আমি খানিকটা অদ্ভুত— নিজের জীবনের উপাখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে এ ভাবেই মনের কথা শোনালেন অ্যাপলের প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের কন্যা ইভ।
মডেলিং দুনিয়ায় পা রেখে চমকে দিয়েছেন স্টিভ-তনয়া। বর্তমানে বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘লুই ভিতোঁ’ র মডেল ইভ।
২০২১ সালে প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন স্টিভ-কন্যা।
মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহীর ভূমিকাতেও তাক লাগিয়েছেন ইভ।
‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিজের জীবন কাহিনি শোনাতে গিয়ে ইভ বলেছেন, তাঁকে দেখে অনেকেই নাকি চমকে গিয়েছিলেন।
চমকে দেওয়ার মতোই অবশ্য কাণ্ড করেছেন ইভ। মাত্র ছ’বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন জোবস-তনয়া।
ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের।
তবে, গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মা’র থেকে ছাড়পত্র পেতেন ইভ।
ওই ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইভ জানিয়েছেন, ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন। কারণ, একটা পশুর সঙ্গে তাল মেলাতে হচ্ছে তাঁকে।
স্ট্যানফোর্ডের এই প্রাক্তনী তাঁর মডেল হওয়ার কাহিনিও শুনিয়েছেন ওই সাক্ষাৎকারে। মডেল হবেন, এ কথা নাকি কখনও কল্পনাও করেননি ইভ।
মডেলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘আগে কখনই মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমায় আকৃষ্ট করেছিল, যে অনুভূতি প্রতিযোগিতার সময় হয়।’’
ইভের বয়স যখন ১৩, সে সময় বাবাকে হারান। ২০১১ সালে প্রয়াত হন স্টিভ জোবস। কিশোরীবেলায় তাঁর পথনির্দেশকের ভূমিকা পালন করেছিলেন ইভের মা লরেন পাওয়েল জোবস। কী ভাবে আগামীর পথে চলতে হবে, সে ব্যাপারে যাবতীয় পরামর্শ দেন তাঁর মা।
১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম ইভের। পোলো অল্টো উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমে ভর্তি হন। পরে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক।
স্টিভ-কন্যাকে ঘিরে গুঞ্জনও রয়েছে। হ্যারি হাডসন নামে এক সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে তাঁর প্রেম ঘিরে জোর চর্চা নেটমাধ্যমে।
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই কোটি কোটি টাকার মালকিন ইভ। জানা গিয়েছে, স্টিভ-তনয়ার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪০-৫০ লক্ষ ডলার।