Saanand Verma

অভিনয়ের জন্য ছাড়েন লক্ষ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি, বিক্রি করে দেন গাড়িও! এখন কোথায় অভিনেতা?

গাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে, দুর্গন্ধে ভরা গোডাউনে রাতের পর রাত কাটিয়েছিলেন। তবুও হার মানেননি। এখন কী করছেন অভিনেতা সানন্দ বর্মা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১১
Share:
০১ ১৯

স্বপ্ন বুনেছিলেন অভিনেতা হওয়ার। স্বপ্নপূরণের জন্য তাই লক্ষ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি ছাড়তেও দু’বার ভাবেননি। গাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে, দুর্গন্ধে ভরা গোডাউনে রাতের পর রাত কাটিয়েছিলেন। তবুও হার মানেননি। এখন কী করছেন অভিনেতা সানন্দ বর্মা?

০২ ১৯

ছোট পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন সানন্দ। ২০টির বেশি হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু কেরিয়ার শুরুর ছ’বছর পর একটি ধারাবাহিকই সানন্দের জীবন বদলে দেয়।

Advertisement
০৩ ১৯

বিহারের পটনায় এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম সানন্দের। অভাবের জন্য বেশির ভাগ সময় পেটভরে খাওয়ার সুযোগও পেতেন না তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, এমনও সময় গিয়েছে, যখন দীপাবলির সময় একটি প্রদীপ জ্বালানোরও টাকা ছিল না তাঁদের কাছে।

০৪ ১৯

ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলার শখ ছিল সানন্দের। ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নেবেন বলে সানন্দকে তাঁর বাবা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে শারীরিক হেনস্থার শিকার হন সানন্দ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানান তিনি।

০৫ ১৯

সাক্ষাৎকারে সানন্দ জানান, তাঁর যখন ১৩ বছর বয়স, তখন ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বেশি টাকা ছিল না। কিন্তু বাবা কোনও ভাবে আমার জন্য একটি সাদা শার্ট, একটি প্যান্ট এবং কম দামি একটি ক্রিকেট ব্যাট কিনে দিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমার চেয়ে বয়সে বড় এক জন ছিল। সে আমায় হেনস্থা করার চেষ্টা করে। আমি এত ভয় পেয়েছিলাম যে সেখান থেকে পালিয়ে যাই। আর কোনও দিন আমি ক্রিকেট খেলার কথা ভাবিনি।’’

০৬ ১৯

পড়াশোনা শেষ করে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি শুরু করেন সানন্দ। কিন্তু বেশি দিন চাকরি করতে পারেননি তিনি। বছরে ৪০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন তিনি। কিন্তু অভিনয় করবেন বলে মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দেন সানন্দ।

০৭ ১৯

অভিনয় করবেন বলে পটনা ছেড়ে মুম্বই চলে যান সানন্দ। গাড়িও বিক্রি করে দেন তিনি। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, রাতের পর রাত ওষুধের দোকানের গোডাউনে কাটাতেন তিনি। এমনকি অর্থের অভাবে হেঁটে হেঁটে অডিশন দিতে যেতেন ।

০৮ ১৯

সাক্ষাৎকারে সানন্দ বলেছিলেন, ‘‘অটো বা রিকশা করে যে যাতায়াত করব, সেই টাকাও ছিল না আমার কাছে। মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে অডিশন দিতে যেতাম আমি। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে উপার্জন শুরু করেছিলাম। ২০টি হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ও করেছি। কিন্তু ‘ভাবিজি ঘর পর হ্যায়!’ ধারাবাহিকের মাধ্যমেই আমি পরিচিতি পাই।’’

০৯ ১৯

২০০৯ সালে ‘লাপতাগঞ্জ’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু সানন্দের। তার পর ‘সিআইডি’ এবং ‘এফআইআর’-এর মতো ধারাবাহিকে দেখা যায় তাঁকে।

১০ ১৯

২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মর্দানি’। রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় সানন্দকে। তবে ‘মর্দানি’ মুক্তির এক বছর পর জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

১১ ১৯

২০১৫ সাল থেকে ছোট পর্দায় সম্প্রচারিত হয় ‘ভাবিজি ঘর পর হ্যায়!’ এই ধারাবাহিকে আনোখেলাল সাক্সেনার চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি পরিচিতি তৈরি হয় সানন্দের।

১২ ১৯

২০১৮ সালে অজয় দেবগন অভিনীত ‘রেড’ ছবিতে অভিনয় করেন সানন্দ। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় ‘পটাখা’ ছবিতেও অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি।

১৩ ১৯

২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ছিচোরে’। সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং শ্রদ্ধা কপূর অভিনীত এই ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন সানন্দ।

১৪ ১৯

বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটির পর্দাতেও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সানন্দকে। ‘রামসিং চার্লি’, ‘রাত বাকি হ্যায়’, ‘হেলমেট’, ‘হম দো হমারে দো’, ‘বাবলি বাউন্সার’ এবং ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।

১৫ ১৯

২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ‘থ্যাঙ্ক গড’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং রকুলপ্রীত সিংহ। এই ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সানন্দকে।

১৬ ১৯

২০২৩ সালে বড় পর্দায় শেষ অভিনয় করতে দেখা যায় সানন্দকে। অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘মিশন রানিগঞ্জ’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৭ ১৯

হিন্দি ছবি এবং হিন্দি ধারাবাহিকের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ়েও অভিনয় করতে দেখা যায় সানন্দকে। ‘সেক্রেড গেম্স’ এবং ‘অপহরণ’ ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেন তিনি।

১৮ ১৯

বিনোদন জগতে যে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর উপস্থিতি রয়েছে, তা সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন সানন্দ। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি একই বিষয়ে দুই ধরনের মত দিতে পারি না। কিন্তু ‘কাস্টিং কাউচ’ বিনোদন জগতে রয়েছে। যদিও আমি কোনও দিন তার শিকার হইনি। কিন্তু আমার পরিচিত কয়েক জনের কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। এমন হওয়া উচিত নয়।’’

১৯ ১৯

সমাজমাধ্যমে সানন্দের অনুগামীর সংখ্যা নজরে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১৫ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।

সকল ছবি সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement