যুজবেন্দ্র চহালের উদ্দেশে জাতিবৈষম্যমূলক মন্তব্য করে রবিবার গ্রেফতার হয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান।
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। দেখে নেওয়া যাক, কী কী বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের মার্চে শাহিদ আফ্রিদির এনজিও-র পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। কোভিড আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য তখন আফ্রিদির সংস্থা কাজ করছিল। কিন্তু এর কিছু দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আফ্রিদির অপমান করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই আফ্রিদির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আরও সমালোচনা শুরু হয় যুবরাজের। শেষ পর্যন্ত যুবরাজ পাল্টা টুইট করে জানান, তিনি আর কখনও আফ্রিদিকে সাহায্য করবেন না।
২০১৫ সালে যুবরাজকে বিতর্কে জড়িয়ে দেন তাঁর বাবা যোগরাজ সিংহ। তখন ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের লড়াই করছেন যুবি। যোগরাজ সেই সময় বলে বসেন, তাঁর ছেলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের বারোটা বাজানোর পিছনে রয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তখন অনুশীলনের মাঝপথে যুবরাজকে বলতে হয়, তাঁর সঙ্গে ধোনির সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল।
২০১৭ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তোলেন। তাঁর মূল অভিযোগ ছিল যুবরাজ এবং কোহলীর বিরুদ্ধে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ১৮০ রানে ভারত হেরে যাওয়ার পরে এই মন্তব্য করেন আথাওয়ালে।
২০১৬ সালে যুবরাজের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে। তাঁর প্রাক্তন শালী আকাঙ্ক্ষা শর্মা একটি টেলিভিশন শো-তে এসে বলেন, ‘‘ওদের গোটা পরিবার মাদক নেয়। যুবরাজ আমাকে বলেছে, ও নিজেও মাদক নিয়েছে।’’
২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপে সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান যুবরাজ। সেন্ট লুসিয়ার একটি পানশালায় যুবরাজ-সহ ছয় ভারতীয় ক্রিকেটার গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। ভারত সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় সমর্থকরা যুবরাজদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন। এরপর যুবরাজ, আশিস নেহরা এবং জাহির খানের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছিল।