টিনসেল নগরীতে উপার্জনের দিক থেকে শীর্ষে থাকা অভিনেতাদের মধ্যে অজয় দেবগনের নাম উল্লেখযোগ্য। তিন দশক ধরে ১০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
১৯৯১ সালে বলিপাড়ায় পা রাখেন তিনি। সন্দেশ কোহলির পরিচালনায় ‘ফুল অওর কাঁটে’ ছবিতে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অজয়।
অজয়ের বাবা বীরু দেবগনও ছিলেন ফিল্মজগতের মানুষ। পরিচালনা এবং কোরিয়োগ্রাফিতে নাম করেছিলেন বীরু।
একই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার সূত্রে রাকেশ রোশনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বীরুর।
বন্ধুর ছেলে হিন্দি ছবি করছেন জেনে রাকেশ খুশি হন। তাঁর ছবিতে অজয়ের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাকেশ।
সেই সময় ‘করণ অর্জুন’ ছবির শ্যুটিং শুরু করছিলেন রাকেশ। ‘করণ’ চরিত্রের জন্য পরিচালক প্রথম পছন্দ করেছিলেন অজয় দেবগনকে।
তিনি ছবির স্ক্রিপ্টও পড়ে শোনান অভিনেতাকে। কিন্তু স্ক্রিপ্ট শোনার পর অজয়ের মনবদল হয়।
‘করণ’-এর চরিত্র নয়, ‘অর্জুন’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে চান অজয়।
এই নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়। ‘অর্জুন’ চরিত্রের জন্য তিনি শাহরুখ খানকে বেছে রেখেছিলেন। শাহরুখকে বাদ দিতে নারাজ ছিলেন রাকেশ।
অজয়ও জেদ ধরে বসেছিলেন, ছবিতে কাজ করলে ‘অর্জুন’-এর চরিত্রেই অভিনয় করবেন।
শেষ পর্যন্ত ‘করণ’ চরিত্রের জন্য অজয়ের বদলে সলমন খানকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন রাকেশ।
১৯৯৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে ‘করণ অর্জুন’ ছবিটি মুক্তি পায়। শাহরুখ-সলমনের জুটি মন কেড়ে নেয় দর্শকের।
অজয় দেবগন এই বিষয়টি নিয়ে বেশ বিরক্ত হন। রাকেশ তাঁকে পছন্দমতো চরিত্রে অভিনয় করতে দেননি বলে অসন্তুষ্ট হন অজয়।
বলিপাড়ার অধিকাংশের ধারণা, এই ঘটনার প্রভাব পড়ে রাকেশ-পুত্র হৃতিকের উপর। রাকেশ তাঁর ইচ্ছার দাম রাখেননি বলে ছেলের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রাখেন অজয়।
দীর্ঘ দিনের কেরিয়ারে কখনও হৃতিকের সঙ্গে ছবি করতে দেখা যায়নি অজয়কে। অনেকেই মনে করেন, ৩০ বছরের পুরনো রাগ এখনও ভুলতে পারেননি অভিনেতা। তাই হৃতিকের সঙ্গে কাজও করেন না তিনি।