ছোটগল্প

একটু সময় নেব

রাতের এ সময়টা ঘুমটা সবচেয়ে গাঢ় হয়, আর চোর-বদমাইশদের পোয়াবারো হয়। আর ঢুকবি তো ঢোক ভবতোষবাবুর ঘরেই ঢুকেছে, অন্ধকারে স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, ঘরে একটা নড়াচড়া হচ্ছে।

Advertisement

সৌরদীপ্ত সেন

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

ছবি: বৈশালী সরকার

ভোররাতের দিকে হঠাৎ ঘুমটা ভাঙতেই ভবতোষবাবু বুঝতে পারলেন, ঘরে চোর ঢুকেছে।

Advertisement

রাতের এ সময়টা ঘুমটা সবচেয়ে গাঢ় হয়, আর চোর-বদমাইশদের পোয়াবারো হয়। আর ঢুকবি তো ঢোক ভবতোষবাবুর ঘরেই ঢুকেছে, অন্ধকারে স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, ঘরে একটা নড়াচড়া হচ্ছে।

বুকটা বেশ জোরে ধুকপুক করছে। কিছুটা উত্তেজনায়, কিছুটা ভয়ে। বোঝো কাণ্ড, গত কাল রাতেই মেয়েটা এসেছে সেই বিদেশ থেকে, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ রকম উপদ্রব! এর মধ্যেও মেজাজ গরম হল ভবতোষবাবুর।

Advertisement

কী করবেন একটু ভাবলেন। চোখ সয়ে যাওয়ায় দেখলেন, দরজার সামনে একটা ছায়ামূর্তি যেন দাঁড়িয়ে ভবতোষবাবুকে দেখছে। আস্তে আস্তে অবয়বটা বড় হতে শুরু করল। সর্বনাশ, এসে গলা টিপে ধরবে না কি? নাকি চাকু-ছোরা চালাবে? কিংবা ক্লোরোফর্মও মারতে পারে হয়তো।

লাফ মেরে উঠে বিছানার পাশের সুইচটা টিপলেন ভবতোষবাবু। আর সঙ্গে পরিত্রাহি একটা চিৎকার। আর একটা লাফ মেরে পাশের টেবিল থেকে ফুলদানি বাগিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। বালিশ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে, টেবিলের ওপর রাখা জলের গ্লাস উল্টে বালিশেরও অর্ধেকটার বেশি ভিজিয়ে দিল।

আলো জ্বলতেই আর চিৎকারে চোরটাও বুঝি মারাত্মক ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছিল। সেও পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল বিছানার থেকে হাত সাতেক দূরে। প্রচণ্ড উত্তেজনা আর বুকে রক কনসার্টে ড্রামের বাজনার মধ্যে চোরটাকে দেখলেন ভবতোষবাবু। প্যাংলা চেহারা। বেঁটেখাটো, গেঞ্জি-ট্র্যাকস্যুট পরে দাঁড়িয়ে আছে। খোঁচা খোঁচা দাড়ি, চুল পরিপাটি করে আঁচড়ানো। আবার চিৎকার করার জন্য সবে দমটা নিয়েছেন ভবতোষবাবু, তখনই চোরটা বলে ওঠে, ‘‘চিৎকার করবেন না স্যর, আপনার পায়ে পড়ি।’’

‘‘মানে! ইয়ার্কি হচ্ছে না কি? কে তুই? চুরি করতে ঢুকে ধরা পরে রং পাল্টানো হচ্ছে, ভদ্র সাজা হচ্ছে? কী নিয়েছিস দেখি?’’

‘‘স্যর কিচ্ছু নিইনি, মা কালীর দিব্যি স্যর, আমি চোর নই। আমি তো আপনাকে ডাকতে এসেছিলাম,’’ চোরটা প্যান্টের পকেট উল্টিয়ে দেখাল।

‘‘চোর তো তুই বটেই, গাঁজাখোরও মনে হচ্ছে। চ্যাংড়ামি মারার আর জায়গা পাস না? তোকে চিনি না জানি না, মুখটাও কোনও দিন দেখিনি আর তুই...’’ কথা বলতে বলতে ভবতোষবাবু ঘড়িটা দেখে নিলেন এক বার। তার পর বললেন, ‘‘রাত তিনটের সময় আমাকে ডাকতে এসেছিস? তোকে পুলিশে তো দেবই,’’ ভবতোষবাবুর সাহস এ বার বেড়ে গিয়েছে।

এ বার হাউমাউ করে কেঁদে উঠল লোকটা, ‘‘প্লিজ় স্যর, আমার কথাটা একটু শুনুন। আমি চোর নই। আমি রাতে আপনার বাড়িতে এ রকম ভাবে ঢুকতে চাইনি।’’ এ বার সে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে হাত জোর করেছে, ‘‘আমার এ সব কাজ ভাল লাগে না। কিন্তু আমার বস বলল, ‘ভবতোষ বিশ্বাস, মোড়ের মাথা থেকে বাঁ দিকের গলি নিয়ে পাঁচ নম্বর বাড়ি, ওকে ডেকে তোল ঘুম থেকে।’ স্যর আমি বলেছিলাম, সকাল অব্দি অপেক্ষা করলে হয় না? তাতে বস আমাকে চাবুকের ভয় দেখাল, আমি কী করব বলুন?’’

