বছর শুরুতেই আমেরিকার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ীর মুকুট জয় করেন ম্যাডিসন ইসাবেলা মার্শ। আগের বছরেও পর পর দু’টি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
২০০১-’০২ সাল নাগাদ আমেরিকার আর্কানসাসের ফোর্ট স্মিথ এলাকায় জন্ম ম্যাডিসনের। বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
ম্যাডিসনের মা হোয়াইটনি মার্শ সাঁতার কাটার পাশাপাশি বাইকও চালাতেন। ম্যাডিসনের যখন ১৭ বছর বয়স, তখন তাঁর মা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে (প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার) আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
২০১৯ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গড়ে তোলেন ম্যাডিসন। এই সংস্থার তরফে যা উপার্জন হয়, তা প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার সংক্রান্ত গবেষণার কাজে খরচ করে দেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই বিমান চালানোর আগ্রহ ছিল ম্যাডিসনের। প্রশিক্ষণ নিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিমান চালানোর অনুমতিপত্রও পেয়ে যান তিনি।
কলোরাডোর এল পাসো কাউন্টির ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন ম্যাডিসন। সেখান থেকে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি।
স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকার বিমানবাহিনীর দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট পদে যুক্ত হন ম্যাডিসন।
পাশাপাশি আমেরিকার একটি কলেজ থেকে ‘পাবলিক পলিসি’ নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করেন ম্যাডিসন।
চলতি বছরে আমেরিকার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেখানকার ৫০টি প্রদেশ থেকে ৫১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। সকল প্রতিযোগীকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানের অধিকারী হন ম্যাডিসন।
প্রতিযোগিতায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ম্যাডিসনকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে ম্যাডিসন জানান, তাঁর পেশাগত জীবন থেকে প্রচুর শিক্ষা পেয়েছেন তিনি।
মায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গেও প্রতিযোগিতার মঞ্চে কথা বলেন ম্যাডিসন। তিনি জানান, মায়ের মৃত্যুই তাঁকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর আমেরিকার বিমানবাহিনীর তরফে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে ম্যাডিসনকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
আমেরিকার বিমানবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, ম্যাডিসন বিমানবাহিনীর প্রথম কর্মরতা, যিনি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন।
সমাজমাধ্যমে নিজস্ব অনুরাগীমহল রয়েছে ম্যাডিসনের। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যা ১৩ হাজারের গণ্ডি পার করেছে।