শনিবার ৪১ বছরে পা দিলেন দক্ষিণী ফিল্মজগতের জনপ্রিয় অভিনেতা অল্লু অর্জুন। জন্মদিনের আগেই ‘পুষ্পা’ ছবির দ্বিতীয় পর্বের প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছে। ঠিক সেই সময় ফিল্মপাড়ায় আলোচনা শুরু হয়েছে অল্লুর সঙ্গে দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সম্পর্ক নিয়ে।
অল্লু নাকি তাঁর স্ত্রীর পরিচয় লুকিয়েছিলেন সামান্থার কাছে। জীবনসঙ্গী হিসাবে নন, বরং সামান্থার সঙ্গে আলাপ করানোর সময় স্ত্রীর অন্য পরিচয় দিয়েছিলেন অল্লু। কিন্তু অভিনেতা হঠাৎ মিথ্যার আশ্রয় কেন নিয়েছিলেন?
আমেরিকার একটি নাইটক্লাবে স্নেহা রেড্ডির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অল্লুর। ২০১১ সালে স্নেহার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। কিন্তু স্নেহার ব্যাপারে কাউকে কিছু জানাননি অল্লু। স্নেহার সঙ্গে তাঁর পরিচিত মাত্র দু’জনের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সামান্থার নেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর সামনেই অল্লু স্বীকার করেন যে, তিনি সামান্থার সঙ্গে স্নেহার আলাপ করানোর সময় মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন। অল্লু বলেন, ‘‘আমি স্নেহার সঙ্গে মাত্র দু’জনের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম। তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন সামান্থা। তবুও মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলাম।’’
স্ত্রী হিসাবে নয়, বরং প্রেমিকা হিসাবে সামান্থার সঙ্গে স্নেহার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন অল্লু। তিনি যে স্নেহাকে ইতিমধ্যে বিয়েও করে ফেলেছেন, তা সামান্থার কাছ থেকে লুকিয়ে গিয়েছিলেন অল্লু।
কিন্তু স্নেহা যে অল্লুর প্রেমিকা, তা জানার পর সামান্থা খুব খুশি হয়েছিলেন। অল্লু জানান, সামান্থা যে ভাবে স্নেহাকে দেখে আনন্দিত হয়েছিলেন, তা দেখার পর অল্লু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, তিনি স্নেহাকে বিয়ে করে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেননি।
অল্লু যে স্নেহার আসল পরিচয় লুকিয়েছিলেন, তা জেনে অবাক হন সামান্থা। অল্লুকে পাল্টা প্রশ্ন করেন যে, কী দেখে স্নেহাকে পছন্দ করেছিলেন তিনি? অভিনেতা জানান যে, স্নেহার মধ্যে দু’টি গুণ রয়েছে, যা দেখে অল্লু মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
অল্লু সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ঘড়িতে তখন রাত দু’টো বাজে। আমার সঙ্গে নাইটক্লাবে স্নেহার প্রথম দেখা হয়। প্রথম দেখাতেই ওকে দেখে খুব ব্যক্তিত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল। কোনও অভব্য আচরণ করতে দেখিনি স্নেহাকে। প্রথম দেখাতে এই আচরণই আমাকে ওর কাছে টেনে নেয়।’’
ব্যক্তিত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি স্নেহা তাঁর জীবনে সমতা বজায় রেখে চলতে পারেন বলে জানান অল্লু। স্নেহার এই আচরণের জন্য অল্লু তাঁকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সামান্থার সঙ্গে অল্লুর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সামান্থাকে খুব ভরসাও করেন অভিনেতা। তাই ইন্ডাস্ট্রির আর কারও সঙ্গে স্নেহার আলাপ করিয়ে না দিলেও সামান্থার সঙ্গে করিয়ে দিয়েছিলেন।
সামান্থার মতামত অল্লুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হলেও স্নেহার সঙ্গে সামান্থার আলাপ করিয়েছিলেন তিনি। কারণ, তিনি জানতেন, সামান্থা কখনওই তাঁর খারাপ চাইবেন না।
স্নেহাকে পছন্দ না হলে তা সরাসরি অল্লুকে জানাতেন সামান্থা। এমনকি, সামান্থার হাবভাবেও তা ধরা পড়ত বলেও নিশ্চিত ছিলেন অল্লু। তাই স্নেহার সঙ্গে পরিচয়ের পর সামান্থার উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
যখন সামান্থাকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখেছিলেন, তখনই অল্লু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, স্নেহাকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে কোনও ভুল করেননি তিনি।
আগামী শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘শকুন্তলম’। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামান্থা। সামান্থার সঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে অল্লুর কন্যা আরহাকে।
সামান্থা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অল্লু তাঁর কন্যার কেরিয়ারে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। সামান্থা বলেন, ‘‘অল্লুর কন্যা এতটুকু বয়স থেকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়। সব সময় নিজের মতো থাকে। অল্লু কখনওই ওর কেরিয়ার তৈরির ক্ষেত্রে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবে না।’’