দুই বোন দুই পেশাক বেছেছেন। তা বলে তাঁদের মধ্যে কোনও মিল নেই এমনটা ভাবা ঠিক নয়। পছন্দ থেকে অপছন্দ— সবেতেই অনেক মিল দিশা পটানি আর তাঁর দিদি খুশবুর।
ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল নায়িকা হবেন। দিশা সেই পথই বেছেছেন। বলিউডের পরিচিত নাম দিশা পটানি।
দিদি খুশবু কিন্তু হেঁটেছেন অন্য পথে। তিনি যোগ দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। লেফটেন্যান্ট পদে রয়েছেন খুশবু পটানি।
দিদিকে ডুব্বু বলে ডাকেন দিশা। গত বছর দিদির জন্মদিনে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন দিশা।
পোস্টে দিদির জন্মদিন উদ্যাপনের একাধিক ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন দিশা। তাতে দেখা গিয়েছিল, গোলাপি জামা পরে নাচছেন দিশা। মুখে মাস্ক। সঙ্গে আরও বন্ধুবান্ধব। যদিও বেশি নজর কেড়েছিলেন খুশবু। তিনি যে গ্ল্যামার জগৎ থেকে অনেক দূরে, তা কেউ বলবেন না।
১৯৯১ সালের ২৩ নভেম্বর খুশবুর জন্ম উত্তরাখণ্ডের তানকপুরে। বাবা জগদীশ সিংহ পটানি ছিলেন পুলিশ আধিকারিক। দিশার এক ভাইও রয়েছেন। নাম সূর্যাংশ পটানি।
জগদীশের কাজের কারণেই খুশবুরা তানকপুর থেকে বরেলি চলে যায়। সেখানে ডেপুটি পুলিশ সুপার ছিলেন জগদীশ। বরেলির স্কুলেই পড়াশোনা খুশবুর।
গ্রেটার নয়ডার দেহরাদূন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক খুশবু।
স্নাতক পাশ করে খুশবু একটি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি নিয়েছিলেন। গত সাত বছর ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছেন তিনি।
দিদিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দিশা। প্রায়ই পোস্ট দেন সমাজমাধ্যমে। উর্দি পরা খুশবুর একটি ছবি দিয়ে দিশা লেখেন, এই ‘আশ্চর্য নারী’কে নিয়ে তিনি গর্বিত।
নিজের বিষয়ে খুব একটা মুখ খোলেন না খুশবু। গুঞ্জন, কলেজে পড়ার সময় থেকেই এক সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্ক। নাম সাহিল কুমার।
সাহিল নাকি পেশায় গায়ক। এখনও তাঁর সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে খুশবুর। তবে বিয়ে কবে করবেন, সে বিষয়ে তিনি বা পটানি পরিবার মুখ খোলেনি।
দিশাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠেরা বলেন, বোনের মতোই খুশবু শরীরচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন দিনের অনেকটা সময়। নাচ আর গান করতেও ভালবাসেন খুশবু। তবে সব থেকে বেশি পছন্দ করেন নিজেকে আড়ালে রাখতে।
২০১৬ সালে বলিউডে হাতেখড়ি হয়েছিল দিশার। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বিপরীতে ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ছবিতে।