মহম্মদ কইফ এক জন সুপরিচিত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। সৌরভের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক ছিলেন এই ব্যাটার। তবে তিনি সব থেকে পরিচিত ছিলেন দুর্ধর্ষ ফিল্ডিংয়ের জন্য।
কইফ ভারতের হয়ে অনেকগুলি স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল। যেখানে কইফ এবং যুবরাজ জুটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় এনে দিয়েছিল। কইফ ভারতের হয়ে ১৩টি টেস্ট ও ১২৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ২৯টি আইপিএল ম্যাচও খেলেছেন কইফ।
কইফ ভারতের সর্বকালের সেরা ফিল্ডারদের এক জন হিসাবেও পরিচিত। বর্তমানে তিনি আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের ফিল্ডিং কোচ।
আজকাল প্রায়ই ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছোট পর্দায় দেখা যায় কইফকে। কইফের বিষয়ে তো ক্রিকেটপ্রিয় সব ভারতীয়ই জানেন। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সব সময়ই থেকেছে লোকচক্ষুর আড়ালে।
কইফ বিয়ে করেছেন পূজা যাদব (বর্তমানে পূজা কইফ)-কে। পূজা পেশায় নয়ডার এক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কইফ এবং পূজার আলাপ হয়েছিল ২০০৭ সালে। একটি পার্টিতে এক জন বন্ধুর মাধ্যমে তাঁদের প্রথম দেখা।
সেই সময় পূজা একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মে কাজ করতেন। আলাপের কয়েক দিনের মাথাতেই বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে দেখা যেত কইফ এবং পূজাকে। তবে পাপারাৎজিদের চোখ এড়িয়েই একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেন তাঁরা।
আরও কয়েক দফা আলাপের পর একে অপরের প্রেমে পড়েন যুগল। সেই কথা দলের সতীর্থদেরও জানিয়েছিলেন কইফ। কইফ এবং পূজা সম্পর্কে জড়ানোর পর চার বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করেন।
২০১১ সালে নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুগল। ঠিক করেন চারহাত এক করার।
২০১১-র ২৬ মার্চ নয়ডায় ছোট অনুষ্ঠান করে বিয়ে সারেন কইফ এবং পূজা। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও দম্পতির ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
বিয়ের এক বছর পর বাবা হন কইফ। পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পূজা। ছেলের পর ২০১৭ সালে কন্যাসন্তানেরও জন্ম দেন পূজা। দম্পতির ছেলের নাম কবীর এবং মেয়ের নাম ইভা।
সমাজমাধ্যমে পূজা বেশ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৩০ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। প্রায়ই নিজের স্বামীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে গ্ল্যামারাস ছবি পোস্ট করেন পূজা। সন্তানদের সঙ্গেও একাধিক ছবি পোস্ট করেন তিনি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কইফ। স্বামীর হয়ে দিনরাত প্রচার করেছিলেন পূজা। তবে লাভ হয়নি। বিজেপির কেশব প্রসাদ মৌর্যের কাছে হেরে যান কইফ।
সন্তানদের জন্মের সময় বছর কয়েক কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন পূজা। তবে বর্তমানে সংসার সামলানোর পাশাপাশি নিজের কাজ নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকেন কইফ-জায়া। বিভিন্ন বড় বড় অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ডাক পান তিনি।
পূজা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কইফ সব সময় তাঁর পাশে থাকেন এবং তাঁর জীবিকা নিয়েও সচেতন।
পূজার ইনস্টাগ্রামে লেখা, ‘‘কর্মসূত্রে সঞ্চালক। বাড়িতেও সঞ্চালক। দুই জীবনই উপভোগ করছি।’’