লোকটার কথা শুনে ভবতোষবাবু ভাবলেন, এ কি পাগল চোর? না চোর পাগল? ভাবছে এ সব গাঁজাখুরিতে বিশ্বাস করে নেব? এত কথা শুনছেন কেন, ভবতোষবাবু বুঝলেন না।

কে জানে, কথা বলতে বলতে হয়তো এখুনি চাকু বার করে গলায় চেপে ধরবে! এই সবই বেকাদায় ফেলার প্ল্যান।

‘‘রাত তিনটের সময় তোর বস কি মর্নিংওয়াকে যাওয়ার জন্য আমাকে ডাকতে বলেছিল? তার মানে তুই তা হলে একা নোস, তোর পুরো দল আছে। না এ বার তো পুলিশ ডাকতেই হবে।’’ আবার একটু ধুকপুক করল ভবতোষবাবুর বুকটা। কে জানে, এদের দলের লোকজন যদি আবার কিছু করে বসে? পাশের ঘরে মা-মেয়ে শুয়ে আছে, ওদের উপর আবার কোনও বিপদ-আপদ আসবে না তো? দুগ্গা-দুগ্গা!

ফোনের দিকে হাত বাড়াতেই আবার লোকটা বাধা দিল, ‘‘স্যর একটু শুনুন দয়া করে। আমরা চোর না, বিশ্বাস করুন চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি এ সব থেকে দশ হাত দূরে থাকি। দেখুন আপনার বসার ঘরে পেতলের মূর্তি আছে, টিভি আছে, আরও টুকিটাকি কম করে হলেও তিরিশ-চল্লিশ হাজার টাকার জিনিস আছে, ঘরে ক্যাশ টাকা আছে, বিদেশি জিনিসপত্রও থাকতে পারে, কিচ্ছু নিইনি স্যর।’’

এ বার বুঝলেন ভবতোষবাবু। সত্যিই, খবর এমন ভাবে ছড়ায় আজকালকার দিনে! মেয়েটা বিদেশে চাকরি নিয়েছে কি নেয়নি, সঙ্গে সঙ্গে চোরের উপদ্রব শুরু। চোরটা বলেই চলেছে। ওর উপর চোখ রেখে পিস্তলের কায়দায় ফুলদানি বাগিয়ে মোবাইল ফোনটা তুললেন ভবতোষবাবু।

‘‘এহে! জল পড়েছে তো ফোনের উপর, অন হচ্ছে না।’’

কাণ্ড দেখে নিজের ফোনটা বাড়িয়ে দিল চোরটা, ‘‘আপনি আমাকে দু’মিনিট টাইম দিন, যদি আপনি তার পরেও মনে করেন আপনি আমার ফোন থেকেই পুলিশকে ফোন করবেন।’’

বলে কী লোকটা! পুলিশের সঙ্গেও সেটিং আছে না কি? ডাকবেন নাকি গলা তুলে মিনতি আর মালিনীকে! থাক, মেয়েদের এ সবের থেকে দূরে রাখাই ভাল। তবে মিনতি আর মালিনীর ঘুম বটে বাবা, পাশের ঘরে এত কিছু হচ্ছে, কেউ টেরও পাচ্ছে না! ওরা থাকলে অন্তত এই ফোনটোনগুলো করতে পারত, এমনিতেই স্মার্টফোনে একটু অসুবিধে হয় ভবতোষবাবুর।

‘‘চোপ! একটাও কথা নয়। ফোনটা দে, আর একদম স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাক। নড়লেই ফুলদানি তোর মাথায় ভাঙব।’’

লোকাল থানার নম্বরটা মনে নেই, তবে ওসি-র ছেলেকে ভূগোল পড়ান বলে ওসি-র নিজস্ব নম্বরটা জানেন ভবতোষবাবু। সবে ডায়াল করতে যাবেন, এমন সময় চোরের মোবাইলে ‘আমরা সবাই রাজা’-র রিংটোন বেজে উঠল।

চোরের উপর আর একটা বিষদৃষ্টি নিক্ষেপ করে ফোনটা অন করে কানে নিলেন ভবতোষবাবু। ‘‘ইডিয়ট, একটা কাজও করতে পারিস না। যখন জানিস রাতের কাজ, এ রকম চোরের মতো কেউ ঢোকে? ভদ্রলোক যদি হার্টফেল করতেন? কিংবা পুলিশ ডাকতেন? আমাদের মান-ইজ্জত কিচ্ছু নেই? আমায় সাহায্য করার জন্য বড়বাবুকে এত বলে বুঝিয়ে তোদেরকে চাকরি দিলাম, আর তোদের মতো মাথামোটা গবেটগুলো আমার এত দিনের রেপুটেশনের খিল্লি উড়িয়ে আমার কাজ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিস? ভদ্রলোক কেন যে তোকে উত্তমমধ্যম দিলেন!’’

