T 20

বাবরের সাজঘরে ফেরা, শামির স্পেল থেকে কোহলির ছক্কা, মেলবোর্ন ম্যাচে মোড়ঘোরানো সব মুহূর্ত

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১৩:০৪
Share:
০১ ১৭

টি২০ বিশ্বকাপে মোট সাত বার মুখোমুখি হয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। তার মধ্যে মহারণে ছ’বার ভারত জিতেছে। এক বার পাকিস্তান। তবে মেলবোর্নের মতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ২০০৭ সালের সুপার ওভারে হওয়া ম্যাচেও সম্ভবত দেখা যায়নি। এমন উত্তেজনা, ওভারে ওভারে ম্যাচের রং বদলানো— এমন রোমাঞ্চই তো চায় দর্শক। রবিবারের ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্তগুলো কেমন ছিল?

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০২ ১৭

সামনে পাকিস্তানের অধিনায়ক তথা এই মুহূর্তে দুনিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজ়ম। দৌড় শুরু করলেন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অভিষেক করা আরশদীপ সিংহ। স্বপ্নের স্পেল। প্রথম বলেই বাবরের উইকেট! এলবিডব্লিউ। মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়লেন বাঁহাতি পেসার। রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তানের প্রথম ঝটকা অবশ্যই ছিল বাবরের উইকেট।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

Advertisement
০৩ ১৭

তাড়াতাড়ি দুই ওপেনারকে খুইয়েও ছন্দে ফিরেছিল পাকিস্তান। শান মাসুদ এবং ইফতিকার আহমেদ জমে গিয়েছিলেন ক্রিজে। সেখানে ৩৪ বলে ৫১ করা ইফতিকারকে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান শামি। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানে থামে পাকিস্তানের ব্যাটিং।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০৪ ১৭

বাবরকে জলদি সাজঘরে ফিরিয়ে প্রথমার্ধে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল টিম-রোহিত। সাত তাড়াতাড়ি কেএল রাহুল বোল্ড করে পাকিস্তানকে স্বস্তি এনে দেন নাসিম শাহ। তার একটু বাদে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ আউট করেন হ্যারিস রউফ। দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরেছেন প্রথমার্ধেই। দুই ওপেনারেরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪ রান।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০৫ ১৭

ভাল শুরু করেও ঝুঁকির শট খেলতে গিয়ে পাক উইকেটরক্ষক রিজ়ওয়ানের তালুবন্দি হন সূর্যকুমার যাদব। ভারতের আরও এক ঝটকা। চালকের আসনে এ বার পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ভারত: ২৬ রান, ৩ উইকেট।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০৬ ১৭

বোঝাবুঝির ভুলে রান আউট অক্ষর পটেল! স্তব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা। ৩১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা টিম ইন্ডিয়া তখন ধুঁকছে। ক্রিজে কোহলি এবং হার্দিক। ওই আশায় ভর করে তাকিয়ে ছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। কিছু দিন যাবৎ সে ভাবে ফর্মে না থাকা কোহলি এই ম্যাচে প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন। কিন্তু দলের সে সময় দরকার উইকেট বাঁচিয়ে রাখা। তাই সামলে খেলছিলেন কোহলি।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০৭ ১৭

অন্য প্রান্তে দাঁড়ানো ‘পিঞ্চ হিটার’ হার্দিক পাণ্ড্য মাঝেমাঝে হাত খুলে তখন স্কোরবোর্ড সচল রাখার কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু ওভারপ্রতি রানরেট তখন ক্রমশ বাড়ছে। এক সময় ১৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে মনে হচ্ছে বিশাল এবং কখনও তার ধারেকাছে যাওয়া অসম্ভব। এক সময় রানরেট ছিল ৪.৫। স্কোরবোর্ড বলছে দরকার ওভারপ্রতি ১১.৫ রান।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০৮ ১৭

তবে হারতে হারতে জয়ে ফেরায় এবং ফেরেন যাঁরা তারাই তো ‘বাজিগর’। নিজের খেলা শুরু করলেন হার্দিক। কোহলির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করে নিয়েছেন এ বার আক্রমণে নামতে হবে। শুরুটা করলেন হার্দিক। স্কোরবোর্ডে তখন ভারত ৫০ পেরিয়েছে। হার্দিকের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১৫ বলে ১৩ রান। যা একেবারেই হার্দিক-সুলভ নয়।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

