৪৬ বছর আগে কলম্বিয়ার বারানকিলায় জন্ম শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল ওরফে শাকিরার। চার দশক পর জন্মভূমির তরফে দুর্দান্ত উপহার পেলেন খ্যাতনামী সঙ্গীতশিল্পী।
‘কুইন অফ ল্যাটিন মিউজ়িক’ (ল্যাটিন সঙ্গীতের রানি) হিসাবে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন শাকিরা। গানের পাশাপাশি নাচেও সমান ভাবে দক্ষ তিনি। তাঁরই একটি নাচের বিশেষ ধরনের ভঙ্গিমা অনুকরণ করে কলম্বিয়ার বারানকিলায় একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মাগডালেনা নদীর ধারে একটি উদ্যানের মধ্যে অতিকায় মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে শাকিরার। সম্পূর্ণ মূর্তিটি তামা দিয়ে তৈরি।
তামা দিয়ে তৈরি শাকিরার মূর্তিটির উচ্চতা ২১.৩ ফুট বা প্রায় সাড়ে ছয় মিটার। মূর্তি উদ্ধোধনের মুহূর্তগুলি নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন শাকিরা নিজেই।
‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শাকিরার মূর্তি নির্মাণের নেপথ্যে রয়েছেন ইনো মারকোয়েজ় নামের এক শিল্পী।
এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার)-এর পাতায় মূর্তির ছবি পোস্ট করে ইনোকে ধন্যবাদ জানান শাকিরা। ইনোর পাশাপাশি স্থানীয় আর্ট স্কুলের যে সকল ছাত্রছাত্রী এই মূর্তি নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিল্পী।
মঙ্গলবার শাকিরার মূর্তি উদ্ধোধনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শাকিরার বাবা-মা এবং ভাইয়েরা। তা ছাড়াও সিটি মেয়র জেমি পুমারেজো ছিলেন সেখানে।
২০০৫ সালে ‘হিপস ডোন্ট লাই’ নামের পপ ঘরানার একটি গান মুক্তি পায় শাকিরার। মুক্তির পরেই গানটি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক স্তরের শ্রোতাদেরও মনে ধরে গানটি।
‘হিপস ডোন্ট লাই’ গাওয়ার পাশাপাশি এর গানের ভিডিয়োতে নাচতেও দেখা যায় শাকিরাকে। ‘হিপ শেকিং’ নামের একটি বিশেষ ভঙ্গিমায় নিজের গানের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে নাচ করেন শাকিরা।
‘হিপস ডোন্ট লাই’ গানের দৃশ্য থেকে একটি বিশেষ ভঙ্গিমা অনুকরণ করেই তামার মূর্তিটি বানিয়েছেন ইনো।
অন্দরমহল সূত্রে খবর, মাত্র চার বছর বয়স থেকেই নাকি ‘হিপ শেকিং’ নামের বিশেষ নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন শাকিরা।
শাকিরার মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন তাঁর বাবা-মা। কখনও আবার মেয়রের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এমন কিছু বিশেষ মুহূর্তের ছবি ইনস্টাগ্রামের পাতায় পোস্ট করেছেন শাকিরা।
একাধিক ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি মাতৃভূমিকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শাকিরা। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে শাকিরা লিখেছেন, ‘‘কলম্বিয়ার নারীকে সম্মান দেওয়ার কারণে আমি খুবই আপ্লুত।’’
শাকিরার মূর্তি উদ্ধোধনের সময় মেয়র জেমি বলেছিলেন, ‘‘এই (শাকিরার) মূর্তিটি লক্ষ লক্ষ মহিলাকে বার্তা দেয় যে তাঁরা সব কিছু করতে পারেন। নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার পর সেই স্বপ্নপূরণ করতে পারেন মহিলারা।’’
মেয়র আরও জানিয়েছিলেন যে, ছোটবেলা থেকে তিনি শাকিরাকে ছোট ছোট গানের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে দেখেছিলেন। বর্তমানে তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে গ্র্যামির মতো পুরস্কার।