বরখাস্ত হতে হল আমেরিকার এক শিক্ষিকাকে। মিশিগানের এক স্কুলে ইতিহাস পড়াতেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে যে কারণে তাঁকে স্কুল বরখাস্ত করেছে, তার সঙ্গে পড়াশোনার কোনও সম্পর্ক নেই।
র্যাপ গাওয়ার ‘অপরাধে’ ডোমনিক ব্রাউন নামে ওই শিক্ষিকা বরখাস্ত হয়েছেন।
ডেট্রয়েটের টেলর প্রিপারেটরি হাই স্কুলে শিক্ষাকতা করতেন ডোমনিক। ক্লাসে অভিনব পদ্ধতিতে পড়ানোর পাশাপাশি র্যাপার হিসাবেও মিশিগানে নাম তৈরি হয়েছিল তাঁর।
র্যাপ সঙ্গীতের দুনিয়ায় ডোমনিক পরিচিত ‘ড্রিপিন হানি’ নামে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে চাকরি খোয়ানোর কথা জানিয়েছেন ডোমনিক। জানিয়েছেন চাকরি হারানোর কারণও। তবে স্কুলের শেষ দিনে খ্যাতিও কুড়িয়েছেন ডোমনিক।
ডোমনিক জানিয়েছেন, তাঁর র্যাপ সঙ্গীতচর্চা নিয়ে স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবকদের আপত্তি ছিল। সেই দম্পতিই স্কুলে তাঁর নামে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ডমোনিক বলেন, ‘‘ওই অভিভাবকেরা আমার নামে ক্রমাগত অভিযোগ জানাতে থাকে। তার আগে পর্যন্ত কেউ জানত না যে আমি একজন র্যাপার।’’
ডোমনিককে নিয়ে তাঁর স্কুলে বিতর্ক শুরু হয়েছিল গত বছর। তাঁকে নিয়ে কয়েক মাস ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠকও হয়।
ডোমনিককে বলে দেওয়া হয়, হয় তাঁকে সমাজমাধ্যম থেকে তাঁর র্যাপ গানের সব ভিডিয়ো মুছে ফেলতে হবে অথবা স্কুলে পড়ানো বন্ধ করতে হবে।
ডোমনিককে নিয়ে যখন স্কুলে বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময় ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসে স্কুলের সেরা শিক্ষকের খেতাব পেয়েছিলেন তিনি।
তবে ডোমনিককে নিয়ে চলা দীর্ঘ বিতর্কের পর সম্প্রতি স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে।
ডোমনিকের কথায়, “র্যাপার হওয়ার কারণে সম্প্রতি, আমাকে চাকরি খোয়াতে হয়েছে। এক অভিভাবকের অভিযোগের কারণে আমাকে বরখাস্ত করা হল। ওই অভিভাবক কয়েক মাস ধরে আমার স্কুলে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি।’’
ডোমনিক জানিয়েছেন, তিনি কী ভাবে পড়াতেন এবং পড়ুয়াদের উদ্বুদ্ধ করতেন, সেই কথা তাঁকে বরখাস্ত করার সময় বিবেচনা করা হয়নি। এই বিষয়টি তাঁকে মানসিক আঘাত দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডোমনিক।
তবে শিক্ষকতার শেষ দিনে খ্যাতি কুড়িয়েছেন ডোমনিক। ওই দিন তিনি তাঁর ছাত্রদের একত্রিত করে একটি র্যাপ ভিডিয়ো তৈরি করেন যা ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ভিডিয়োর জন্য ডোমনিক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। বৃদ্ধি পেয়েছে সমাজমাধ্যমে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাঁকে স্কুলে পুর্নবহাল করার দাবিও তুলেছে।