০৯ ১৭

নওয়াজ়ের প্রথম বলে ব্যাট ঘোরালেন হার্দিক। ওভার বাউন্ডারি। পরের বলে এক রান। স্ট্রাইকে গেলেন কিং কোহলি। আবার একটা ছক্কা। কোহলির রান দাঁড়াল ২৫ বলে ২১। তবে এখান থেকেই দ্রুত রান তোলার ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে ওঠেন দুই ব্যাটার। শুরু হয় ম্যাচের রং বদলানো।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১০ ১৭

ভারতের স্কোর তখন ৬৮-৪। ওভার ১১। আবার সপাটে তলোয়ারের মতো ব্যাট ঘোরালেন হার্দিক। ছক্কা। এর পর থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করে ভারত। চাপে পড়ে পাক বোলিং আপ।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১১ ১৭

দলের ৭০ রানের পর থেকে মারমুখী মেজাজে ধরা দিলেন কোহলি। কখনও শাহিন আফ্রিদিকে বাউন্ডারি মারছেন, কখনও শাদাবের বল ড্রাইভ করে মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১২ ১৭

এক সময় ৩৩ বলে ভারতের দরকার ৬৬। ম্যাচ যাকে বলে জমে গিয়েছে। বাউন্ডারি মারলেন হার্দিক।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১৩ ১৭

৩ ওভারে প্রয়োজন ৪৮ রান। কোহলির ব্যাট ঘুরল ফাইন লেগে। ৪ রান। আফ্রিদিকে পর বাউন্ডারি মেরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। উপচে পড়ছে আত্মবিশ্বাস। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজেকেই বোঝালেন, তিনি পারছেন। তিনিই পারবেন। ওই ওভারের শেষ বলেই আবার ৪ রান। ভারত ১২৯ রানে দাঁড়িয়ে। কিন্তু ১৮ ওভার সমাপ্ত।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১৪ ১৭

১৯তম ওভারে প্রথম যে ছক্কাটি কোহলি মারলেন তার মধ্যে একই সঙ্গে যেন দেখা গেল শিল্প, পরিশ্রম এবং প্রতিভার ককটেল। দরকার ৭ বলে ২২ রান। কিন্তু পরের বলটা ফ্লিক করে যে ভাবে ছয় মারলেন তাতে স্তম্ভিত ক্রিকেট বোদ্ধারা। যা নিয়ে ম্যাচের শেষে তো রবি শাস্ত্রী জিজ্ঞাসাই করে ফেললেন ওই শটটা আগে থেকে মারবেন বলে ঠিক করে নিয়েছিলেন কি না। কোহলি মাথা নেড়ে জানালেন, ‘না’। ওই মুহূর্তে ব্যাপারটি স্রেফ ঘটিয়ে ফেলেছেন। ম্যাচের সেরা শট তর্কাতীত ভাবে ওটাই।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১৫ ১৭

এক ওভারে দরকার ১৬ রান। ক্রিজে পাণ্ড্য। কিন্তু এ বার মিসহিট। ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন পাণ্ড্য। উচ্ছ্বাসে মাতলেন পাক সমর্থকরা। কিন্তু খেলা বাকি ছিল শেষ ওভারেই।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১৬ ১৭

কথায় বলে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। বিরাটের মার শেষ ওভারে। শেষ ওভারের তৃতীয় বল কোমরের উপরে উঠে এসেছিল। ফাইন লেগে ছয় মেরে আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন করলেন তিনি। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর পর দীনেশ কার্তিক ঝুঁকির শট খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্প আউট হয়েছেন। কিন্তু চাপে ছিলেন পাক বোলার। পর পর ওয়াইড আর কোহলির উপস্থিতি। জয় এল ভারতের। কোহলি আবারও বোঝালেন তিনি কোন জাতের খেলোয়াড়, কোন মানের ব্যাটার, কোন পর্যায়ের চাপ মাথায় রেখে খেলতে ভালবাসেন।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

১৭ ১৭

বলে রাখা ভাল, রবিবারের আগে মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে ভারত ও পাকিস্তান শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেটা ছিল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। শ্রীকান্ত-শাস্ত্রীদের দৌলতে সে বারও জিতেছিল ভারত।

ছবি: পিটিআই, বিসিসিআই, আইসিসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement