পুত্র রবীন্দ্র এবং বৌমা রিভাবার বিরুদ্ধে আগেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন ক্রিকেটারের বাবা অনিরুদ্ধসিন জাডেজা। অভিযোগ ছিল একই শহরে থেকেও পুত্র বা বৌমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর বা তাঁর পরিবারের।
এর নেপথ্যে জাডেজার স্ত্রীকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। ‘দিব্যা ভাস্কর’ নামের এক সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই সমাজমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
রবীন্দ্র জাডেজার পরে এ বার মুখ খুললেন তাঁর স্ত্রী রিভাবা। জাডেজা ও রিভাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জাডেজার বাবা অনিরুদ্ধসিন।
তাঁর অভিযোগ, রিভাবার কথায় তাঁকে ত্যাগ করেছেন রবীন্দ্র। পুত্র নাকি তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেন না। সেই অভিযোগ নিয়েই মুখ খুলেছেন রিভাবা।
রবীন্দ্র জাডেজার স্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি রিভাবা গুজরাতের জামনগর উত্তর বিধানসভার বিজেপি বিধায়কও। দলীয় একটি কর্মসূচিতে তাঁকে শ্বশুরের করা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
প্রশ্ন শুনেই বিরক্ত হন রিভাবা। তিনি বলেন, “এখানে আমরা কেন জড়ো হয়েছি? এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি। এখানে পারিবারিক প্রশ্নের জবাব দেব না।“
তাঁর সংযোজন, “আপনাদের কিছু জানার থাকলে আমার সঙ্গে অন্য সময় কথা বলুন। সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেব। আমারও অনেক কিছু বলার আছে।”
স্পষ্ট করে জবাব না দিলেও রিভাবার কথায় স্পষ্ট, তাঁরও অনেক অভিযোগ রয়েছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
কয়েক দিন আগে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন জাডেজার বাবা। ছেলে সম্পর্কে তিনি বলেন, “সত্যি কথা শুনতে চান? আমার সঙ্গে রবীন্দ্র এবং রিভাবার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি ওদের ফোন করি না, ওরাও করে না। ’’
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, “বিয়ের দু’তিন মাস পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। জামনগরে একাই থাকি আমি। ওরা আলাদা বাড়িতে থাকে। একই শহরেও থেকেও দেখা হয় না। আমি জানি না ওর স্ত্রী রবীন্দ্রের উপর কী জাদু করেছে।”
জাডেজার বাবা ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোই তাঁর জীবনের মস্ত একটা ভুল ছিল।
অনিরুদ্ধসিন বলেন, “ও আমার ছেলে, এটাই এখন আমার সব থেকে বড় যন্ত্রণার জায়গা। ওর বিয়ে না দিলেই ভাল হত। রবীন্দ্র ক্রিকেটার না হলে আরও ভাল হত। তা হলে আমাদের জীবন অনেক সহজ হত।”
তাঁর অভিযোগ, “বিয়ের তিন মাসের মধ্যে রবীন্দ্রের স্ত্রী সব সম্পত্তি ওর নামে লিখে দিতে বলে। আমাদের পরিবারের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেয় রিভাবা। ও পরিবারের সঙ্গে থাকতে চায়নি। স্বাধীন জীবন চেয়েছিল। আমি ভুল হতে পারি, নয়নাবা (জাডেজার বোন) ভুল হতে পারে, কিন্তু কী করে পরিবারের আরও ৫০ জন ভুল হতে পারে? ওদের সঙ্গে পরিবারের কারও কোনও সম্পর্ক নেই।”
জাডেজার মেয়ের মুখ বহু দিন দেখেননি বলেও দাবি অনিরুদ্ধসিনের। তিনি বলেন, “কোনও কিছু লুকোতে চাই না। গত পাঁচ বছরে নাতনির মুখ দেখিনি। সব কিছুই দেখে রবীন্দ্রের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সব কিছুর মধ্যে ওরা মাথা গলায়। রবীন্দ্রের টাকার দিকে ওদের নজর।”
বাবার করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাডেজা। তিনি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, “এটা একটা সাজানো সাক্ষাৎকার। এটাকে পাত্তা দেওয়ার কোনও কারণ নেই। ওই সাক্ষাৎকারে যে জিনিসগুলো বলা হয়েছে, তার কোনও অর্থ নেই। সব মিথ্যে।’’
তাঁর বাবার করা সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর কথায়, “এক পক্ষের কথা বলা আছে ওখানে। সব অভিযোগ অস্বীকার করছি। আমার স্ত্রীর চরিত্র কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমারও অনেক কথা বলার আছে। কিন্তু সেগুলো সকলের সামনে বলা ঠিক নয় বলেই আমি মনে করি।”