৩০২), ‘পরম কল্যাণকর রতিবর্ধক বটিকা ও শ্রীগোপাল তৈল’ (১৩৩৭) ‘শ্রীমদনানন্দ মোদক সেবনে ইন্দ্রিয়শৈথিল্য দূর ও উত্তেজনা শক্তি বৃদ্ধি’ (১৩৪৪), ‘যারা অপরিমিত বীর্য ক্ষয় করিয়া জ্যান্তে মরা হইয়া রহিয়াছেন, তাহারা একবার আমেরিকার সুপ্রসিদ্ধ ডাক্তার পেটালের আবিষ্কৃত ইলেকট্রিক সলিউশনটি ব্যবহার করুন’ (১৩৫০) ইত্যাদি। অধিকাংশ পঞ্জিকাতেই থাকত বিজ্ঞাপনের সগর্ব ঘোষণা ‘প্রিয়ার প্রেমের খনি করিতে লুণ্ঠন/ গনেলা-ই একমাত্র স্বপ্নের ধন’। আবার, ১৪২০-তে এই পঞ্জিকাতেই ‘বিশ্বের এক নম্বর, কামসূত্র পুস্তিকা, লিঙ্গবর্ধক, ডিভিডি ফ্রী’-র বিজ্ঞাপন। সেই ১৩০২ থেকে ১৪২০, বাঙালিকে ইন্দ্রিয়শৈথিল্য মুক্তির হরেক রাস্তার সন্ধান দিয়েছে পঞ্জিকা। একদা গনেলা খাওয়া বাঙালি এখন ফ্রি ডিভিডির গ্রাহক, প্রমাণ পঞ্জিকার পাতায়। এ ছাড়া চশমা, বন্দুক, বাঁশি, সুবাসিত তৈল, কবিরাজি সালসা, বিভিন্ন উপন্যাসের সচিত্র বিজ্ঞাপন-সহ পঞ্জিকা যেন চলন্ত এক মুশকিল আসান। বুদ্ধিজীবী বাঙালি যতই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করুক, পাঁজিকে পাঠ্য বা অপাঠ্য যা-ই মনে করুক, আপামর বাঙালির কাছে প্রাক্-বেতার, দূরদর্শন, ইন্টারনেট-হীন যুগের পাঁজি হল সেই ‘কাজের বই’, যেখানে আলপিন থেকে রকেট, স্নো পাউডার থেকে গনোরিয়ার ওষুধ, বীজ সার, কুন্তলবাহার, কেতকীকুসুম, গোলাপকুসুম, গন্ধতেল, প্রদরারি বটি, রতিকান্ত বটিকা-সহ ‘সচিত্র বিলাতি গুপ্তকথা’, নারীর বালা চুড়ি কেমিক্যাল গহনা, বেনারসি আনারসি, শিশুদের ওষুধ-সহ সব কিছুর খোঁজ এক ছাদের তলায়। ১৯২৯ সাল এবং তার পরেও পাঁজিতে প্রচুর রবার স্ট্যাম্পের বিজ্ঞাপনে প্রমাণ পাওয়া যায়, ফরিদপুর, নোয়াখালির রবার স্ট্যাম্প তৈরি হত কলকাতার চিৎপুরে।
ব্রতপার্বণ, প্রাত্যহিক জীবনের সংস্কার, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, গর্ভাধান, হিতকথা, ফলিত গুপ্তচর্চা, শুভ অশুভ অমৃতযোগ, তিথি নক্ষত্রের বিচার, পূর্ণিমা অমাবস্যা— এই সমস্ত কিছু-সহ পঞ্জিকা সমাজজীবনকে নিজস্ব মহিমায় প্রবাহিত করে চলেছে শতক পেরিয়ে। বিভিন্ন ভাবে আধুনিকতা আত্মস্থ করে পঞ্জিকা এখন সমকালীন। বাংলা নববর্ষের যতই বিশ্বায়ন ঘটুক, নব্য প্রজন্ম পুরাতন ঐতিহ্যের প্রতি যতই উদাসীন হোক, বাংলা বর্ষবরণ, পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা বিনিময় ও নতুন পোশাকের মতো নতুন পঞ্জিকাও বাঙালির বৈশাখী প্রয়োজন। ছিল, আছে, থাকবেও।