BJP Bangla Bandh

বিজেপির ডাকা বন্‌ধে কোথাও অবরোধ, কোথাও সংঘর্ষ, কোথাও চলল গুলি! রইল ছবি

বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি। মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে সকাল ৬টা থেকে বন্‌ধ ডাকা হয়েছে। বন্‌ধ সফল করতে সকাল থেকেই আসরে নেমে পড়েছিল বিজেপি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪৬
Share:
০১ ২০

বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি। মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে সকাল ৬টা থেকে বন্‌ধ ডাকা হয়েছে। বন্‌ধ সফল করতে সকাল থেকেই আসরে নেমে পড়েছিল বিজেপি।

০২ ২০

বুধবার বিজেপির ডাকা বন্‌ধের জেরে সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত গোলমালের ছবি উঠে এসেছে। বেলা বাড়তে তা বড় আকার ধারণ করেছে কোথাও। চলেছে গুলিও।

Advertisement
০৩ ২০

সকাল ছ’টা নাগাদ বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা আসেন বনগাঁ স্টেশনে। রেল অবরোধ করেন তাঁরা। রেল অবরোধ হয় হুগলি স্টেশনেও। হুগলি স্টেশনে ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল আটকে দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রেললাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

০৪ ২০

মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বেও বন্‌ধ সমর্থকেরা একাধিক রেলস্টেশনে অবরোধ করেন। এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগরেও রেল অবরোধ হয়। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির মানকুণ্ডু স্টেশনেও।

০৫ ২০

সকাল থেকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত ছিল শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায়। লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার একাধিক স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলেন বন্‌ধ সমর্থকেরা। ব্যাহত হয় পরিষেবা। বন্‌ধের জেরে চরমে ওঠে যাত্রীভোগান্তি। ট্রেন না পেয়ে অনেকেই সড়কপথে রওনা দেন গন্তব্যে। বাস ও অটোয় অতিরিক্ত ভিড় লক্ষ করা যায়।

০৬ ২০

সকালে উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট সরকারি বাসস্ট্যান্ডের সামনে। এক দিকে, বন্‌ধের সমর্থনে যখন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পিকেটিং করছেন, তখন বন্‌ধের বিরোধিতায় পথে নামে তৃণমূল। দুই দলের সমর্থকদের স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয় এলাকা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

০৭ ২০

পুরাতন মালদহে বন্‌ধকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সামনেই বচসায় জড়ালেন তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকেরা। মাথাভাঙা-কোচবিহার রাজ্য সড়কে এনবিএসটিসির বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বন্‌ধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রাস্তায় বাস-গাড়ি আটকানোর অভিযোগও উঠেছে।

০৮ ২০

বুধবার সকালে কালিয়াগঞ্জ শহরের সুকান্ত মোড় থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি সমর্থকেরা। বিবেকানন্দ মোড়ে কিছু ক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করেন তাঁরা। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

০৯ ২০

পুলিশ সূত্রে খবর, বন্‌ধের দিনে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোচবিহারে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন বিজেপি বিধায়কও রয়েছেন। তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে প্রথমে আটক করে পুলিশ, পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

১০ ২০

কোন্নগরে পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। বন্‌ধের সমর্থনে বিজেপি কর্মীরা কোন্নগর চলচ্চিত্র মোড়ে জড়ো হন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা বন্‌ধের বিরোধিতা করে ওই এলাকায় পৌঁছন তৃণমূল কর্মীরা। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁদের নিরস্ত করে।

১১ ২০

হুগলির হিন্দমোটরের মালির বাগান এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে গিয়ে চড়াও হন বন্‌ধ সমর্থকেরা। অভিযোগ, তাঁরা এসে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটকাতে গেলে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিভাবকেরা।

১২ ২০

আসানসোলের মহীশিলা কলোনি এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকেরা। সকালে বন্‌ধ সমর্থকেরা কলোনির বাজার বন্ধ করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা পুনরায় বাজার চালু করতে এলে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

১৩ ২০

বন্‌ধের সকালে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় গুলিও চলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায়। ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন তিনি।

১৪ ২০

বন্‌ধের সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘাটালের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বন্‌ধের সমর্থনে বিজেপি একটি মিছিল বার করেছিল। তবে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বিধায়ক-সহ কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আটক করে পুলিশ।

১৫ ২০

বন্‌ধ সফল করতে বুধবার সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় পথে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল হয় দিকে দিকে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে স্কুলে যাওয়া ছাত্রীদের চোখরাঙানোর অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। আবার মেদিনীপুর সদর শহরে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকেরা।

১৬ ২০

বন্‌ধের দিনে অশান্তি ছড়ায় বসিরহাটেও। বিজেপির রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে বচসা হয়। মহিলা কাউন্সিলর সোমা দাস এবং তাঁর অনুগামীরা সেই অবরোধ হটাতে মাঠে নামেন। অভিযোগ, লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির রাখা চেয়ার। সোমা বসিরহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

১৭ ২০

জেলায় জেলায় বিজেপির ডাকা বন্‌ধকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখা গেলেও কলকাতায় পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে শান্ত ছিল। দু’-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি ছড়ালেও যান চলাচল ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। মেট্রোও চলছে নিয়ম মেনে। অফিস-কাছারি, দোকানপাটও মোটামুটি খোলাই রয়েছে। রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। তবে বাসের সংখ্যা কিছুটা কম।

১৮ ২০

শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে মুখোমুখি হন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে অবস্থান শুরু করলে তৃণমূলের কর্মীরা আপত্তি জানান। সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক জন বন্‌ধ সমর্থনকারীকে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। টালা সেতুতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

১৯ ২০

বেলা গড়াতে বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কোলে মার্কেট এলাকায় গিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে আর্জি জানান বন্‌ধ সমর্থন করার জন্য। অভিযোগ, সেই সময় কাউকে কাউকে দোকান বন্ধ করতে জোর করা হয়েছে।

২০ ২০

বন্‌ধের জেরে সজল ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্য, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিন্‌হা-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতাকে আটক করে পুলিশ।

সব ছবি: সংগৃহীত ও পিটিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement