এক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রেমিকা জ্যাসমিনের সঙ্গে বাগ্দান পর্ব সারেন শিল্পপতি বিজয় মাল্যের পুত্র সিদ্ধার্থ মাল্য। গত শনিবার লন্ডনে তাঁর সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মাল্য-পুত্র।
আমেরিকার বাসিন্দা জ্যাসমিন পেশায় সমাজকর্মী। জ্যাসমিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে বলিপাড়ার একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল সিদ্ধার্থের। তাঁর বান্ধবীদের তালিকায় ছিল দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কইফ-সহ আরও অনেকের নাম।
বলিপাড়ায় কেরিয়ার তৈরির গোড়ার দিকে সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলি অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। নিজেদের সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে চাইলেও তাঁদের মাখোমাখো প্রেম ছবিশিকারিদের নজর এড়ায়নি।
কানাঘুষো শোনা যায়, বলি অভিনেতা রণবীর কপূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই নাকি সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দীপিকা। একসঙ্গে ‘ডিনার ডেট’-এ যাওয়া থেকে আইপিএল ভিআইপি স্ট্যান্ডে দীপিকাকে জড়িয়ে ধরে সিদ্ধার্থের চুম্বন— সব কিছুই ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ত ছবিশিকারিদের।
কিন্তু দীপিকা এবং সিদ্ধার্থের মিষ্টি সম্পর্কে ইতি টানে তিক্ততা । প্রেম ভাঙার পর বার বার দীপিকার দিকে আঙুল তুলেছিলেন সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থের দাবি, সম্পর্কে থাকাকালীন প্রচুর দামি উপহার নিয়েছিলেন দীপিকা। দামি হিরে থেকে শুরু করে ঘুরতে যাওয়ার সমস্ত খরচই নাকি সিদ্ধার্থ করতেন। কানাঘুষো শোনা যায়, দীপিকার বান্ধবীদের পার্টি দেওয়ার খরচও ছিল সিদ্ধার্থের। সম্পর্কে ভাঙনের পর নাকি কোনও উপহারই সিদ্ধার্থকে ফেরত দেননি অভিনেত্রী।
সিদ্ধার্থের দিকেও কাদা ছুড়তে বাদ রাখেননি দীপিকা। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সিদ্ধার্থের আচরণ বদলে যেতে শুরু করল। আমার এখনও মনে আছে, আমরা এক বার ‘ডিনার ডেট’-এ গিয়েছিলাম। ও হঠাৎ আমায় বলল আমি যেন সমস্ত বিল মিটিয়ে দিই। আমার খুব খারাপ লেগেছিল।’’
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, দীপিকার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন নাকি বলি অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে প্রেম করতেন সিদ্ধার্থ। ২০১৪ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ স্বীকার করেছিলেন যে, অনুষ্কার প্রেমের গুঞ্জন তাঁর কানেও পৌঁছেছে। সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ‘‘অনুষ্কার সঙ্গে আমার মোট দু’বার দেখা হয়েছিল। সেই দু’বারই দীপিকা ছিল আমার সঙ্গে। তা ছাড়া কখনওই অনুষ্কার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও রকম যোগাযোগ হয়নি আমার।’’
শুধু দীপিকা নন, রণবীর কপূরের আরও এক প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল মাল্য-পুত্রের। কানাঘুষো শোনা যায়, বলি অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফকে কিছু দিন ডেট করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দু’জনকে একসঙ্গে বহু জায়গায় দেখাও যেত। তবে সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ক্যাটরিনা এবং সিদ্ধার্থের ভাবনাচিন্তা একেবারেই অন্য রকম ছিল বলে তাঁদের সম্পর্ক টেকেনি।
‘জন্নত’ ছবিতে ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সোনাল চৌহান। বলিপাড়ার গুঞ্জন, সোনালের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে ছিলেন সিদ্ধার্থ। বহু পার্টিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। তবে সোনালের সঙ্গেও সিদ্ধার্থের সম্পর্কের স্থায়িত্ব বেশি দিনের ছিল না।
‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’ ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি বলিপাড়ায় নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন ফ্রিডা পিন্টো। ফ্রিডার সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে ছিলেন সিদ্ধার্থ।
২০১৬ সালের নিউ ইয়র্কের রাস্তায় সিদ্ধার্থের সঙ্গী হিসাবে দেখা গিয়েছিল ফ্রিডাকে। একাধিক পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। তবে বলিপাড়ার একাংশের দাবি, তাঁরা শুধুই ভাল বন্ধু।
মডেলিংয়ের পেশায় থাকাকালীন সিদ্ধার্থের সঙ্গে আলাপ হয় মডেল-অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা জনসনের। কানাঘুষো শোনা যায়, অ্যাঞ্জেলাকেও নাকি ডেট করতেন সিদ্ধার্থ। প্রায় এক বছর পর তাঁদের সম্পর্কে দাঁড়ি পড়ে যায়।
‘শাদি নম্বর ওয়ান’, ‘মানি হ্যায় তো হানি হ্যায়’, ‘হে বেবি’, ‘কিডন্যাপ’, ‘ড্যাডি কুল’, ‘শুটআউট অ্যাট ওয়াডলা’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই দোবারা’-র মতো বহু হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সোফি চৌধুরিকে। ব্রিটিশ গায়িকা-অভিনেত্রী সোফির সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল সিদ্ধার্থের।
কানাঘুষো শোনা যায়, সোফিকে নাকি বেশ কিছু দিন ডেট করেছিলেন সিদ্ধার্থ। মাঝেমধ্যেই নাকি ‘লং ড্রাইভ’-এ সিদ্ধার্থের সফরসঙ্গী হতেন সোফি। ‘ডিনার ডেটেও’ যেতেন তাঁরা। তবে সোফি এবং সিদ্ধার্থের সম্পর্কের আয়ু ছিল খুবই কম সময়ের।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বলি অভিনেত্রী নার্গিস ফকরির সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি।