Super Power

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ‘সুপার পাওয়ার’! পৃথিবীর বুকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই ‘সুপারহিরোরা’

‘ডিসি’ বা ‘মার্ভেল’ সিরিজ়ের ছবিগুলি দেখে মাঝেমধ্যে কি সুপারহিরোদের মতো বিশেষ ক্ষমতা লাভ করতে ইচ্ছে করে না? কিন্তু এই ‘সুপারপাওয়ার’ শুধু সিনেমার পর্দায় বা গল্পের পাতাতেই নেই, বাস্তবেও এই ধরনের অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে কয়েক জনের।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:১৩
Share:
০১ ১৭

‘ডিসি’ বা ‘মার্ভেল’ সিরিজ়ের ছবিগুলি দেখে মাঝেমধ্যে কি সুপারহিরোদের মতো বিশেষ ক্ষমতা লাভ করতে ইচ্ছে করে না? কিন্তু এই ‘সুপার পাওয়ার’-এর কথা সিনেমার পর্দায় বা গল্পের পাতাতেই নয়, বাস্তবেও ‘সুপার পাওয়ার’-এর অস্তিত্ব রয়েছে। বাস্তবে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার উত্তর কোনও বিশেষজ্ঞের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। পৃথিবীতে এমন কয়েক জন রয়েছেন যাঁরা জীবনে কোনও দুর্ঘটনার পর ‘সুপার পাওয়ার’ লাভ করেছেন।

০২ ১৭

জ্যাসন প্যাডগেট। ছোট থেকেই অঙ্কে ভীতি তাঁর। অঙ্কের বই খুললেই ঘাম ছুটত জ্যাসনের। সারা দিন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে বেড়াতে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু তাঁর জীবন এক দুর্ঘটনার পর যেন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়।

Advertisement
০৩ ১৭

ক্যালেন্ডারে কোনও শুক্রবার যদি ১৩ তারিখে পড়ে যায়, তা হলে সেই দিনে অবিশ্বাস্য, অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে বলে অনেকের দাবি। কোনও এক বছরের শুক্রবার, ১৩ তারিখ জ্যাসন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে তাঁর উপর কয়েক জন হামলা করেন। জ্যাসনের কাছে টাকাপয়সা যা ছিল, সব ছিনতাই করে পালিয়ে যান। শুধু তা-ই নয়, জ্যাসন গুরুতর আহত হন। মাথায় চোট পান তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাও চলে তাঁর। কিন্তু তার পরেই ঘটে অবাক কাণ্ড।

০৪ ১৭

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর জ্যাসন নাকি কোনও কিছুই স্বাভাবিক চোখে দেখতেন না। আশপাশের সব কিছুই পিক্সেল বাক্সের মতো দেখতে পেতেন তিনি। আগে যে জ্যাসন অঙ্ক দেখলেই লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতেন, এখন সেই জ্যাসন পাতার পর পাতা অঙ্ক এবং ভৌতবিজ্ঞানের সাহায্যে জটিল সমস্যার সমাধান বার করে ফেলতে পারতেন । তাঁর এই বদল দেখে অনেকে মনে করেন, দুর্ঘটনার ফলে মাথায় আঘাত পেয়েই ‘সুপার পাওয়ার’ পেয়েছেন জ্যাসন।

০৫ ১৭

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা টোনি সিকোয়ার কাহিনি অন্য রকম। ১৯৯৪ সাল যেন তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দেয়। রাস্তার ধারের একটি ‘পেফোন’ থেকে টোনি তাঁর মাকে ফোন করেন। এই ধরনের ফোন থেকে কথা বলতে গেলে কয়েন ফেলে নম্বর ডায়াল করতে হয়। টাকা না দিলে ফোনও করা যায় না এই ফোন থেকে। টোনিও নিয়ম মেনে টাকা দিয়ে তাঁর মায়ের নম্বর ডায়াল করেন। কিন্তু তখনই ঘটে বিপত্তি।

০৬ ১৭

সেই মুহূর্তে বাইরে প্রচণ্ড জোরে ঝড় উঠেছিল। সঙ্গে পড়ছিল বাজও। বাজ পড়ার আওয়াজেই হঠাৎ করে হৃদ্‌স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় টোনির। সৌভাগ্যবশত পেফোন থেকে ফোন করবেন বলে টোনির পিছনে এক মহিলা অপেক্ষা করছিলেন।

