সচিন তেন্ডুলকরের কন্যার সঙ্গে শুভমন গিলের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখনই ক্রিকেটারের জীবনে নতুন সঙ্গীর আগমনের কথা শোনা যায়। সেই তরুণী নাকি পেশায় মডেল-অভিনেত্রী। চুপি চুপি তাঁর সঙ্গে বাগ্দানও সেরে ফেলেছেন শুভমন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে দু’জনের চার হাত এক হওয়ার কথা। তার পর থেকেই বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে শুভমনের ‘হবু স্ত্রী’ ঋদ্ধিমা পণ্ডিতকে ঘিরে।
১৯৯০ সালে ২৫ জুন মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জন্ম ঋদ্ধিমার। বাবা-মা এবং দিদির সঙ্গে সেখানেই থাকতেন তিনি। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে মুম্বইয়ের একটি কলেজে সমাজবিদ্যা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতক হন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল ঋদ্ধিমার। পরিবারের সদস্যদের গলা নকল করে কথা বলতেন তিনি। অধিকাংশ বলি তারকার হাবভাবও অবিকল ফুটিয়ে তুলতেন তিনি।
কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর মডেলিংজগতে পা রাখেন ঋদ্ধিমা। খুব কম সময়ের মধ্যে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন তিনি। খ্যাতনামী সংস্থার বিজ্ঞাপনে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি।
বলি অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ থেকে শুরু করে ক্রিকেটার-তারকা রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে দেখা যায় ঋদ্ধিমাকে।
অভিনয়ে কেরিয়ার শুরুর আগে দু’বছর থিয়েটার করেছিলেন ঋদ্ধিমা। বলিপাড়া সূত্রে খবর, সোনু সুদের আর্টিস্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে ‘বহু হমারি রজনীকান্ত’ নামের একটি হিন্দি ধারাবাহিকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় পা রাখেন ঋদ্ধিমা। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
‘দ্য ড্রামা কোম্পানি’ নামের একটি কমেডি শোয়ে প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন ঋদ্ধিমা। ২০১৭ সালে নাচের একটি রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালনা করেন তিনি।
২০১৮ সালে একতা কপূরের ‘হম— আই অ্যাম বিকজ় অফ আস’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেন ঋদ্ধিমা। ২০১৯ সালে ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর: খতরোঁ কি খিলাড়ি ৯’-এ প্রতিযোগী হিসাবে দেখা যায় তাঁকে।
২০১৯ সালে একতা কপূরের প্রযোজনায় একটি হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পান ঋদ্ধিমা। দু’বছর পর ২০২১ সালে ‘বিগ বস্ ওটিটি’ রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু কয়েক দিন পরেই সেই প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
সচিন-কন্যা সারা তেন্ডুলকরের সঙ্গে শুভমন গিলের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর চর্চা নেটপাড়ায়। বিভিন্ন সময়ে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে সারা-শুভমনকে। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে শুভমন নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে তিনি প্রেম করছেন। তবে প্রেমিকার নাম ঊহ্য রেখেছিলেন তিনি। তার মধ্যেই ঋদ্ধিমার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়ে যায়।
শুভমনের সঙ্গে বিয়ের জল্পনা নিয়ে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে আলোচনা করেছিলেন ঋদ্ধিমা। তিনি জানিয়েছিলেন, শুভমনকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন না তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শুভমন ভীষণ মিষ্টি ছেলে। ভাল ক্রিকেটও খেলে। তবে আমাদের দু’জনের কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত স্তরে ওর সঙ্গে পরিচয় নেই আমার। ভবিষ্যতে আমাদের দেখা হলে বিয়ের এই ভুয়ো খবর নিয়ে হাসাহাসি করব নিশ্চয়ই।’’
বিয়ে প্রসঙ্গে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমা বলেছিলেন, ‘‘আমার পরিবারের সকলেই আমায় বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকে। কিন্তু আমি কাকে বিয়ে করব? আমি বিয়ে নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করি। আমার হাতে কাজ রয়েছে, আমি উপার্জন করছি। এই নিয়েই দিব্যি রয়েছি।’’
ঋদ্ধিমা জানিয়েছিলেন, বলি অভিনেতা হৃতিক রোশনের তুতো ভাই ঈশান রোশনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। পেশায় সহ-পরিচালক ঈশান। দীর্ঘ দশ বছর সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
ঋদ্ধিমার দাবি, ঈশানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও তাঁদের বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে। তার পর আট বছর ধরে সিঙ্গল রয়েছেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে অনুগামীমহল তৈরি হয়েছে ঋদ্ধিমার। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ২৩ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।