জাঁকিয়ে বসা ঠান্ডার রেশ এখনও কায়েম রয়েছে কলকাতায়। শুধু কলকাতা নয়, প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গেই ছবিটা একই রকম। খুব কনকনে ঠান্ডা না থাকলেও শীতপ্রেমীদের আরাম দিতে একটানা বইছে উত্তুরে হাওয়াও।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই এই মরসুমের শীতলতম দিন ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মাঝে মাঝে আচমকা বৃষ্টিতেও ভিজেছে কলকাতা শহর, শহরতলি ও অন্যান্য জেলা।
শীতের আমেজ কত দিন থাকবে, সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঁকি দিয়েছে মানুষের মনে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, জানুয়ারির শেষ থেকে বদল আসতে পারে রাজ্যের আবহাওয়ায়। নতুন মাসের প্রথম দিন থেকে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। ফলে আবার চড়বে তাপমাত্রার পারদ।
শনিবার এমনই পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার এবং শনিবারের মধ্যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের নেই।
শুক্রবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা সামান্য কমে হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিনও তাপমাত্রায় বিশেষ বদল দেখা যাবে না।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে আবার মেঘ জমবে কলকাতা-সহ পুরো দক্ষিণবঙ্গের আকাশে।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে রাজ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলেও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। আবহাওয়া মোটের উপর শুকনো থাকবে।
উত্তরবঙ্গেও শুকনো আবহাওয়ার কথা জানিয়েছে আলিপুর। তবে দার্জিলিঙে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি এবং তুষারপাত হলেও কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলির এবং কালিম্পং এলাকায় পার্বত্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তীসগঢ় অঞ্চল থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করছিল রাজ্যে। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে আসছিল জলীয় বাষ্প।
তা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল একাধিক জেলায়। তবে সেই পরিস্থিতি আপাতত বদলেছে।
উত্তুরে হাওয়া আবার দাপট দেখাতে শুরু করেছে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাই এই পারদপতন।
তবে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার জলীয় বাষ্প ঘণীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।