বছর ঘুরলেই দেশে দ্বারোদঘাটন হবে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের। অযোধ্যার এই মন্দির নির্মাণ ঘিরে তোড়জোড় চলছে দেশে। এই আবহে আলোচনায় উঠে এসেছে আরও একটি মন্দির। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মন্দির সেটি।
তবে এই নতুন মন্দিরটি ভারতে নেই। ভারতের বাইরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু মন্দির রয়েছে কম্বোডিয়ায়। নাম আঙ্কোরভাট মন্দির।
আমেরিকার নিউ জার্সিতে তৈরি হয়েছে অক্ষরধাম মন্দির। যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মন্দিরের তকমা অর্জন করে নিয়েছে। ভারতে একাধিক জায়গায় রয়েছে অক্ষরধাম মন্দির। যে মন্দিরে ভিড় জমান বহু মানুষ। এ বার বিদেশের মাটিতেও তৈরি হল এই মন্দির।
নিউ জার্সিতে অক্ষরধাম মন্দির তৈরি করেছে বিএপিএস স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম সংগঠন। আগামী ৮ অক্টোবর এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে।
২০১১ সালে শুরু হয়েছিল মন্দিরের নির্মাণ কাজ। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছে নির্মাণ। অবশেষে নিউ জার্সিতে দ্বারোদঘাটন হচ্ছে এই মন্দিরের।
নিউ জার্সির রবিনসভাইল টাউনশিপে ১৮৩ একরেরও বেশি জায়গার উপর গড়ে উঠেছে এই মন্দির। যা আগামী দিনে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হতে চলেছে।
সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মন্দিরের স্থাপত্য চোখ ধাঁধাবে।
প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে মন্দিরের নকশা তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ১০ হাজার মূর্তি। নজর কাড়বে মন্দিরের সৌন্দর্য ।
শুধু মূর্তিই নয়, মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা হয়েছে ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র, নৃত্যকলা। মূল মন্দিরের পাশাপাশি থাকছে আরও ১২টি মন্দির।
এ ছাড়াও মন্দিরে রয়েছে ন’টি পিরামিড আকৃতির শিখর। মন্দিরের দেওয়ালে তুলে ধরা হয়েছে নানা শিল্পকলা।
চার ধরনের পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মন্দির। চুনাপাথর, গোলাপি বেলেপাথর, মার্বেল, গ্রানাইট— এই চার ধরনের পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মন্দির।
বুলগেরিয়া, তুরস্ক থেকে আনা হয়েছে চুনাপাথর। গ্রিস, তুরস্ক, ইটালি থেকে আনা হয়েছে মার্বেল। ভারত, চিনের গ্রানাইট ব্যবহার করা হয়েছে। চুনাপাথর নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারত থেকে।
মন্দির চত্বরে রয়েছে ‘ব্রহ্ম কুণ্ড’ যা একটি ধাপকুয়ো। এতে রয়েছে ভারতের বিভিন্ন পবিত্র নদী এবং আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের জলাশয়ের জল।
উদ্বোধন ৮ অক্টোবর হলেও সাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হবে ১৮ অক্টোবর থেকে।
ইতিমধ্যেই এই মন্দির ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। উদ্বোধনের আগেই বহু মানুষ মন্দির দর্শন করছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোম থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে মন্দির দর্শন করা যাবে।