সংগ্রহের তালিকায় আগেই ছিল একাধিক ব্যক্তিগত বিমান। সেই তালিকায় জুড়ল আরও একটি। নবতমটির কল্যাণে মুকেশ অম্বানী এখন দেশের সবচেয়ে দামি ব্যক্তিগত বিমানের মালিক।
‘অ্যাভিয়েশন নিউজ়’ সূত্রে খবর, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমান কিনেছেন মুকেশ। এই বিমানটি কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন তিনি।
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানটি কেনার পর তা সরাসরি মুম্বইয়ে নিয়ে যাননি মুকেশ। দিল্লি বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে রাখা হয়েছে বিমানটিকে।
মুকেশ তাঁর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন বলে ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল সুইৎজ়ারল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানটিকে। বিমানের নকশাও পরিবর্তন করা হয়।
সুইৎজ়ারল্যান্ডের বাসেল-মালহাউস-ফ্রেইবার্গ ইউরো বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানের অন্দরসজ্জা পরিবর্তন করা হয়। বাড়ানো হয় আসনসংখ্যাও।
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানের মধ্যে কোনও রকম যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে কি না, অথবা উড়ানের সময় কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না তা দেখতে পরীক্ষামূলক উড়ানের ব্যবস্থা করা হয়। বাসেল, জেনেভা এবং লন্ডন বিমানবন্দরে মোট ছ’বার পরীক্ষামূলক উড়ান হয়েছে বিমানটির।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানটি একটানা ১১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
চলতি বছরের ২৭ অগস্ট বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানটি সুইৎজ়ারল্যান্ডের বাসেল থেকে সরাসরি দিল্লি পৌঁছয়।
ন’ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানটি একটানা ৬ হাজার ২৩৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
সূত্রের খবর, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানটি বিশ্বের ব্যয়বহুল বিমানগুলির মধ্যে অন্যতম। এই বিমানে দু’টি সিএফএমআই লিপ-১৮ ইঞ্জিন রয়েছে।
যাতায়াতের জন্য বোয়িং বিজ়নেস জেট ২ নামের একটি বিমান ব্যবহার করেন মুকেশ। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬০৯ কোটি টাকা।
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ ছাড়াও আরও ন’টি ব্যক্তিগত জেট রয়েছে মুকেশের। এই তালিকায় রয়েছে এয়ারবাস এ৩১৯ এসিজে, এয়ারবাস এএস৩৬৫, থ্রি বোম্বার্ডিয়ার গ্লোবাল ফ্যামিলি, দু’টি দাশো ফ্যালকন ৯০০এস, এমব্রায়ের ইআরজে-১৩৫ এবং দু’টি সিকরস্কাই এস৭৬, বোয়িং বিজনেস জেট ২।
ফোর্বস পত্রিকার ২০২৪ সালের তালিকা অনুযায়ী, মুকেশের সম্পত্তির পরিমাণ ১১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার সমান।