রামমন্দিরের উদ্বোধন জুড়ে অযোধ্যায় হইহই কাণ্ড। অধীর আগ্রহে ভিড় জমিয়েছেন দেশের নানা প্রান্তের ভক্তেরা। লম্বা তালিকায় রয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের নাম। সেজে উঠেছে অযোধ্যা, মহোৎসবের আমেজে।
সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধনে আগত অতিথি এবং সাধু-সন্তদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে একটি করে বাক্স। এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে ২০ হাজার বাক্স।
সেই বাক্সে প্রসাদের মিষ্টি ছাড়াও থাকবে আরও বেশ কিছু পুজোর জিনিসপত্র। সেগুলি কী কী? অনুষ্ঠানের আগের রাতে একটি ভিডিয়োতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই বাক্সের ভিতরের ছবি।
বাদামি রঙের কাগজের ব্যাগে লালচে মেরুন রঙের কার্ডবোর্ডের বাক্সটি তুলে দেওয়া হবে অতিথিদের হাতে।
এই সব অতিথির মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তেমনই রয়েছেন বিনোদন, ক্রীড়া জগতের তারকারাও।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অযোধ্যায়। তাঁদের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে রামমন্দিরের মহাপ্রসাদের বাক্সটি।
বাক্সের উপরে রয়েছে সোনালি রঙের রামমন্দিরের ছবি। ডালা খুললেই দেখা যাবে ছোট ছোট খোপে রাখা নানা রকম জিনিস।
সেগুলি কী তা স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে বাক্সের ঢাকনার নীচে— ‘‘কন্দমূল, সরযূ নীর, কুমকুম এবং রুদ্রাক্ষ’’।
তবে এ ছাড়াও আরও অনেক কিছুই রয়েছে বাক্সের ভিতরে। যেমন দেশি ঘি, পাঁচ রকমের শুকনো ফল, বেসন এবং চিনি দিয়ে বানানো লাড্ডু।
কব্জিতে বাঁধার জন্য লাল রঙের তাগা, সুপুরি এবং না ভাঙা চাল যাকে ‘অক্ষত’ বলা হয়।
এর সঙ্গেই একটি ছোট বোতলে সরযূ নদীর জল, একটি কৌটোয় সিঁদুর, একটিতে রুদ্রাক্ষ এবং আরও একটি ছোট্ট বাক্সে ভরা রাম কন্দমূল।
রামভক্তদের বিশ্বাস, বনবাসে থাকাকালীন এই মূল খেয়ে ক্ষুধা নিবৃত্ত করেছিলেন স্বয়ং রাম।