২৮ বছর জেলের ঘানি টেনেছিলেন। তার পর তাঁর ৪০ বছরের সাজা কমিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক দশক বাদে আবারও গ্রেফতার করা হল ‘মাদক-সম্রাট’ নামে পরিচিত রাফায়েল ক্যারো কুইন্টেরোকে। অনেক সময়ই তাঁর সঙ্গে তুলনা টানা হয় কুখ্যাত মাদক-সম্রাট পাবলো এস্কোবারের।
আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল কুইন্টেরোর। তিনি ‘দ্য নার্কো অব নার্কোস’ নামেও পরিচিত।
মেক্সিকোর সিনালোয়া প্রদেশ থেকে কুইন্টেরোকে গ্রেফতার করেছে মেক্সিকার নৌবাহিনী।
শীঘ্রই কুইন্টেরোর প্রত্যর্পণের আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
মেক্সিকার নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ৬৯ বছর বয়সি ওই মাদক কারবারের চাঁই একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুরের সাহায্যেই তাঁকে হাতেনাতে ধরা হয়।
১৯৮৫ সালে আমেরিকার মাদক দমনকারী এক এজেন্টকে অপহরণ, অত্যাচার ও খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, ‘‘আমেরিকার এজেন্টকে যিনি অপহরণ করে অত্যাচারের পর হত্যা করেছেন, তাঁকে আড়াল করার কোনও মানে হয় না। কুইন্টেরোকে গ্রেফতারের জন্য মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’
ক্যুইন্টেরোর গ্রেফতারিকে ‘বড় সাফল্য’ বলেই বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস।
আমেরিকার ‘ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ) এজেন্ট এনরিক ক্যামারেনাকে হত্যায় ২৮ বছর জেলে বন্দি ছিলেন ক্যুইন্টেরো।
২০১৩ সালে তাঁর ৪০ বছরের সাজা কমায় মেক্সিকোর আদালত। সে সময় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় প্রত্যাহার করে।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আগেই জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গা ঢাকা দেন ওই ‘মাদক-সম্রাট’।
মেক্সিকার অপরাধীদের সংগঠন ‘ক্যাবোরকা কার্টেলে’র প্রতিষ্ঠাতা ক্যুইন্টেরো।