ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউপিএসসি এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি বা সিএ-এর মতো পরীক্ষা। এই পরীক্ষাগুলিতে ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করা প্রশংসাযোগ্য। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রয়োজন কঠিন পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়। প্রথম সুযোগ ব্যর্থ হলেও পরবর্তী পর্যায়ে কঠিন পরীক্ষা অতিক্রম করেন একাধিক পরীক্ষার্থী।
তবে কঠিন পরীক্ষাগুলি প্রথম সুযোগেই পাশ করা খুব একটা সহজ নয়। তার উপর প্রথম সুযোগে প্রথম দশের তালিকায় নাম থাকা আরও বেশি প্রশংসার্হ। এর নেপথ্যে শ্রমও রয়েছে প্রচুর।
মুম্বইয়ের যমজ বোন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি প্রথম সুযোগে সিএ পরীক্ষায় ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করেন। শুধু তাই নয় প্রথম সুযোগেই পাশের তালিকায় প্রথম দশে নাম রয়েছে তাঁদের।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সিএ পরীক্ষা দিয়েছিলেন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি। সম্পর্কে যমজ বোন তাঁরা। সিএ পরীক্ষা একসঙ্গেই দিয়েছিলেন তাঁরা।
নভেম্বর মাসেই প্রথম বার সিএ পরীক্ষা দিয়েছিলেন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি। ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে পড়াশোনা যমজ বোনের।
মুম্বইয়ের বোরিভালি এলাকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি। তার পর একই সঙ্গে একই বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেন তাঁরা।
সংস্কৃতি এবং শ্রুতি দুই বোনের স্বপ্ন ছিল একই। দু’জনেই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন একসঙ্গে।
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন আট থেকে ১০ ঘণ্টা একটানা পড়াশোনা করতেন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি। শুধু তাই নয়, আগের বছরের পরীক্ষার প্রশ্নগুলির সমাধানও করেছেন একসঙ্গে।
একসঙ্গে সিএ পরীক্ষা দেওয়ার পর যখন ফলাফল প্রকাশ পায় তখন দুই বোনই অবাক হয়ে যান। প্রথম সুযোগেই সিএ-এর মতো কঠিন পরীক্ষা পাশ করেন তাঁরা। এমনকি প্রথম ১০ জন পরীক্ষার্থীর তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের।
পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছেন সংস্কৃতি। তাঁর যমজ বোন শ্রুতি পরীক্ষায় অষ্টম স্থানের অধিকারী হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রশ্ন সমাধান করার পাশাপাশি একে অপরকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে একে অপরকে সমৃদ্ধ করতেন তাঁরা।
প্রথম সুযোগে সিএ পরীক্ষায় পাশ করে প্রথম দশ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে নাম লিখিয়ে নজির গড়েছেন সংস্কৃতি এবং শ্রুতি। যমজ বোনের একসঙ্গে স্বপ্নপূরণ হল।