প্রায় এক মাস ধরে ‘টাকার খনি’র উপর বসেছিলেন। এক মাস পর টনক নড়তে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন মিশিগানের এক যুবক।
ওই যুবকের নাম ইয়ান্ডিয়েল ক্রুজ-শ্যাভেজ। তাঁর বাড়ি মিশিগানের ওয়াইমিং এলাকায়।
সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় এক মাস আগে একটি লটারির টিকিট কিনেছিলেন শ্যাভেজ। কিন্তু কাজের চাপে তিনি সেই লটারির টিকিটের কথা বেমালুম ভুলে যান।
প্রায় এক মাস ধরে শ্যাভেজের কেনা সেই লটারির টিকিট পড়েছিল তাঁর টাকা রাখার ব্যাগের এক কোণে।
প্যান্টের পিছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখতেন শ্যাভেজ। এক মাস সেই অবস্থায় থেকে টিকিটের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছিল। দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল টিকিটটি।
বন্ধুর চাপে পড়ে শ্যাভেজ মে মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ টাকা দিয়ে এই লটারির টিকিটটি কিনেছিলেন। লটারি থেকে টাকা জিতবেন এই কথা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। আর সেই কারণেই লটারি কেনার বিষয়টি তাঁর মাথা থেকে বেরিয়ে যায়।
৩০ মে শ্যাভেজের কেনা লটারির ফলাফল বেরিয়েছিল। সেখানে দেখা যায় তাঁর কেনা টিকিট প্রথম পুরস্কার জিতেছে।
শ্যাভেজের কেনা টিকিটের পুরস্কারমূল্য ছিল ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি যে এত টাকা লটারিতে জিতেছেন তা সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না শ্যাভেজের। অবশেষে এক মাস পর সেই টাকা হাতে পেলেন তিনি।
টিকিট কেনার বিষয়ে বেমালুম ভুলে যাওয়ার পর কী ভাবে সেই টাকা হাতে পেলেন শ্যাভেজ!
শ্যাভেজ জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ একটি লটারির দোকানে তাঁর চোখ পড়ে। এর পরই তাঁর নিজের কেনা টিকিটের কথা মনে পড়ে যায়।
শ্যাভেজ সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান লটারির দোকানে। খোঁজখবর করে জানতে পারেন, তাঁর সেই লটারি দেড় কোটিরও বেশি টাকার পুরস্কার জিতেছে।
অত টাকা জিতেছেন শুনে শ্যাভেজ নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেননি। লটারির দোকানের মালিক তাঁকে অনলাইনে নম্বর দেখানোর পর তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।
শ্যাভেজের কথায়, ‘‘আমি দোকানের মালিককে টিকিটটি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করি। আমাকে বিজয়ী নম্বরগুলি অনলাইনে দেখনো হয়। তখন আমি বুঝলাম যে আমি জ্যাকপট জিতেছি। যদিও প্রথমে আমি বিশ্বাস করতে চাইনি।’’
শ্যাভেজ আরও বলেন, ‘‘যখন দেখলাম যে সত্যি সত্যিই প্রচুর টাকার মালিক হয়ে গিয়েছি, তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। উত্তেজনার বশে পরিবারের সবাইকে ফোন করে সুসংবাদ শুনিয়েছিলাম।’’
শ্যাভেজ সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি এমন সময়ে লটারি জিতেছেন, যখন তাঁর টাকার সব থেকে বেশি দরকার। এই লটারি তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘আশীর্বাদ’ বলেও মন্তব্য করেন শ্যাভেজ।
লটারি থেকে জেতা টাকার একাংশ বাড়ি তৈরির কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন শ্যাভেজ।
শ্যাভেজ ওই দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া টিকিটটি লটারির বাজারে বিক্রি করে ইতিমধ্যেই প্রাপ্য টাকা বাড়ি নিয়ে এসেছেন।