আমেরিকার সবচেয়ে ধনী সিইওর তালিকার শীর্ষে ইলন মাস্কের নাম থাকলেও চলতি বছরে এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত সিইওকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আমেরিকার সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিইওদের তালিকায় প্রথম সারিতে নাম লিখিয়েছেন নিকেশ অরোরা। তবে সম্পত্তির নিরিখে খুব একটা পিছিয়ে নেই তাঁর স্ত্রী আয়েশা থপরও।
আমেরিকার এক বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার সিইও নিকেশ। আমেরিকার এই সংস্থাটি ১৫০টি দেশ জুড়ে ৭০ হাজার জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার সিইও হয়েছেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় সেই সংস্থার বাজারমূল্য সাড়ে ন’লক্ষ কোটি টাকা। ১৬,৭০০ কোটি টাকার মালিক নিকেশ। তাঁর স্ত্রী আয়েশাও ব্যবসায়ী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত।
আয়েশা কলকাতার মেয়ে। তাঁর পরিবার আদতে কলকাতার। দিল্লির স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দেন আয়েশা। আমেরিকার কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হন তিনি।
অঙ্ক এবং আঁকা নিয়েও পড়াশোনা করেন আয়েশা। স্নাতক হওয়ার পর আবার ভারতে ফিরে আসেন তিনি।
মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করলেও পরে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন আয়েশা।
১৯৩৯ সালে আয়েশার প্রপিতামহ কর্মচন্দ থাপার একটি রিয়্যাল এস্টেট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সেই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন আয়েশা।
পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি নিজেও ব্যবসা শুরু করেন আয়েশা। গয়নার প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তাঁর। তাই নকশা করে গয়না বিক্রির সংস্থা গড়ে তোলেন তিনি।
মডেলিংজগতে পা রেখেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আয়েশা। তাই ফ্যাশন সম্পর্কে বেশ রুচিশীল তিনি। নিজস্ব একটি ফ্যাশন সংস্থাও খোলেন আয়েশা।
ফ্লোরিডার মায়ামিতে একটি টেলিকম সংস্থার মালিকানা রয়েছে আয়েশার।
আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায় দু’জায়গায় দু’টি রেস্তরাঁ রয়েছে আয়েশার।
২০০৩ সালে এনগিন ইয়েসিল নামে এক শিল্পপতিকে বিয়ে করেন আয়েশা। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। চার বছর পর ২০০৭ সালে এনগিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় আয়েশার।
এনগিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নিকেশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আয়েশা। কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করেন দু’জনে।
২০১৪ সালে ইটালিতে বিয়ে করেন নিকেশ এবং আয়েশা। তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে অ্যাশটন কুচার এবং মিলা কুনিসের মতো হলি তারকারা নিমন্ত্রিত ছিলেন।
২০১৪ সালে বিয়ে করার এক বছর পর ২০১৫ সালের জুন মাসে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন আয়েশা।