তিনি শৌখিনী (ফ্যাশনিস্তা)। ভারতীয় হোক কিংবা পশ্চিমি— সব ধরনের পোশাকেই নিজেকে মেলে ধরেন। সৌন্দর্যে টেক্কা দিতে পারেন যে কোনও সুপারমডেলকে। সমাজমাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়! তাঁর সঙ্গে মুকেশ অম্বানীর পরিবারের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়ী পরিবারের কন্যা। তাই তাঁর বৈভবও দেখার মতো। তিনি দিয়া মেটা।
মুকেশ অম্বানীর জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ শ্লোকা অম্বানীর বোন দিয়া। শ্লোকা এবং দিয়াকে দেখে মনে হবে যেন একে অপরের ‘কার্বন কপি।’ দুই বোনের মুখের আদল যেন একই রকম।
ছোট থেকেই অম্বানী পরিবারের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে দিয়ার। মুম্বইয়ে ধীরুভাই অম্বানী স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।
অম্বানী-কন্যা ঈশা এবং দিয়া ছিলেন স্কুলের সহপাঠী। সেই সময় থেকেই তাঁদের মধ্যে নিবিড় বন্ধুত্ব।
স্কুলের পাঠ শেষের পর লন্ডনের কলেজে ফ্যাশন কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন দিয়া। ফ্যাশনের প্রতি তাঁর বরাবরের ঝোঁক রয়েছে।
ফ্যাশনিস্তা হিসাবেই দিয়া বেশি নজর কেড়েছেন সমাজমাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি। ইনস্টাগ্রামে দিয়ার নানা অবতারের ছবি নজরকাড়া।
ঈশা অম্বানীর সহপাঠী এবং বন্ধু হওয়ার দৌলতে অম্বানী পরিবারের সঙ্গে দিয়ার সম্পর্ক বেশ পুরনো। অম্বানী পরিবারের সঙ্গে তাঁর বন্ধন আরও গাঢ় হয়, যখন শ্লোকার সঙ্গে অম্বানীর জ্যেষ্ঠপুত্র আকাশের চারহাত এক হয়।
২০১৯ সালে আকাশ অম্বানীর সঙ্গে বিয়ে হয় শ্লোকার। দিয়ার অবশ্য তার আগেই বিয়ে হয়েছে।
২০১৭ সালে বিয়ে হয় দিয়ার। পাত্র আয়ুষ জাটিয়া। একটি রেস্তরাঁর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আয়ুষ।
দিয়া এবং আয়ুষের ২ সন্তান রয়েছে। ২ সন্তানের মা হয়েও গ্ল্যামার দুনিয়ায় যে ভাবে নিজেকে ধরে রেখেছেন দিয়া, তা দেখে মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা।
ফ্যাশন, ইনস্টাগ্রাম নিয়ে সব সময়ই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন দিয়া। সেই সঙ্গে পারিবারিক ব্যবসাও সামলান তিনি।
আসলে মুকেশ অম্বানীর মতো ধনকুবের দিয়ার বাবাও। তাঁর বাবা অরুণ রুসেল মেটা। দেশের অন্যতম নামী হিরে ব্যবসায়ী তিনি।
দিয়া এবং শ্লোকার বাবার সংস্থা ১২টি দেশে কাজ করে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
অম্বানীদের সঙ্গে মেটা পরিবারের সম্পর্ক খুবই ভাল। ঈশা অম্বানীকে শুধু ভাল বন্ধুর চোখেই দেখেন না দিয়া। তাঁকে নিজেদের বোন হিসাবেই দেখেন দিয়া এবং শ্লোকা।
পরিবার, ব্যবসা, ফ্যাশন— সব মিলিয়ে দিয়ার জীবনের দৌড় ভালই চলছে। যার আভাস পাওয়া যায় ইনস্টাগ্রামে।