বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল। দেশবিদেশের একাধিক ওয়েবসাইটের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে প্রাক্তন ‘মিস ইউক্রেন’ আনাসতাসিয়া লেনা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজের দেশের হয়ে যুদ্ধের ময়দানে নেমেছেন। যদিও বিস্তারিত ভাবে অনুসন্ধানের পর আনন্দবাজার অনলাইন জানতে পারে যে খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো (Fake News)। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
আনন্দবাজার অনলাইনে যে ভুল খবরটি (Fake News) প্রচার হয়েছিল তার সম্পূর্ণ অংশই নীচে রেখে দেওয়া হল।
Fake News: আঁটো করে বাঁধা পনিটেল। উঁচু হিলজোড়ার বদলে পায়ে সেনানির বুট। পরনে লেদার জ্যাকেট। হাতে মারণাস্ত্র। নেটমাধ্যমে আজকাল এ সাজেই দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন ‘মিস ইউক্রেন’-কে।
Fake News: কোনও সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সাজবদল নয়। আক্ষরিক অর্থেই এ বার যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েছেন আনাসতাসিয়া লেনা। ভ্লাদিমির পুতিনের হানাদারদের খতম করতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন।
Fake News: ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই বেশি স্বচ্ছন্দ আনাসতাসিয়া। তবে মডেলিং বা অভিনয় করার বদলে আজকাল তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত। শ্যুটিং রেঞ্জে বার বার লক্ষ্যভেদ করছেন। এ বার লক্ষ্য, দেশের মাটি থেকে রাশিয়ার হানাদারদের তাড়িয়ে দেওয়া।
Fake News: মাতৃভূমির স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে নিজে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে নেটমাধ্যমকে হাতিয়ার করে দেশবাসীকেও উদ্বুদ্ধ করছেন আনাসতাসিয়া। বৃহস্পতিবার ইউক্রেন আক্রমণের পর পুতিনবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেটমাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভক্তদের কাছে তাঁর আবেদন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হোন।’
Fake News: রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আনাসতাসিয়া। শনিবার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে তাঁর স্পষ্ট হুমকি— ‘হানাদারির জন্য যাঁরা ইউক্রেনের সীমান্ত পার করেছেন, সকলেই মারা পড়বেন!’
Fake News: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জোলেনস্কির সমর্থনেও মুখ খুলেছেন এই প্রাক্তন মডেল তথা অভিনেতা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন জেলেনস্কি— এমন একটি ছবিও দেখা গিয়েছে আনাসতাসিয়ার পোস্টে। জেলেনস্কিকে আদর্শ নেতা বলেই মনে করেন আনাসতাসিয়া।
Fake News: কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিটস্চকোর আহ্বানে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছেন ২৪ বছরের আনাসতাসিয়া। সংবাদমাধ্যমের কাছে কিভের মেয়র বলেছেন, ‘‘দেশের বহু নাগরিকই মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছেন। আমাদের কাছে অস্ত্র চাইছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই সেনায় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে কারণেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছি আমরা।’’
Fake News: ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে আনাসতাসিয়ার মতো মহিলার সংখ্যা নেহাত কম নয়। বস্তুত, বিশ্বের মধ্যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতেই মহিলা সেনানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ৩৬ হাজার। জেলেনস্কির সেনাবাহিনীর এই মহিলা সেনানিরা যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে খতম করার কাজে অত্যন্ত দক্ষ।
Fake News: আনাসতাসিয়ার মতো আরও নাগরিক যাতে দেশের এই সঙ্কটে অস্ত্র তুলে নেন, তার আহ্বান জানিয়েছেন কিভের মেয়র। তিনি বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনের প্রতিটি নারী বা পুরুষ, যাঁরা নিজের দেশের প্রতি গর্ববোধ করেন, তাঁরা অস্ত্র তুলে নিতে পারেন।’’
Fake News: অস্ত্র হাতে তোলার অবশ্য কথা ছিল না আনাসতাসিয়ার। মাত্র ১৩ বছর বয়সে অভিনয়ের হাতেখড়ি। অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশনে সঞ্চালনা বা মডেলিংও করেছেন।
Fake News: অভিনয় এবং মডেলিংয়ের কাজের পাশাপাশি ২০১৫ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা কেড়ে নেন আনাসতাসিয়া। সে বছর ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ওই প্রতিযোগিতায় ‘মিস ইউক্রেন’-এর খেতাবজয়।
Fake News: পেশাদারি জীবন শুরুর আগে কিভের স্লাভিসটিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতক হন আনাসতাসিয়া। এর পর জনসংযোগ ম্যানেজার চাকরি নিয়ে তুরস্কের ইস্তানবুল, আঙ্কারা এবং বোদরামে ঘুরেছেন।
Fake News: মার্কেটিং ক্ষেত্রে পা রাখা ছাড়াও অন্য ভূমিকাতে দেখা গিয়েছে এই মডেলকে। পাঁচটি ভাষায় দক্ষ আনাসতাসিয়া কিছুকাল অনুবাদকের চাকরিও করেছেন। তবে সে সব অতীত। রোজগারপাতি ছেড়ে দেশ বাঁচানোকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন আনাসতাসিয়া।