সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন বলি তারকারা একে অপরের সঙ্গে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান। কখনও তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে গভীর বন্ধুত্ব, কখনও মনোমালিন্যের জেরে বিচ্ছেদ হয়।
কখনও আবার পাপারাৎজিরাই নিজেদের মনগড়া কাহিনি বানিয়ে ফেলে। তবে ধর্মেন্দ্র এবং বিনোদ খন্নার সম্পর্ক নিয়ে যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন উঠেছিল, তা অধিকাংশই সত্যি।
এক সময় দু’জনের গলায় গলায় বন্ধুত্ব ছিল। এমনকি, ধর্মেন্দ্রর সন্ধ্যার আসরে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন বিনোদ। ধর্মেন্দ্রের সুরাপানের সঙ্গী ছিলেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ বিনোদ খন্না সেই আসরগুলিতে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। ধর্মেন্দ্র তাঁকে ডাক পাঠালেও কোনও উত্তর মিলত না।
পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বিনোদ তাঁর সহ-অভিনেত্রী অমৃতার সঙ্গে গোপনে সময় কাটাচ্ছেন।
এই অমৃতা হলেন সইফ আলি খানের প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংহ। শুধু পর্দার সামনেই নয়, পর্দার পিছনেও বিনোদ-অমৃতার সম্পর্কের রসায়ন গভীর হয়ে ওঠে।
তাঁদের এই মেলামেশা ধর্মেন্দ্রর পছন্দ হয়নি। বিনোদকে তিনি নিজের ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। বিনোদকে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখে ধর্মেন্দ্র মেনে নিতে পারেননি।
নেশাতুর অবস্থাতেই বিনোদকে ডেকে অমৃতার নামে কুমন্তব্য করা শুরু করেন। ধর্মেন্দ্র যখন সুস্থ-স্বাভাবিক থাকবেন, তখন এই বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে ভেবেই চুপ করে থাকেন বিনোদ।
পরের দিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তবে এ বার ধর্মেন্দ্র নেশাতুর অবস্থায় ছিলেন না। গালমন্দ করার মাঝে বিনোদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন ধর্মেন্দ্র।
তখনই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বিনোদের। জামার কলার ধরে এগিয়ে যান ধর্মেন্দ্রর দিকে। সেটে উপস্থিত সকলে দু’জনকে থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
পরে অবশ্য এই দুর্ব্যবহারের জন্য বিনোদের কাছে ক্ষমা চান ধর্মেন্দ্র। কিন্তু অমৃতার সঙ্গে বিনোদের সম্পর্ক টেকেনি।
বিনোদ-অমিতাভ জুটির পর ধর্মেন্দ্র-বিনোদ জুটি ভক্তদের মন কেড়েছিল। ২০১১ সালে হেমা মালিনী পরিচালিত ‘টেল মি ও খুদা’ ছবিতে শেষ বারের মতো এই জুটিকে এক সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়।