দু’বছর অপেক্ষার পর ‘টিভিএফ প্রোডাকশন’ ‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছে অ্যামাজন প্রাইমে।
প্রথম পর্বের শেষ দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল, একটি জলের ট্যাঙ্কের উপর অভিষেকের সঙ্গে গ্রাম প্রধানের মেয়ে রিঙ্কির দেখা হয়।
এর পর তাঁদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে, তা দেখার জন্যেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা।
সিরিজের গল্প অনুযায়ী, গ্রাম প্রধান মঞ্জু দেবী ও ব্রিজভূষণ দুবের এক মাত্র কন্যার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রিঙ্কিকে।
ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বে পুরো অংশ জুড়ে তাঁর নাম বার বার উল্লেখ করলেও শেষ দৃশ্যে এক ঝলকের জন্য রিঙ্কিকে দেখানো হয়েছিল। কোনও সংলাপ ছিল না তাঁর।
বরং দ্বিতীয় পর্বে এসে তাঁর চরিত্রটিকে ভাল করে ফুটিয়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। চরিত্রটির সারল্যই দর্শকদের মন কেড়েছে।
অতি সাধারণ পরিবারের মেয়ের মতোই তাঁর চালচলন। তাই দর্শকরা এই চরিত্রের সঙ্গে আরও সহজে যেন সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।
সিরিজ জুড়ে তাঁকে চুড়িদার, সালোয়ার পরে দেখা গেলেও নেটমাধ্যমে এমন অনেক ছবি রয়েছে, যেখানে তাঁকে পশ্চিমি পোশাকে দেখা গিয়েছে।
সেই ছবিগুলিও আলাদাভাবে নজর কাড়তে বাধ্য। ইনস্টাগ্রামে ‘সানভিকা’ নামে থাকলেও কয়েকটি ওয়েবসাইটের দাবি, তাঁর আসল নাম পূজা সিংহ। যদিও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিনেতা হিসাবে তাঁর ‘সানভিকা’ নামটিরই উল্লেখ রয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে পূজা জানিয়েছেন, তিনি কোনও দিন অভিনয় করার কথা ভাবেননি। ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজের মাধ্যমেই অভিনয় জগতে তাঁর পা রাখা।
তিনি ‘পঞ্চায়েত’-এর প্রতিটি অভিনেতা-অভিনেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। সকলের কাছে তিনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন।
ক্রমেই বাড়ছে তাঁর জনপ্রিয়তা। লাফিয়ে বাড়ছে ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসরণকারীর সংখ্যাও।
তাঁর প্রিয় অভিনেতা মাধুরী দীক্ষিত এবং দীপিকা পাড়ুকোন। এ ছাড়া তিনি পছন্দ করেন অনুষ্কা শর্মাকেও।
দৈনিক ভাস্করকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানভিকা দাবি করেছেন, তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
এর পর ঠিক করেন তিনি অভিনয় করবেন। বাড়ির লোককে শুরুতে বোঝাতে সমস্যা হয়েছিল। তাই তিনি সে সময় তাঁদের মিথ্যা বলেন।
সানভিকা মুম্বইয়ে অভিনয়ের অডিশন দিতে যান। বাড়িতে বলেছিলেন, তিনি বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় একটি কোর্স করতে।
পরে ‘পঞ্চায়েত’-এ অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে বাড়িতে জানান। তখন অবশ্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতে সমস্যা হয়নি।
‘পঞ্চায়েত’-এর সাফল্যের পর তাঁর হাতে এখন বহু কাজের প্রস্তাব এসেছে।