জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় পর্যটকবোঝাই বাস লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসছিল বাসটি। এই ঘটনায় ৪৫ বছরের হাকাম ডিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেই শিরোনামে এসেছে আইপিএস মোহিতা শর্মার নাম। কেন? কে তিনি?
মোহিতা রিয়াসি জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার। জঙ্গিদের গ্রেফতারির নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর।
আদতে হিমাচল প্রদেশের কাংরার মেয়ে মোহিতা। বাবা মারুতি কারখানায় চাকরি করতেন। মা ঘর-সংসার সামলাতেন।
মোহিতার পরিবার খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না। কষ্ট করে তাঁকে দ্বারকার দিল্লি পাবলিক স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁর বাবা।
এর পর দিল্লির ভারতী বিদ্যাপীঠ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন মোহিতা। ২০১২ সাল থেকে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি।
২০১৬ সালে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)-এ যোগ দেন মোহিতা।
অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার পদে ছিলেন মোহিতা। যদিও তাঁর বরাবর ইচ্ছা ছিল আইপিএস অফিসার হওয়ার।
সে কারণে সরকারি চাকরি পেলেও ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি থামাননি মোহিতা। প্রতি রবিবার টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। রবিবার কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করবেন, তা সারা সপ্তাহে অফিস করার সময় ঠিক করে নিতেন। সারা সপ্তাহের তালিকাও তৈরি করে রাখতেন।
২০১৬ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হন মোহিতা। ২৬২ র্যাঙ্ক করেন তিনি। তার আগে আরও চার বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে আইপিএস নির্বাচিত হন মোহিতা। ২০১৯ সালে আইএফএস অফিসার রুশাল গর্গের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
২০২০ সালে ‘কওন বনেগা ক্রোড়পতি’ (কেবিসি)-র দ্বাদশ সিজ়নে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোহিতা। জিতেছিলেন এক কোটি টাকা।
ওই কেবিসি সিজ়নে মোহিতা ছিলেন প্রথম মহিলা বিজয়ী। তাঁর আগে ওই সিজ়নে এক জন প্রতিযোগীই জিতেছিলেন এক কোটি টাকা।
মোহিতার জন্য এক কোটি টাকার প্রশ্নটি ছিল, ‘‘১৮৯৮ সালে জার্মান রসায়নবিদ জর্জ ফ্রেডরিখ হেনিং কোন বিস্ফোরকের স্বত্ব নেন এবং তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রথম বার ব্যবহার করা হয়?’’
জবাব হল আরডিএক্স। এই জবাব দিয়ে এক কোটি টাকা জিতে নিয়েছিলেন মোহিতা।