নাহ, এ বার ভালই ঘাবড়ে গিয়েছেন ভবতোষবাবু। এরা কি তবে কিডন্যাপার? ভবতোষবাবুকে কিডন্যাপ করতে এসেছে? ঠোঁট চেটে খুকখুক করে একটুখানি কেশে ভাঙা গলায় অনেক কষ্টে ভবতোষবাবু বললেন, ‘‘কাকে চাই?’’

‘‘হ্যালো, ভবতোষ বিশ্বাস বলছেন? আমি অত্যন্ত দুঃখিত স্যর, কী ভাবে ক্ষমা চাইব আপনার কাছে, বুঝতে পারছি না।’’ ও পাশের গলার স্বর মালিনীর ছোটবেলার ওই সাদা রঙের টেডিটার চেয়েও নরম তুলতুল করছে। ‘‘আসলে রসিকলাল, মানে আপনার সামনে দাঁড়ানো ছেলেটা, সে একদম ফ্রেশার স্যর, নতুন ঢুকেছে কাজে। আগের দু’বার ঝুলিয়েছিল, তাই এ বার একটু ভয় দেখিয়েছিলাম। তবে সেই জন্য যে মাথার বুদ্ধি কমোডে ফ্লাশ করে এ রকম একটা ঘটনা খাড়া করে তুলবে, বুঝতে পারিনি। এত রাতে এ ভাবে চোরের মতো আপনার বাড়িতে ঢোকাটা ভীষণ বড় ভুল হয়ে গিয়েছে।’’

‘‘কে আপনি?’’

‘‘স্যর সব বুঝিয়ে বলছি, আপনাকেই আমার দরকার। জানি এই রাতবিরেতে অজানা লোককে দরজা খুলে দেওয়াটা অস্বাভাবিক, তাই আমি সেই অনুরোধ আপনাকে করব না। আমি বুঝিয়ে বলছি। আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, না করবেন না প্লিজ়, আপনার মূল্যবান সময়ের খানিকটা আমি একটু নেব। মোবাইলেই আপনি পাঁচটা মিনিট আমাকে দিন, তার পর আপনি সব বুঝতে পারবেন। আপনার এই হেনস্থার জন্য আমি আর আমার পুরো টিম আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার নামটা আগে বলি...’’

******

বছরখানেক পরে

দুপুরবেলা সব কাজকর্ম সেরে মিনতি ভিডিয়ো চ্যাট করছিলেন মেয়ের সঙ্গে। কাল তিনি মেয়ের কাছে যাচ্ছেন, তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছিল। বিদেশে যাওয়ার হ্যাপা কম না। মালিনী ওর মাকে পাখি-পড়ানোর মতো করে সব বলে দিচ্ছিল। কোনও ডকুমেন্ট যেন আনতে না ভোলে, বাড়ির দরজা বন্ধ করার আগে ইলেক্ট্রিকের মেন সুইচ যেন দেখে নেয়, তরুণদাকে কোন সময় গাড়ি নিয়ে আসতে বলা রয়েছে। এ রকমই কথোপকথন চলছিল মা-মেয়ের মধ্যে। এমন সময় কলিং বেলের আওয়াজ। অগত্যা ফোন রাখতে হল। দরজা খুলে দেখলেন, কাঁধে ঝোলা হাতে কাগজ-কলম নিয়ে একটি লোক দাঁড়িয়ে। পোস্টম্যান কি? আশ্চর্য, তাঁর কোনও চিঠি আসার কথা ছিল বলে তো মনে পড়ে না? বিল এলে তো বক্সে ফেলে দিয়ে যায়, দুপুরবেলা হঠাৎ বেল বাজিয়ে তলব কেন?

‘‘মিনতি বিশ্বাস? দুপুরবেলা বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত, আপনার জন্য একটা চিঠি আছে।’’

‘‘আমার চিঠি?’’

