খাকি পোশাকে হাতে হাতকড়া এবং লাঠি— এমন চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠলে সম্মানের সঙ্গে সঙ্গে মনে কোথাও ভয়ের উদ্রেকও হয়। পুলিশকে এড়িয়ে চলার স্বভাবও থাকে অনেকের।
কিন্তু কলোম্বিয়ার মেডেলিনের কাহিনিটা একটু অন্য রকম। পুলিশের সমাজমাধ্যমে যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাতে পোস্ট করা সমস্ত ছবি এবং ভিডিয়োতে মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন কলোম্বিয়ার বাসিন্দারা। তাঁরা সবাই নাকি পুলিশের রূপে মুগ্ধ।
ডায়না রামিরেজ়। কলোম্বিয়ার মেডেলিন এলাকার বাসিন্দা তিনি।
পেশায় এক পুলিশ আধিকারিক তিনি। মেডেলিনের রাস্তাঘাটে প্রায়ই তাঁকে পুলিশি উর্দি পরে দেখা যায়। যাতায়াতের পথেই ডায়নাকে লক্ষ করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা।
পরে তাঁকে খুঁজে পান সমাজমাধ্যমেও। কিন্তু ডায়নার ইনস্টাগ্রাম দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন সকলে।
পেশাগত কারণে তাঁর যে কঠিন জীবনশৈলী মেনে দিন কাটানো উচিত বলে ভেবেছিলেন, তার একদম বিপরীত পথে চলেন ডায়না।
তাঁর ইনস্টাগ্রাম ভর্তি ছবি এবং ভিডিয়ো। কখনও তাঁর পরনে উর্দি, কখনও বা অন্য পোশাক।
স্থানীয় একটি রেডিয়ো চ্যানেলে কাজও করেন তিনি। তাঁর ভিডিয়ো পোস্টও করেন নিজের ইনস্টাগ্রামে।
সম্প্রতি একটি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। পুলিশে কর্মরত হয়েও তিনি অনলাইন মাধ্যমে যে ধরনের বিষয়বস্তুর উপর কাজ করে দর্শকের কাছে পৌঁছচ্ছেন, সেই কারণেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, এক সাক্ষাৎকারে ডায়না জানিয়েছেন, এই পেশা তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন তিনি।
ডায়না জানান, অনেকে তাঁকে এই পেশা ছেড়ে মডেলিং করতে বলেছিলেন। তিনি এত সুন্দর দেখতে, তাঁকে নাকি পুলিশের পেশায় মানায় না, ধারণা অনেকের।
মডেলিং পেশায় যাবেন কি না, এই প্রসঙ্গে ডায়নাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এই পেশা ছেড়ে যাওয়ার কোনও রকম চিন্তাভাবনা করছেন না তিনি।
‘‘আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, পরের জন্মে আমি কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই, আমি আবার পুলিশ হতেই চাইব’’, বললেন ডায়না।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পেশায় থাকাকালীন আমি যা যা শিখেছি, তা আমাকে নারী হিসাবেও পূর্ণতা দিয়েছে।’’
সমাজমাধ্যম এমন একটি জায়গা, যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ নিজেদের কাজের মাধ্যমে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারেন বলে মনে করেন ডায়না।
ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেড়ে চার লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।
মেডেলিনের বাসিন্দা ছাড়াও আরও অনেকে ডায়নাকে দেখে অবাক হয়েছেন। অধিকাংশের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে ‘সুন্দরী’ পুলিশ হলেন ডায়না।