শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে অযোধ্যার রামমন্দির তৈরির। বহু বিতর্ক, আলোচনা, কোর্টকাছারি পেরিয়ে, আপাতত মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন নির্মাতারা। নতুন বছরের একেবারে গোড়ায়, ২২ জানুয়ারি মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে।
চূড়ান্ত পর্যায়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে মন্দির চত্বরে। এ দিকে এখনও মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালা বা শিশু রামচন্দ্রের কোন মূর্তি রাখা হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি।
শুক্রবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
ট্রাস্ট সূত্রে খবর, এ দিনই সদস্যদের মধ্যে একটি ভোটের মাধ্যমে তিনটি মূর্তির মধ্যে থেকে সেরাটিকে বেছে নেওয়া হবে।
নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে এই ট্রাস্টই। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
তা ছাড়াও দেশবিদেশের একাধিক বিশিষ্ট মানুষকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ট্রাস্টের তরফে একটি ছবি প্রকাশ করে আগেই জানানো হয়েছিল যে, রামমন্দিরের গর্ভগৃহের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
এমনকি, সেখানে আলোকসজ্জার কাজও কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে। এ বার কেবল রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার পালা।
ইতিমধ্যেই তিন জন আলাদা শিল্পীকে দিয়ে তৈরি করানো হয়েছে রামলালার তিনটি মূর্তি। তবে কোন মূর্তিটি শেষ পর্যন্ত গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারিত হবে শুক্রবার।
ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, রামচন্দ্রের পাঁচ বছরের শিশুরূপকে কল্পনা করে ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার তিনটি মূর্তি তৈরি করানো হয়েছে।
শাস্ত্রীয় লক্ষণে যে মূর্তিটি সেরা বলে বিবেচিত হবে এবং যে মূর্তিতে রামায়ণে বর্ণিত শিশু রামচন্দ্রের মুখচ্ছবি স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে, সেটিকেই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ২২ জানুয়ারি বিকেলে যথোচিত ধর্মীয় বিধি পালনের পর গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবে রামলালার বিগ্রহ।
আগামী শনিবার অযোধ্যায় নতুন বিমানবন্দর এবং রেল স্টেশনের উদ্বোধন করতে আসছেন মোদী। সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে গোটা অযোধ্যা জুড়েই।