বেঁটেখাটো চেহারার লোকটা। খোঁচা-খোঁচা দাড়ি, চুল পরিপাটি করে আঁচড়ানো। কাঁধের ঝোলা ব্যাগ থেকে একটা ট্যাব বার করে বোতাম টিপল।

‘‘ঠিক চিঠি না, একটা মেসেজ আছে, এখানে দেখতে পাবেন। দাঁড়ান আপনাকে লাইনটা ধরে দিই।’’ তার পর মুখে হাসি ফুটলো ওর, ‘‘স্যর পৌঁছে গিয়েছি আপনার বাড়ি। এই তো ম্যাডামের সঙ্গেই আছি, হ্যাঁ, দেব?’’ হাত বাড়াল লোকটা, ‘‘এই নিন ম্যাডাম।’’

ট্যাবটা হাতে নিলেন মিনতি, ও পাশে ভিডিয়ো চ্যাটে ভবতোষবাবু! তাঁর চোখেমুখে অনাবিল আনন্দ। ‘‘মিনতি! কত দিন পর! তোমার মুখটা অন্য রকম লাগছে, শরীর ঠিক আছে তো? মালিনী কেমন আছে গো?’’

মিনতির মুখ দিয়ে কথা বেরল না, তবে বেশ জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলার দরুন অনেকটা হাওয়া বেরিয়ে গেল। দেখে নিজেকে কিছুটা সামলে নিলেন ভবতোষবাবু।

‘‘আচ্ছা সব শুনব, আগে তোমাকে আসল ব্যাপারটা বলি। কথা দিয়েছিলাম মনে আছে, হ্যাঁ সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি। যে রকম ফ্ল্যাট কিনে আমরা থাকব ভেবেছিলাম, এটা ওর চেয়ে একশোগুণ ভাল। কী আর বলব তোমাকে, তুমি নিজে এসেই দেখো। সব রকম সুবিধে আছে। চমৎকার ব্যবস্থা। তুমি দেরি কোরো না, বেরিয়ে পড়ো। আর হ্যাঁ, এই রসিকলাল অপোগন্ড হলেও ছেলে ভাল, তুমি ওর সঙ্গেই চলে এস কেমন? আমি গাড়ি পাঠিয়েছি, ছবিবাবু এই রসিকের বস, খুব মাইডিয়ার লোক। উনি তোমার সঙ্গে দেখা করে সব বুঝিয়ে দেবেন।’’

ছানাবড়া চোখ নিয়ে মিনতিদেবী দেখলেন, রাস্তার সামনে সদ্য এসে থামা একটা কালো গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসছেন কোট পরা এক ভদ্রলোক। হাসিমুখে তাঁরই দিকে এগিয়ে আসছেন। এঁর হাতেও ঝাঁ-চকচকে একটি ট্যাব, কানে ওয়্যারলেস হেডফোন।

‘‘নমস্কার মিনতিদেবী’’, মুখে অমায়িক হাসি নিয়ে হাতজোড় করে নমস্কার করলেন ভদ্রলোক, ‘‘আশা করি আপনার সঙ্গে আপনার স্বামীর কথা হয়েছে। আমি বুঝিয়ে বলছি, তার জন্য আপনার ব্যস্ততার মধ্যেও একটুখানি সময় আমাকে দয়া করে দিতে হবে।’’ মিনতি বুঝলেন, তাঁর হাঁটুর কাঁপুনির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হৃৎকম্পনটাও তীব্রতর হয়ে উঠছে।

‘‘আগে আমাদের বড়বাবু নিজে আসতেন, কিন্তু আজকাল তাঁর বাতের ব্যথা আর হাঁপানিটাও বেড়েছে। তাই এখন আমি একাই আমার টিম নিয়ে কাজ করি। এই এলাকাটা রসিকলাল দেখে। তবে আপনি আমাদের প্রিভিলেজড গেস্ট, সেই জন্যই..’’

রসিকলালকে গাড়ির দরজা খোলার ইশারা করে স্মিত হাসলেন ভদ্রলোক, ‘‘আমার নাম ছবি গুপ্ত, অবশ্য লোকে ‘ছবি’ নামটা বদলে ‘চিত্র’ করে দিয়েছে। আসুন, হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি। ভবতোষবাবু অধীর অপেক্ষায় আপনার। কিন্তু সময় না হলে আমরা তো এন্ট্রি দিতে পারি না। ভবতোষবাবুর সময় রসিকলালের গন্ডগোলে উনি বড্ড চমকে গিয়েছিলেন। এই ক’বছরে অবশ্য ও অনেকটাই পরিণত। তবু আমি ঝঁুকি নিলাম না। নিজেই চলে এলাম।’’

জানালা দিয়ে হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া এসে শোকেসের উপর ভবতোষবাবুর ছবির সামনে রাখা ধূপকাঠির আধ ইঞ্চি লম্বা ছাইটা উড়িয়ে রজনীগন্ধার মালার উপর ফেলল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement