শুধু বাড়ির ভিতরে নয়, বাড়ির বাইরেও শৌচাগারের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে বেরিয়ে কখন আপনাকে যে প্রকৃতি ডাক দেবে তা কেউ বলতে পারে না।
ছোট-বড় রেস্তরাঁ, ধাবা, পানশালা, সব জায়গাতেই শৌচাগার থাকে। প্রায় সব জায়গাতেই পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা শৌচাগারের বন্দোবস্ত থাকে। কোনটা পুরুষদের শৌচাগার আর কোনটা মহিলাদের, তা কখনও আলাদা ভাবে লেখা থাকে আবার কখনও সঙ্কেতের মাধ্যমে বোঝানো হয়।
তবে কিছু কিছু শৌচালয়ে এমন সঙ্কেত থাকে, যা দেখে যে কেউ ঘাবড়ে যাবেন। মনে হতে বাধ্য যে, ভুল শৌচালয়ে ঢুকে যাচ্ছি না তো!
এই ছবিতে রয়েছে চারটি মাত্র দাঁড়ি। দু’টি দাঁড়ির মাধ্যম পুরুষ এবং মহিলা বোঝানো হয়েছে। তবে কোন দাঁড়ি দু’টি কোন লিঙ্গ বোঝাচ্ছে, তা বোঝা দায়।
এই ছবিতে শৌচালয়ের দু’টি সাইনবোর্ডেই লেখা রয়েছে ‘মেন’। অর্থাৎ দু’টি শৌচাগারই পুরুষদের। কিন্তু একটু ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যাবে, গাছের পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে ‘ডব্লু’ এবং ‘ও’ অক্ষর দু’টি। তবে খুব ভাল করে দেখলে তবেই তা নজরে আসবে। তবে তার আগে পর্যন্ত প্রকৃতির ডাক চেপে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করে যেতে হবে।
এই ছবিতে শৌচালয়ের সাইনবোর্ডের এক পাশে লেখা ডো’স এবং অপরদিকে লেখা বাক’স। কিন্তু এই লেখা দেখে বোঝার উপায় নেয়, কোন শৌচাগার কাদের জন্য তৈরি।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে শৌচালয়ের একটি দরজায় ইংরেজি বর্ণমালার ‘এক্স’ অক্ষরটি পাশাপাশি দু’বার লেখা আছে। অন্যটিতে এক্স-এর পাশে ওয়াই। আপনি যদি জীবনবিজ্ঞানে ভাল না হন, তা হলে আপনার কপালে রয়েছে হয়রানি। আসলে এগুলি দিয়ে মানুষের ক্রোমোজোম-এর প্রকার দেখানো হয়েছে। পুরুষদের জিনে থাকে এক্সওয়াই ক্রোম়জোম এবং মহিলাদের থাকে এক্সএক্স ক্রোমোজোম। আর সেই বিদ্যে কাজে লাগিয়েই বুঝতে হবে কোন শৌচালয়ে আপনি ঢুকবেন।
শৌচালয়ের দরজায় যে ইংরেজি বর্ণমালার অক্ষরগুলি লেখা আছে, তা দেখেও বোঝার উপায় নেই আসলে কোন লিঙ্গের মানুষদের জন্য এই বোর্ড লাগানো হয়েছে।
শৌচালয়ের দু’টি সাইনবোর্ডের একটিতে একটি মোরগের ছবি এবং একটিতে বিড়ালের ছবি। একমাত্র ঈশ্বরই জানেন এই ছবিগুলি দিয়ে কী করো বোঝা যায় কোন শৌচালয় পুরুষদের এবং কোনটি মহিলাদের।
এই ছবিটিও যথেষ্ট বিভ্রান্তিকর। চট করে বুঝতে পারবেন না, কোন দিকে যেতে হবে আপনাকে।
এই অদ্ভুত ছবি দেখলে আপনিও চমকে যাবেন। এই ছবি দেখে কোন শৌচাগারে যাবেন তা সহজে বুঝে নেবেন কার সাধ্যি!
এই ছবি দেখলে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হবে। এত গণ্ডগোলে সঙ্কেত কী ভাবে শৌচাগারের বাইরে থাকতে পারে, তা আপনাকেও ভাবাবে।
এই ছবিতে শৌচালয়ের বাইরে লেখা, পুরো পরিবার একসঙ্গে এই শৌচালয়ে ঢুকতে পারবে!
শৌচালয়ের বাইরে এই ছবি দেখে বোঝার জো নেই যে, এখানে আসলে কী বলতে চাওয়া হয়েছে।
এই শৌচালয়ের বাইরে ইংরেজিতে লেখা ‘ব্লা’। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, এর থেকে একটি মানুষের কী বলে দেওয়া সম্ভব যে, এই শৌচাগার আসলে পুরুষ না মহিলাদের।
পাশাপাশি দু’টি শৌচাগার। একটিতে ইংরেজিতে লেখা ‘কিকিং’ অর্থাৎ লাথি মারা এবং দ্বিতীয়টিতে লেখা ‘স্ক্রিমিং’ অর্থাৎ চিৎকার করা। এর থেকে কি বোঝা যাচ্ছে কোন শৌচাগার কোন লিঙ্গের জন্য তৈরি করা?
এই ছবিতে কোন শৌচাগার পুরুষদের এবং কোন শৌচাগার মহিলাদের তা বোঝা গেলেও এর বাইরের ছবি যথেষ্ট মজার। ছবিগুলি এমন ভাবেই রয়েছে যাতে এমন মনে হচ্ছে যে, পুরুষরা শৌচালয়ে শৌচকর্ম করতে গেলেও মহিলারা যান গল্প করতে!