Election

হেরেও থামেননি, কেউ ২১৮ বার, কেউ ৩০০ বার নির্বাচন লড়েছেন!

ভোটের লড়াই তাঁদের থামেনি। ভোটে লড়াই করাই তাঁদের ‘নেশা’। সেই নিয়ে উপহাসেও কান দেননি। এই তালিকা কিন্তু খুব একটা ছোট নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৮
Share:
০১ ১৬

লড়েছেন। হেরেছেন। আবার লড়েছেন। তবু ভোটের লড়াই তাঁদের থামেনি। ভোটে লড়াই করাই তাঁদের ‘নেশা’। সেই নিয়ে উপহাসেও কান দেননি। এই তালিকা কিন্তু খুব একটা ছোট নয়।

০২ ১৬

তামিলনাড়ুর কে পদ্মরাজনের আর এক নাম ‘ভোটের রাজা’। প্রতিদ্বন্দ্বী যিনিই হোন না কেন, তিনি মাথা ঘামাননি। স্থানীয় নির্বাচন থেকে লোকসভা নির্বাচন, কোনওটাই বাদ দেননি তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও লড়েছেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১৬

১৯৮৮ সাল থেকে পদ্মরাজন ভোটে লড়ছেন। নির্দল প্রার্থী হিসাবে। এখনও পর্যন্ত তিনি মোট ২৩৮টি নির্বাচনে লড়াই করেছেন। এ বছরও লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ধর্মপুরী জেলার লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি।

০৪ ১৬

মেট্টুরেই সাইকেলের টায়ার সারানোর দোকান রয়েছে পদ্মরাজনের। পাশাপাশি, কারও শরীর খারাপ হলে হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসাও করেন। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, ভোটজয় নিয়ে মাথা ঘামান না। বার বার ভোটে দাঁড়িয়ে এটাই প্রমাণ করতে চান যে, সাধারণ মানুষও ভোটে অংশ নিতে পারেন।

০৫ ১৬

এখন পর্যন্ত ২০১১ সালে তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মরাজন উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছিলেন। সে বছর ৬,২৭৩টি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। কোনও কেন্দ্রে যত ভোটার রয়েছেন, তাঁদের ১৬ শতাংশেরও সমর্থন না মিললে প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ ভাবে পদ্মরাজন লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন।

০৬ ১৬

সত্তরের দশক থেকে যত ভোট হয়েছে, প্রতিটিতেই লড়াই করেছেন তিতার সিংহ। প্রতি বারই হেরেছেন। প্রতি বারই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে রাজস্থানের বাসিন্দার।

০৭ ১৬

তিতারের বয়স ৭৮ বছর। ১০০ দিনের কাজ করে রোজগার করেন। ২০২৩ সালে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। করণপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। যথারীতি হেরেছেন। তখন পর্যন্ত প্রায় ২০টি ভোটে হেরেছেন তিনি।

০৮ ১৬

তিতার দলিত। কেন বার বার লড়েন ভোটে? তিনি জানিয়েছেন, গরিব, মজুর, ভূমিহীনদের জমির দাবিতে তাঁর লড়াই। তিনি জনপ্রতিনিধি হলে সকলে পাবেন জমি। ২০০৮ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ৯৩৮টি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ওটাই সর্বাধিক।

০৯ ১৬

নরেন্দ্র মোদী তখনও বারাণসীতে প্রার্থী হননি। তার অনেক আগে থেকেই বারাণসীর মাটিতে আঁকড়ে পড়েছিলেন আর এক নরেন্দ্র। নরেন্দ্র নাথ দুবে। যিনি ‘ধরতি পাকাড়’ নামেই পরিচিত।

১০ ১৬

১৯৮৪ সাল থেকে সব বিধানসভা, লোকসভা, স্থানীয় নির্বাচনে লড়াই করেছেন দুবে। একটিতেও জেতেননি। জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দুবে পেশায় আইনজীবী। ২০২২ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

১১ ১৬

ওড়িশার ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা শ্যামবাবু সুবুধি। ১৯৬২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩২টি নির্বাচনে লড়েছেন। প্রতিটিতে হেরেছেন। তবু দমেননি। জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চলবেই।

১২ ১৬

ব্রহ্মপুর আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও। তাঁর বিরুদ্ধেও লড়াই করেছিলেন শ্যামবাবু।

১৩ ১৬

ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীর বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। প্রতি বারই হেরেছেন। তবু দমেননি নাগরমল বাজোরিয়া। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শেষ বার লড়েছিলেন। তখন বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

১৪ ১৬

জীবদ্দশায় প্রায় ৩০০টি নির্বাচনে লড়েছিলেন কাকা যোগিন্দর সিংহ। বরাবর নির্দল হয়েই লড়েছিলেন। জমানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।

১৫ ১৬

কাপড়ের দোকান ছিল যোগিন্দরের। কখনও নিজের হয়ে প্রচার করেননি। ভোটের জন্য টাকাও খরচ করেননি। ১৯৯২ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও লড়েছিলেন তিনি। ১,১৩৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন শঙ্করদয়াল শর্মা।

১৬ ১৬

আগরার হাসনু রাম অম্বেডকরি ৯৪টি নির্বাচনে লড়েছিলেন। পঞ্চায়েত, বিধানসভা থেকে লোকসভা। কোনওটিতেই জয়ী হননি। সরকারি চাকরি করতেন। ১৯৮৫ সালে সেই চাকরি ছেড়ে ভোটে লড়াই শুরু করেছিলেন। বিএসপির থেকে টিকিট চেয়েছিলেন। পাননি। সেই থেকে নির্দল হয়েই লড়ে যান। ছবি: এএফপি, রয়টার্স, পিটিআই, সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement