বিশ্বকাপের পর থেকেই চোট নিয়ে নাজেহাল শামি। এখনও মাঠে ফেরেননি তিনি। পায়ে চোট থাকা সত্ত্বেও ইঞ্জেকশন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের মাশুল দিচ্ছেন এখন। আইপিএল-এ খেলতে পারবেন না তিনি।
গত বছর বিশ্বকাপে শামির পারফর্ম্যান্সের পর গুজরাতের সমর্থকরা আরও বেশি করে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। এ দিকে গোটা মরসুম থেকেই বাদ পড়েছেন পেসার। গুরুতর চোট সারাতে অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি নেই।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক এই খবর দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে লন্ডন গিয়েছিল শামি। সেখানে গিয়ে গোড়ালিতে একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন নিয়েছিল শামি"।
তিনি আরও জানিয়েছেন, "চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তিন সপ্তাহ পর থেকে ও দৌড়তে পারবে। কিন্তু সেই ইঞ্জেকশন ঠিক মতো কাজ করেনি। ফলে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই"।
সেই আধিকারিকের থেকে জানা যায়, "খুব তাড়াতাড়ি লন্ডনে যাবে শামি। তাই এ বারের আইপিএলে খেলার কোনও প্রশ্নই নেই ওর।”
শামিকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাই তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওই আধিকারিক আরও বলেন, “চোট পাওয়ার পরে শামির তখনই অস্ত্রোপচার করিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। কারণ, ইঞ্জেকশন বা বিশ্রাম দীর্ঘমেয়াদি ফল দিতে পারে না। শামি ভারতীয় দলের সম্পদ। তাই ওকে নিয়ে বোর্ড কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।”
তাঁর মতে, " শামিকে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করা হবে"।
ভারতের হয়ে টেস্টে ২২৯টি, এক দিনের ম্যাচে ১৯৫টি ও টি-টোয়েন্টিতে ২৪টি উইকেট নিয়েছেন শামি।
ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ২৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যা সর্বাধিক।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেটও গিয়েছে তাঁরই ঝুলিতে।
এখন দেখার অপেক্ষা আবার কবে ভারতের জার্সি পরে মাঠে নামতে পারেন শামি।