Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

পাঁচ ঘণ্টা কাউন্সেলিং, এনার্জি ড্রিঙ্কেও স্বস্তি নেই! শ্রমিকদের বলা হচ্ছে একটি বিশেষ কথা

১৫ দিন ধরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মন ভাল রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। মনকে চাঙ্গা রাখার পাঠ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। কী ভাবে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯
Share:
০১ ১৮

সকাল-সন্ধ্যা পুষ্টিকর আহার পাঠানো হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। দিনে দু’বার করে চলছে কাউন্সেলিং। রোজ দূর থেকে করা হচ্ছে শারীরিক পরীক্ষা। দু’বার করে কথা বলছেন পরিবারের লোকজনও। বার বার বলছেন একটাই কথা, ‘‘চিন্তার কিছু নেই!’’ এ ভাবেই ১৫ দিন ধরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মন ভাল রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। মনকে চাঙ্গা রাখার পাঠ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।

০২ ১৮

১২ নভেম্বর থেকে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন সাবা আহমদ। তাঁর সঙ্গে দিনে দু’বার করে কথা বলছেন ভাই নাইয়ার আহমদ। প্রতি বার তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন একটাই কথা, ‘‘ভয় পাবে না। আমরা চেষ্টা করছি।’’

Advertisement
০৩ ১৮

সুড়ঙ্গে ধস নামার পর প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় আটকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। সেখানে একটি পাইপ ঢুকিয়ে তার মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয়েছে মাইক। সেই মাইকের মাধ্যমেই বাইরে অপেক্ষারত আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন শ্রমিকেরা।

০৪ ১৮

সেখান দিয়েই দিনে দু’বার করে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছেন সাবা। নাইয়ার জানালেন, রোজ মনোবিদেরাও কথা বলছেন শ্রমিকদের সঙ্গে।

০৫ ১৮

সুড়ঙ্গের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাঁচ চিকিৎসকের একটি দল। তাদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন মনোবিদ। রোজ সকাল ৯টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৮টা শ্রমিকদের কাউন্সেলিং করেন মনোবিদেরা।

০৬ ১৮

তাঁদের পাশাপাশি পরিবারের লোকজনও দিনের যে কোনও সময় চাইলে কথা বলতে পারেন শ্রমিকদের সঙ্গে। সব সময় ইতিবাচক কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিদেরা।

০৭ ১৮

সুড়ঙ্গের বাইরে একটি শিবির তৈরি করা হয়েছে। গত কয়েক দিন সেখানেই থাকছে শ্রমিকদের পরিবার। অনেকেই ভিন্‌ রাজ্য থেকে এসেছেন। তাঁদের সেখানেই রাখা হয়েছে।

০৮ ১৮

নাইয়ার পিটিআইকে জানিয়েছেন, বিহারের ভোজপুর থেকে এসেছেন তিনি। থাকছেন শিবিরে। দিনে দু’বার করে কথা বলেন দাদার সঙ্গে। ভোজপুরে রয়েছেন সাবার স্ত্রী, সন্তান। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেন নাইয়ার।

০৯ ১৮

নাইয়ার বলেন, ‘‘আমরা ওঁকে কখনও সমস্যার কথা বলি না। সব সময়ই বলি, কী ভাবে কাজ এগোচ্ছে, কত দ্রুত তাঁদের বাইরে বার করে আনা হবে। ওঁরা সকলে ভাল রয়েছেন। ভিতরে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠানো হচ্ছে।’’

১০ ১৮

সুড়ঙ্গের বাইরে চিকিৎসকদের দলে রয়েছেন বিমলেশ জোশী। তিনি জানিয়েছেন, আটকে থাকা শ্রমিকদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের লোকজনেরও কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। বোঝানো হচ্ছে, কোনও ভাবে যেন শ্রমিকদের কোনও নেতিবাচক কথাবার্তা তাঁরা না বলেন। এতে আটক শ্রমিকেরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারেন।

১১ ১৮

উত্তরকাশীতে আরও ১০ জন চিকিৎসক সব সময় উপস্থিত রয়েছেন। সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বার করা হলেই তাঁদের চিকিৎসা শুরু হবে হাসপাতালে। সেই দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা।

১২ ১৮

আর এক চিকিৎসক প্রেম পোখরিয়াল জানালেন, বাইরে থেকে নিয়মিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে শ্রমিকদের ফলের রস, এনার্জি পানীয় দেওয়া হচ্ছিল। এখন রোজ নিয়ম করে চার বেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে।’’

১৩ ১৮

চিকিৎসক জানালেন, সকালে শ্রমিকদের সিদ্ধ ডিম, দুধ, চা, ডালিয়া পাঠানো হচ্ছে। দুপুরে এবং রাতে ডাল, চাপাটি, ভাত, সব্জি দেওয়া হচ্ছে। খাওয়ার জন্য ফেলে দেওয়ার মতো প্লেটও দেওয়া হচ্ছে।

১৪ ১৮

মাটির নীচে দীর্ঘ দিন বন্দি। শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে আগেই ওআরএস পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এনার্জি ড্রিঙ্কস, ভিটামিন, চোখের ড্রপও পাঠানো হয়েছে।

১৫ ১৮

প্রশাসনের এক কর্মী জানিয়েছেন, রোজের ব্যবহারের জন্য সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে শ্রমিকদের। যেমন মাজন, দাঁত মাজার ব্রাশ, তোয়ালে, জামাকাপড়, অন্তর্বাস। মোবাইল ফোন পাঠানো হয়েছে, যাতে রয়েছে ভিডিয়ো গেম, সিনেমা।

১৬ ১৮

কিসে ঘুমোচ্ছেন শ্রমিকেরা? চিকিৎসক পোখরিয়াল জানিয়েছেন, আগে থেকেই ভিতরে বেশ কিছু জিওটেক্সটাইল শিট ছিল। তাতেই ঘুমাচ্ছেন তাঁরা। নিয়মিত যোগব্যায়াম করছেন তাঁরা। সকালে এবং রাতে পায়চারি করছেন।

১৭ ১৮

সুড়ঙ্গের ভিতরে তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই গরম জামার প্রয়োজন নেই শ্রমিকদের।

১৮ ১৮

ভিতরে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা রয়েছে। নির্মাণের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছিল। ধসেও তা নষ্ট হয়নি। ফলে দিন-রাত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে ভিতরে।

ছবি: পিটিআই, সংগৃহীত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement