বাজারে গেলেই যেন ছ্যাঁকা খাওয়ার জোগাড়। খাদ্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। আবার তিন মাসে মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ। কিন্তু কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? আগে থেকেই কি বোঝা গিয়েছিল কী হতে চলেছে?
গত মাসে বাজার করতে গিয়েই খাদ্যপণ্যের দামের আঁচ টের পাচ্ছিলেন মানুষ। আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারে তার ছাপ পড়তে পারে।
আশঙ্কা সত্যি হল। নভেম্বরে তা ফের উঠল তিন মাসের মধ্যে সব থেকে উঁচুতে। প্রধানত খাদ্যপণ্যের দাম চড়ে যাওয়ার জেরেই।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশ, মূল্যবৃদ্ধি ছুঁয়েছে ৫.৫৫%। যা এর আগে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনসীমা ৬ শতাংশের নীচে।
তবে হালে তারা যে ৪ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যে নাছোড় বলে দাবি করছে, তার অনেকখানি উপরে।
এ দিন অবশ্য কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে শিল্পোৎপাদন। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে শিল্পবৃদ্ধির হার ১১.৭%। ১৬ মাসে সর্বোচ্চ।
কলকারখানা, মূলধনী পণ্য ইত্যাদির উৎপাদন চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। বেকারত্ব কমাতে যা জরুরি বলে মনে করা হয়।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, লোকসভা ভোটের মুখে মূল্যবৃদ্ধি মোদী সরকারের দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি করছে বটে। তবে শিল্পবৃদ্ধি অক্সিজেন জুগিয়েছে।
যদিও সার্বিক শিল্পবৃদ্ধি অথবা কলকারখানা, মূলধনী পণ্য কিংবা দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের মতো কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বেশি চড়া লাগছে গত বছরের সঙ্কোচনের উপরে দাঁড়িয়ে হিসাব হয়েছে বলে।
সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, ভারতের অর্থনীতি ঠিক দিকে চলেছে। দেশ গোটা বিশ্বে দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার তকমা ধরে রেখেছে।