বিশ্বের এমন কিছু খাবার আছে যার দাম শুনলে ভিরমি খাবে মধ্যবিত্ত। আর ধনীরা! খাওয়ার আগে দু’বার ভাববেন।
অ্যালবিনো ক্যাভিয়ার: এক ধরনের মাছের ডিম। ৬০ থেকে ১০০ বছর বয়সি অ্যালবিনো স্টারজিওন মাছ থেকে পাওয়া যায়। ইরানের কাছে কাস্পিয়ান সাগরে এই বিরল প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এক কেজি ডিমের দাম ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি।
সাদার পাশাপাশি অ্যালবিনো স্টারজিওনেরও কালো ডিমও মেলে। সেই এক কেজি ডিমের দাম ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
জাফরান: মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা এই মশলাটিকে ‘লাল সোনা’ বলা হয়ে থাকে। ক্রোকাস স্যাটিভাস ফুলের গর্ভকেশর। এর উৎপাদন সময়সাপেক্ষ। ১৫০টি ফুল থেকে ১ গ্রাম শুকনো জাফরান উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজির দাম ৭ লক্ষ টাকারও বেশি।
আয়াম সেমানি ব্ল্যাক চিকেন: ইন্দোনেশিয়ায় এই বিরল প্রজাতির কালো মুরগি দেখতে পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়ায় একটা মুরগিছানার দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা। সে দেশের বাইরে একটার দাম ৭৪ হাজার টাকারও বেশি।
ইতালিয়ান হোয়াইট আলবা ট্রাফল: এক প্রকার বিরল প্রজাতির মাশরুম। সুস্বাদু আর সুগন্ধযুক্ত এই মাশরুম মূলত উত্তর ইটালিতে পাওয়া যায়। ট্রাফলের বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট একটি আবহাওয়ার প্রয়োজন হয়। এক কেজি ট্রাফলের দাম ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
মাতসুতা মাশরুম: বিশ্বের ব্যয়বহুল মাশরুমগুলির অন্যতম এটি। জাপানের তাম্বা এলাকায় জন্মায়। শরতের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এর দেখা পাওয়া যায়। জাপানের রন্ধনপ্রণালীর অন্যতম সুস্বাদু উপাদান। দাম ৭৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা।
কোপি লুওয়াক কফি: বিশ্বের ব্যয়বহুল কফি। যার বিন তৈরি করা হয় এক ধরনের বিড়ালের মল থেকে। এই বিড়ালগুলি এশিয়ার একাংশে দেখতে পাওয়া যায়। তারা কফি বেরি খায়। হজম করতে না পারায় দানাগুলি মলের সঙ্গে বার করে দেয়। সেই মল থেকে দানাগুলি সংগ্রহ করে ধুয়ে, থেতলে, শুকনো করে ভাজা হয়। এর দাম ৪৪ হাজার টাকা।
সোয়ালো নেস্ট স্যুপ: সোয়ালো পাখির বাসার স্যুপ। চিনে খুব জনপ্রিয় খাবার। সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পাওয়া যায়। পাখির লালা দিয়ে তৈরি হয় বাসা। এর দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
মুজ পনির: সুইডেনের মুজ হাউজ খামারে তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই পনির। প্রতিদিন ৫ লিটার দুধ দিয়ে তৈরি হয় এই পনির। ৫০০ গ্রাম এই পনিরের দাম ৩৭ হাজার টাকা।
শুকনো আইবেরিয়ান হ্যাম: বিশ্বের সবচেয়ে দামি হ্যাম। যে শূকরের মাংস থেকে এই হ্যাম তৈরি হয়, তাদের এক ধরনের বিশেষ বাদাম খাওয়ানো হয়। বিশেষ স্বাদ এবং গুণমানের মাংসের জন্য এদের কমপক্ষে তিন বছর ধরে লালনপালন করা হয়। মাংসের দাম প্রতি কিলো ২৮ হাজার টাকা।
ফুগু মাছ: বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক মাছ। একে সঠিক ভাবে রান্না না করে খেলে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পীরা এই মাছ রান্না করে থাকেন। প্রতিটি মাছের দাম ২২ হাজার টাকা।
ব্লু ফিন টুনা: বিপন্ন প্রজাতির মাছ, যারা ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। টুনা সাধারণত অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি দামি। এক কিলো মাছের দাম প্রায় সাড়ে ছ’হাজার টাকা।
জাপানের এক ব্যবসায়ী কিয়োশি কিমুরা ২৩ কোটি টাকা দিয়ে ২৭৮ কেজির টুনা মাছ কিনেছিলেন।
ইউবারি কিং মেলন: খুব মিষ্টি খেতে এক প্রকার খরমুজ। আকৃতি গোলাকৃতি এই ফলটি জাপানে পাওয়া যায়। এর এক টুকরোর দাম ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।