পোষ্য হিসাবে অনেকেরই বড্ড প্রিয় কুকুর। পোষ্য কুকুরের নানা কাণ্ডকারখানা অনকেই সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন। সেই ভিডিয়োগুলি জনপ্রিয়তাও পায়। তবে এই সারমেয়টি একেবারে আলাদা। তাকে তারকা বললেও অত্যুক্তি হবে না। শুধু কী তাই! কোটি কোটি টাকার মালিক সে।
সমাজমাধ্যমে এখন অনেকেই ব্লগ বানান। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউবে ব্লগ বানিয়ে অনেকেই মোটা অঙ্কের টাকা কামাচ্ছেন। এই নিয়ে জনমানসে কৌতূহলের অন্ত নেই। এ বার একটি কুকুরও যে সমাজমাধ্যম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা টাকারকে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির ওই কুকুরটিই সমাজমাধ্যমে নানা কাণ্ড করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। তার নাম টাকার।
শোনা গিয়েছে, বছরে প্রায় ৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা আয় করে টাকার নামের ওই কুকুরটি। ভাবছেন নিশ্চয়ই, এ-ও সম্ভব!
‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ সূত্রে খবর, কোর্টনি বাডজিন নামে এক ৩১ বছরের মহিলা ওই কুকুরটির মালকিন।
এক সময় বাড়ি সাফাই করার কাজ করতেন বাডজিন। তাঁর স্বামী মাইক সিভিল ইঞ্জিনিয়র হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
তবে বর্তমানে টাকারের জন্য নিজেদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিন বাডজিন এবং মাইক। টাকার এবং তাঁর ছোট্ট ছানা টডের পুরো খেয়াল রাখতে রাখতেই সময় চলে যায় ওই দম্পতির।
২০১৮ সালের জুন মাস। সেই সময় কুকুরটির বয়স ছিল মাত্র ৮ সপ্তাহ। সেই সময় কুকুরটিকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলে বাডজিন।
পরের মাসেই টাকারের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন বাডজিন। ‘আইসকিউব’ নিয়ে কুকুরটির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সেই সময়।
সেই শুরু। তার পর যত দিন গড়িয়েছে, সমাজমাধ্যমে ততই জনপ্রিয়তা পেয়েছে টাকার। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে তার আয়ও।
এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইনস্টাগ্রামে ৩-৮টি স্টোরির জন্য ১৬ লক্ষ টাকারও আয় করে কুকুরটি। ইউটিউবে এই অঙ্কটা ৩৩ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার মতো।
টাকারকে পাওয়ার পরই তার নামে ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ওই দম্পতি। সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা আড়াই কোটিরও বেশি।
টিকটকে কুকুরটির অনুরাগীর সংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। ইউটিউবে এই সংখ্যাটা ৫০ লক্ষেরও বেশি।
ইনস্টাগ্রামে ৩০ লক্ষেরও বেশি অনুরাগী রয়েছে টাকারের। টুইটারে এই সংখ্যাটা ৬২ হাজারের বেশি।
সমাজমাধ্যমের দৌলতে ইদানীং অনেকেরই নাম-যশ হচ্ছে। এ বার একটি কুকুরও যে ভাবে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেল, তা টাকারের কাহিনি না জানলে বিশ্বাসই হবে না। টাকারের লক্ষ্মীলাভে স্বভাবতই খুশি ওই দম্পতি।