০৭ ১৭

ওই মহিলা পেশায় নার্স ছিলেন। তিনি আবার টোনির হৃদ্‌স্পন্দন ফেরাতে সক্ষম হন। কিন্তু ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর টোনি যখন স্নায়ু বিশেষজ্ঞের কাছে তাঁর চিকিৎসা করাতে যান, তখন অদ্ভুত জিনিস লক্ষ করেন তিনি।

০৮ ১৭

টোনি বেশি ক্ষণ কিছু মনে রাখতে পারতেন না। জোর আওয়াজে গানবাজনা শুনতে পছন্দ করতেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন পর তিনি লক্ষ করেন, পিয়ানোর সুর টানছে টোনির মনকে। ঝোঁকের বশে পিয়ানো নোট লেখা কাগজপত্র জোগাড় করতে শুরু করলেন তিনি।

০৯ ১৭

যে মানুষটি কোনও দিন পিয়ানো ছুঁয়ে দেখেননি, সেই মানুষটিই কিনা পিয়ানোর প্রতিটি নোট দেখে বুঝতে পারছেন।শুধু তা-ই নয়, পিয়ানোয় নিজে থেকে সুর দিয়ে বাজাতেন তিনি। দুর্ঘটনার পর পিয়ানো বাজানোর বিশেষ ক্ষমতা টোনি অর্জন করেছেন বলে একাংশের দাবি।

১০ ১৭

১৯৭৯ সালের ১৭ অগস্ট। মাঠে বেসবল খেলছিলেন অরল্যান্ডো ক্লেমেন্টে। খেলতে গিয়ে বেসবলটি তাঁর মাথায় এসে লাগে। অরল্যান্ডোর যখন ১০ বছর বয়স, তখন এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

১১ ১৭

অরল্যান্ডো মাথায় চোট পেলেও সেই আঘাত গুরুতর ছিল না। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। চোট পাওয়ার কারণে বেশ কিছু দিন অরল্যান্ডো মাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। কিন্তু পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

১২ ১৭

তবে অরল্যান্ডো অদ্ভুত সব জিনিস লক্ষ করতে থাকেন। তিনি মনে মনেই অঙ্কের জটিল সমাধান বের করে নিতে পারতেন। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট ঘটনাও ভুলতেন না তিনি। এমন স্মৃতিশক্তি কোনও সাধারণ মানুষের থাকতে পারে না বলে দাবি করেন অনেকে। কেউ কেউ বলেন, মাথায় চোট লাগার পরেই অরল্যান্ডো এই ‘সুপার পাওয়ার’ পান।

১৩ ১৭

ডেরেক আমাটো। সাঁতার কেটেই মনের শান্তি খুঁজে পেতেন তিনি। সাঁতার কাটবেন বলে সুইমিং পুলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ডেরেক। কিন্তু সুইমিং পুলে জল কম থাকায় তাঁর মাথায় চোট লাগে। চোট লাগার পর তাঁর শ্রবণক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু তাঁর চোখের সামনে অদ্ভুত সব দৃশ্য ভেসে উঠতে শুরু করে।

১৪ ১৭

তিনি চোখের সামনে সব সময় সাদা কালো বাক্সের আকারে গানের নোট ভেসে বেড়াতে দেখতেন। তার পর তিনি নিজে থেকেই পিয়ানোতে অসাধারণ সুর সৃষ্টি করতেন।

১৫ ১৭

২০১৯ সালের ঘটনা। উগান্ডার একটি মাঠে একদল বাচ্চা ঝড়বৃষ্টির মধ্যে খেলছিল। তাদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সি আদরোয়া বাজের আওয়াজে অজ্ঞান হয়ে প়ড়ে। তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে আদরোয়া।

১৬ ১৭

কিন্তু এ যেন এক অন্য আদরোয়া। চোখের মণি আগের মতো বাদামি নয়, নীল রঙে পরিণত হয়েছে। শরীরের শিরা-ধমনীগুলিও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

১৭ ১৭

কিন্তু আদরোয়া রাতের ঘন অন্ধকারে যতটা পরিষ্কার দেখতে পেত, সূর্যের আলোতে তার দেখতে ততটাই অসুবিধা হত। বাজ পড়ার পর রাতে খালি চোখে স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার ‘সুপার পাওয়ার’ পায় আদরোয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement