সমাজমাধ্যমে দারুণ পরিচিতি তার। প্রভাবী হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে নজিরও গড়েছে সে। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বি়ড়াল হিসাবেও নজির গড়েছে নালা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়ে ফেলেছে চারপেয়ে।
লস অ্যাঞ্জেলসের একটি উদ্ধারকারী সংস্থা থেকে নালাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিলেন ভারিসিরি ম্যাথাচিটিফান ওরফে পুকি নামে এক তরুণী। তখন নালার বয়স ছিল মাত্র চার মাস। তার পর থেকে পুকির কাছেই রয়েছে নালা।
২০১২ সালে নালার নামে সমাজমাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন পুকি। নালার দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ধরা দিত। নালার ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন পুকি। ধীরে ধীরে নেটব্যবহারকারীদের নজর কাড়তে থাকে নালা।
কম সময়ের মধ্যেই নালার জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পুকি বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন ভাবতেও পারিনি যে নালার অ্যাকাউন্ট এতখানি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এখন আমি আর চাকরিবাকরি করি না। নালার সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলি সারা দিন ধরে সামলাতে হয় আমাকে।’’
পুকি জানান, নালার কারণেই ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর। শ্যানন নামে এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন পুকি। নালার জন্যই তাঁদের দু’জনের আলাপ হয়।
সাক্ষাৎকারে পুকি বলেন, ‘‘নালার জন্য ৫০টি বো টাই অনলাইনে অর্ডার করতে চাইছিলাম আমি। অনলাইনে বিড়ালের জন্য বো টাই বিক্রি করতেন শ্যানন। সেই সূত্রেই শ্যাননের সঙ্গে আলাপ।’’
ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক থেকে শুরু হলেও পুকি এবং শ্যাননের বন্ধুত্ব গা়ঢ় করতে সাহায্য করে নালা। বিড়ালের প্রতি ভালবাসাই পুকি এবং শ্যাননকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় নালার অনুগামীর সংখ্যা ৪৫ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। নালার প্রতিটি ছবি এবং ভিডিয়ো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তার অনুগামীরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইনস্টাগ্রামের পাতায় এক একটি পোস্ট করে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে নালা।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, নালার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ৭৭০ কোটি টাকা।
নালা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে তার নামে ‘ক্যাটফুড’ তৈরির একটি সংস্থাও গড়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, বিড়ালদের উদ্ধার করতে আর্থিক সাহায্যও করেন পুকি।
নালার নামে ‘ক্যাটফুড’ তৈরির সংস্থার তরফে বিনামূল্যে প্রায় দেড় লক্ষ বিড়ালকে এখনও পর্যন্ত খাওয়ানো হয়েছে।
সমাজমাধ্যমে বহু পোষ্যের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু সকলের চেয়ে অনুগামীর সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে নালা।
সম্পত্তির দিক থেকেও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল নালা। সেই কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়ে নজির গড়েছে সে।
টিকটকে ভিডিয়ো তৈরি করে বহু প্রভাবী খ্যাতনামী হয়েছেন। তবে চলতি বছরে ‘টিকটকার’ হিসাবে সকলকে পার করে বর্ষসেরা প্রভাবী হয়েছে নালা।