রামের মুখে ভূতের নাম! বিতর্ক থেকে শ’যোজন দূরে থাকতে চাওয়া শাহরুখ খান কি না মুখ খুললেন সিনেমার যৌনদৃশ্য নিয়ে।
শাহরুখ অবশ্য আগাগোড়াই বলিউডের প্রেমিক পুরুষ। রোম্যান্সের আকাশে তিনি অনায়াস জেট প্লেন ওড়ান। তবে বলিউডের রোম্যান্সের রকমসকম ইদানীং বদলেছে।
পর্দায় নায়ক নায়িকার অন্তরঙ্গদৃশ্যের শ্যুটিংয়ে আর ঝোপঝাড়ের মাথায় ফুলের অস্বাভাবিক নড়া চড়া দেখতে হয় না। শয্যাদৃশ্যগুলিও এক চাদরের নীচে পিঠ খোলা নায়ক নায়িকার শুয়ে থাকায় আটকে নেই।
সর্ষে ক্ষেতে ম্যান্ডোলিন বাজানো রোম্যান্স কিং শাহরুখকেও বেশ কয়েকটি সিনেমায় খোলামেলা শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
তবে সিনেমায় যৌনদৃশ্যের শ্যুটিংয়র নেপথ্য কাহিনি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন শাহরুখ খান।
একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে রোম্যান্সের দৃশ্যে বলিউড দর্শকদের যা দেখায়, তা ডাহা মিথ্যে!
শুধু তা-ই নয়, শাহরুখ বলেছেন, সেগুলো এতটাই আজগুবি যে, ২১ শতকে দাঁড়িয়ে এই সব দৃশ্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা উচিত।
বেশ কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন শাহরুখ। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, পর্দায় দেখা কোন জিনিসটা সবচেয়ে অবান্তর?
সঞ্চালক আসলে জানতে চেয়েছিলেন, পর্দায় দর্শকদের এমন কী দেখানো হয়, যা আসলে সম্পূর্ণ ভুল। বা সত্য নয়।
এর জবাব শাহরুখ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই একটু ঘুরিয়ে দিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের কোনও গোপন তথ্য ফাঁস না করে শাহরুখ বলেছেন, দর্শকদের দেখা পর্দার সবচেয়ে অবান্তর বিষয় হল যৌনপ্রেমের দৃশ্যগুলি।
ওই সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন, দর্শকরা দেখেন ভোর বেলায় এক বিছানায় নায়ক নায়িকার যখন ঘুম ভাঙছে, তাঁরা ফুলের মতো সতেজ। অথচ বাস্তবে আমাদের ততটাই এলোমেলো আর কুৎসিত দেখতে লাগে, যেমনটা ঘুম থেকে ওঠার পর আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষকে মনে হয়।
শাহরুখ বলেছেন, ‘‘বলিউডের সিনেমায় মিলনদৃশ্যের পর নায়ক-নায়িকাদের যা যা করতে দেখা যায়, তা আরও বড় মিথ্যে কথা। ও সব কিছু হয় না। যৌন মিলনের পর মুখের উপর সূর্যের আলো! ওই রকম মুহূর্তে মুখে সূর্যের আলো পড়লে বিরক্তিকর লাগতো আমার।
ঘুম ভেঙেই নায়ক নায়িকার চুম্বনের দৃশ্য নিয়েও কথা বলেছেন শাহরুখ। তিনি বলেন, ওই দৃশ্য সবার আগে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
ওদের দেখে মনে হয়, ঘুম ভাঙার পর ওদের মুখ থেকে ‘চিকেন টিক্কা’র গন্ধ পাওয়া যায় না! অর্থাৎ, শাহরুখ বলতে চেয়েছেন, সাধারণ মানুষের মতো ওদের মুখ থেকেও দুর্গন্ধ পাওয়া যায়।