৫৭ বছরের গণ্ডি পার করে ফেলে বলিপাড়ার ‘ভাইজান’ হয়ে গিয়েছেন সলমন খান। কিন্তু অভিনেতা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন কবে? বা আদৌ আর বসবেন কি? এই প্রশ্ন মাঝেমধ্যে সলমনকেও জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু এক বলি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হতে হতেও ভেঙে গিয়েছিল তা জানেন কি?
১৯৮৬ সালে সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বলি অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানি। টানা আট বছর সম্পর্কে ছিলেন দুই তারকা।
সঙ্গীতা এবং সলমন বিয়ে করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৪ সালে বাগ্দান পর্ব সারার পর বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করে ফেলেন তারকা। এমনকি বিয়ের কার্ডও ছাপা হয়ে যায়। কিন্তু বলিপাড়ার অন্য এক অভিনেত্রীর জন্য সলমনের বিয়ে ভেঙে যায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সলমন এবং সঙ্গীতার বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন বলি অভিনেত্রী সোমি আলি। তিনি নিজেও সলমনের প্রেমিকা ছিলেন বলে শোনা যায়।
সোমি জানান, সলমনের যখন সঙ্গীতার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে যায় তখন সোমির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা। সঙ্গীতার কাছে তাঁরা ধরাও পড়ে যান বলে দাবি সোমির।
সোমি বলেন, ‘‘আমার অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই আমাকে আর সলমনকে একসঙ্গে হাতেনাতে ধরেন সঙ্গীতা। সলমন ওঁকে ঠকাচ্ছিল। সঙ্গীতা তা মেনে নিতে পারেননি। ওঁদের বিয়েটাও তাই ভেঙে যায়।’’
সঙ্গীতা এবং সলমনের বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সোমির সঙ্গে সলমনের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বিয়ে ভেঙে দেন সঙ্গীতা।
সোমির দাবি, সলমন এবং সঙ্গীতার সম্পর্ক ভাঙার পর নিজের কর্মফল পেয়েছেন তিনি। সোমি বলেন, ‘‘সঙ্গীতার সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময় সলমন যা করেছিল, আমার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা অবস্থাতেও সেটাই করেছে। সেটা আমার কর্মফল ছাড়া তো আর কিছুই নয়।’’
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, সোমির সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময় ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সলমন। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটেই ঐশ্বর্যার সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে সলমনের।
সোমির দাবি, সলমন নাকি মাঝেমধ্যেই তাঁর গায়ে হাত তুলতেন। বহু বার সলমনের কাছে শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন সোমি।
ভালবাসা এবং যত্ন করার নাম করে নাকি সোমিকে যৌন হেনস্থা করতেন সলমন। এমনটাই দাবি করেন সোমি।
সলমনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন ঐশ্বর্যাও। সলমনের সঙ্গে বর্তমানে কোনও যোগাযোগ নেই ঐশ্বর্যার। যদিও সঙ্গীতার সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে অভিনেতার।
সোমির দাবি, সলমনের টানেই মুম্বইয়ে অভিনয়জগতে নিজের কেরিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেও একটি সমাজসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সোমি।